গায়েবি মামলা, গ্রেফতার, হয়রানিসহ নির্বাচন কমিশনে দেওয়া বিএনপির বেশির ভাগ অভিযোগেরই সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব মো. হেলালুদ্দীন আহমদ।
শুক্রবার বিকালে আগারগাওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ''আমরা এগুলো তদন্ত করে দেখছি। তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে- বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অভিযোগগুলোর সত্যতা নেই। এছাড়া যে অভিযোগগুলোর সত্যতা পাওয়া গেছে, সেগুলো অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারদের অভিযোগগুলোর বিষয়ে খোঁজ নিতে বলা হয়েছে।
সচিব বলেন, যদি কোন পেন্ডিং ওয়ারেন্ট থাকে এবং আদালতের কোন তাগিদ থাকে তা তামিল করতে হবে। কমিশনারগণ ইতিমধ্যে এ ধরনের নির্দেশনা দিয়েছেন।
নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রায় এক মাসের ওপরে আমাদের যে ধরনের প্রস্তুতি নেয়া প্রয়োজন, তা ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। প্রিসাইডং এবং পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ দেয়া ছাড়া বিগত এক মাসে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ইতিমধ্যে সব ধরনের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি জানান, আগামী ১৮ ডিসেম্বর রাঙ্গামাটিতে তিন পার্বত্য জেলা নিয়ে একটি সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হবে। এখন শুধু প্রিজাইডিং এবং সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ বাকি রয়েছে। তাছাড়া মাঠ পর্যায়ে ৮টি বিভাগে কমিশনারগন নিজেরা গিয়ে সহকারী রিটার্নিং অফিসার এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
ব্যালট পেপার প্রসঙ্গে সচিব বলেন, আশা করছি নির্বাচনের সাত দিন আগেই সকল এলাকায় ব্যালট পেপার পৌঁছে যাবে। উচ্চ আদালত থেকে বেশ কিছু নির্দেশনা আসছে। তাই ক্ষেত্র বিশেষ ব্যালট ছাপানো কিছুটা বিলম্ব হতে পারে। তবে অবশ্যই ভোটের ৭দিন আগেই সব এলাকায় ব্যালট পৌঁছে দেয়া হবে।
হেলালুদ্দীন আহমদ জানান, সেনাবাহিনী আমাদের আইন-শৃংখলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে দায়িত্ব পালন করবেন। তিন ধরনের বিচারকরা মাঠে রয়েছেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন ৬৫২ জন, ২৪৪ জন সিনিয়র ডিস্ট্রিক জাজ, জয়েন্ট ডিস্ট্রিক জাজ, জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট থাকবে ৬৪০ জন।
তারা নির্বাচনের দুদিন আগে থেকে নির্বাচনের পরদিন পর্যন্ত মোট চার দিন দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া হাজারখানের বিভিন্ন বাহিনীর সংগে নির্বাহী ম্যাটিস্ট্রেট থাকবেন। তারা বিজিবি, র্যাব, সেনাবাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে সমন্বয় করে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। যেহেতু এরাই নির্বাচনের মাঠে বিচারিক দায়িত্ব পালন করবেন, তাই পৃথক ভাবে অন্য কোন বাহিনীকে বিচারিক দায়িত্ব দেয়ার সুযোগ নেই।
নির্বাচনে সাংবাদিকদের কাজের ধরন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যপ্যারে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের বিষয়ে নীতিমালা থাকলেও সাংবাদিকদের জন্য সুনির্দিষ্ট কোন নীতিমালা নেই। একটি নীতিমালা করার প্রস্তাবনা রয়েছে। তবে কমিশনারগণ বলেছেন- তারা ভোট কেন্দ্রে যেতে পারবেন, ভোটারদের মতামত নিতে পারবেন তবে সরাসরি সম্প্রচারের ক্ষেত্রে বাধ্যবাধকতা রাখার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
ভোট কেন্দ্র মোবাইল ফোন ব্যবহার প্রসঙ্গে ইসি সচিব জানান, ভোটকেন্দ্র প্রিজাইডিং অফিসার এবং পুলিশ ইনচার্জ মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন। অন্যদের কাছেও মোবাইল ফোন থাকতে পারে তবে সেটি নিরাপত্তার স্বার্থে ভোট কেন্দ্রের বাইরে গিয়ে ব্যবহার করাই ভাল।
বিবার্তা/হাসান/কামরুল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]