শিরোনাম
শেষ বৈঠকে মন্ত্রিসভা থেকে প্রধানমন্ত্রীর বিদায়
প্রকাশ : ০৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৯:২৩
শেষ বৈঠকে মন্ত্রিসভা থেকে প্রধানমন্ত্রীর বিদায়
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

অনুষ্ঠিত হয়ে গেল মন্ত্রিসভার শেষ বৈঠক। সোমবারের সমাপনী এই বৈঠকের মধ্য দিয়ে মন্ত্রিসভা থেকে অনানুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরপর মন্ত্রিসভার আর কোনো বৈঠক হবে না। সবাই নিজ নিজ এলাকায় চলে যাবেন নির্বাচনি কাজে। আর দেখা হবে না। আগামীতে জনগণ যাকে ভোট দেবে অর্থাৎ জনগণ কাকে ভোট দেবে এটা তারাই জানেন। পরবর্তীতে নতুন সংসদ হবে, নতুন কেবিনেট হবে, সেখানে কারা আসবে সেটা তো এখনই বলা যায় না, সবাই ভালো থাকবেন।


বঙ্গবন্ধুর নামে অ্যাভিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয়


এদিকে, দক্ষ বৈমানিক ও বিমান প্রকৌশলী তৈরি করতে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১৮’ মন্ত্রিসভা এই বৈঠকে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।


বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জানান, এটা আমাদের দেশের জন্য একটা নতুন। অ্যারোস্পেস… শুধুমাত্র এমআইএসটিতে (মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি) একটা ডিপার্টমেন্ট আছে। আর কোথাও কোনো সুযোগ নেই, এমনকি বুয়েটেও নেই। অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিংকে সম্প্রসারিত করার জন্য এ আইনটি করা হয়েছে।


বিশ্ববিদ্যালয়টির গঠন প্রসঙ্গে সচিব জানান, অন্যান্য ইউনিভার্সিটি যেরকম, একেবারে হুবহু একই রকম অনুসরণ করা হয়েছে। তেমন কোনো পরিবর্তন নেই। এ বিষয়ে অর্ডিন্যান্স (অধ্যাদেশ) জারি হবে। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর তত্ত্বাবধানে এই বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্যাম্পাস ঢাকার পূর্বাচল যাওয়ার পথে স্থাপিত হবে।


ইপিজেড শ্রম আইনের চূড়ান্ত অনুমোদন


এছাড়া, 'বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন, ২০১৮’ এরও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জানান, শ্রমিক কল্যাণ সমিতি ফেডারেশন করার জন্য ৩০ শতাংশের পরিবর্তে ২০ শতাংশ সমার্থন নেওয়ার বিধান করা হয়েছে। আর ধর্মঘট করার জন্য দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থন প্রয়োজন পড়বে।


২০১৩ সাল থেকে এ আইনটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এ পর্যায়ে নিয়ে আসা হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ২০০৬ সালের মূল শ্রম আইনের সঙ্গে এটাকে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে এবং আইএলও, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রেরও কিছু অবজারভেশন ছিল এটাকে একটু শ্রমবান্ধব করার জন্য। সেই দাবিতেই এটাকে অনেকটা শ্রমিকদের ফেভারেবল করা হয়েছে।


নতুন আইনের বিভিন্ন পরিবর্তন তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বেপজার নিজস্ব পরিদর্শন কার্যক্রমের পাশাপাশি শিল্প প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের যে অধিদফতর আছে তাদেরও এই আইনের আওতায় পরিদর্শন সুযোগ রাখা হয়েছে।


সচিব বলেন, শ্রমিকদের ধর্মঘট করার ক্ষেত্রে যে তিন-চতুর্থাংশের সমর্থনের বাধ্যবাধকতা ছিল সেটি কমিয়ে দুই-তৃতীয়াংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। শ্রম আইনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে শ্রমিক কল্যাণ সমিতির গঠনতন্ত্র শ্রমিকরা নিজেরা করতে পারবেন, সেই বিধান রাখা হয়েছে।


শ্রমিকদের ধর্মঘট ও লক আউটের অধিকার দেওয়া হয়েছে। শ্রমিক কল্যাণ সমিতির নির্বাচিত কর্মকর্তাদের চাকরি সংক্রান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। মালিকদেরও সমিতি করার অধিকার দেওয়া হয়েছে। শ্রমিক কল্যাণ সমিতি মানেই ট্রেড ইউনিয়ন, নামটা ভিন্ন, কিন্তু কাজ একই। শ্রমিকরাও এই নামটি পছন্দ করেছেন। যোগ্য শ্রমিক বলে একটি বিধান ছিল, আগের আইনে সেটি বাদ দেওয়া হয়েছে।


মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, নির্বাহী পরিষদের পরবর্তী নির্বাচনের সময় এক বছর থেকে কমিয়ে ৬ মাস করা হয়েছে। শ্রমিকের ইস্তফাজনিত কারণে সার্ভিস বেনিফিট প্রাপ্তি সংক্রান্ত একটি নতুন উপধারা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অবসর গ্রহণের ক্ষেত্রে শ্রমিকরা সার্ভিস বেনিফিট হিসেবে প্রত্যেক বছরের জন্য ৩০ দিনের মূল মজুরির পরিবর্তে ৪৫ দিনের মূল মজুরি পাবেন।


তিনি বলেন, আইএলও, ইউএস অ্যাম্বাসি ও ইইউ-এর মতামতের ভিত্তিতে শ্রমিক কল্যাণ সমিতি গঠনের জন্য আগে একটা রেফারেন্ডাম সিস্টেম ছিল অর্থাৎ গণভোট, সেটা বাদ দেওয়া হয়েছে। নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠানে ৩ মাস পর্যন্ত শ্রমিক সমিতি গঠন নিষিদ্ধ ছিল, সেই বিধানটিও বাদ দেওয়া হয়েছে। শ্রমিক কল্যাণ সমিতি গঠনের জন্য আগে ১২টি স্টেপ ছিল, এখন কমিয়ে তিনটি করা হয়েছে।


সংসদ না থাকায় আইনটি অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।


বিবার্তা/হাসান/কামরুল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com