শিরোনাম
নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু
প্রকাশ : ৩০ অক্টোবর ২০১৮, ১৫:১২
নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়েই শুরু হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক।


এদিকে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব মিন্ট থোয়ে বলেছেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন হবে নিরাপদ।


রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের তৃতীয় বৈঠক শেষে শহীদুল হক এ তথ্য জানান।


যৌথ সংবাদ সম্মেলনে শহীদুল হক বলেন, আমরা আশা করছি, নভেম্বরের মাঝামাঝি আমরা প্রত্যাবাসন শুরু করতে পারব। এটা হবে প্রথম গ্রুপ।


তিনি বলেন, জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপে মিয়ানমারের দুই সদস্য বুধবার কক্সবাজারে যাবেন। তারা রোহিঙ্গাদের বোঝাবেন যাতে তারা রাখাইনে ফিরে যায়ে। রাখাইনে তাদের নিরাপত্তার যেসব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে সে কথাও বলবেন।


তিনি আরো বলেন, প্রত্যাবাসন একটি জটিল প্রক্রিয়া। তবে দুই দেশের রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে এ সঙ্কটের শান্তিপূর্ণ সমাধান সম্ভব এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বাংলাদেশ সেভাবেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।


মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরার বিষয়ে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। বিশেষ করে তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি আমরা গুরুত্ব দিয়েছি। আজ আমাদের দুই দেশের মধ্যে এ বিষয়ে ভালো বৈঠক হয়েছে।


তিনি বলেন, আমরা শুধু নিরাপত্তা নয়, আনুষঙ্গিক বিষয় মাথায় রেখেই একটা পদক্ষেপ নিয়েছি। এরই অংশ হিসেবে আগামী মাসের (নভেম্বর) মাঝামাঝি সময়ে রোহিঙ্গাদের একটা অংশ ফেরত নেয়া হবে। উত্তর রাখাইন রাজ্যে কোনো ধরনের বৈষম্য যেন না হয়, সেজন্য স্থানীয় কর্মকর্তা আর পুলিশকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।


তিনি আরো বলেন, আমরাও রাজনৈতিক সদিচ্ছা, নমনীয়তা ও সমঝোতার মনোভাব দেখিয়েছি বৈঠকে, যাতে সম্ভব দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রত্যাবাসন শুরু করা যায়।


তবে কতোজনকে মিয়ানমার প্রথম ধাপে ফেরত নেবে, এ বিষয়ে কিছু বলেননি পররাষ্ট্র সচিব। তবে ফেব্রুয়ারিতে ৮০৩২ জনের একটি তালিকা মিয়ানমারকে পাঠানো হয়েছিল। এর ৪৬০০ জনের তথ্য তারা যাচাইবাছাই করেছে।


গত বছরের ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমন-পীড়ন শুরু হলে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এর আগে থেকেই চার লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছে।


এই রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপের মধ্যে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর নেতৃত্বে গত ৯ আগস্ট মিয়ানমার সফর করেন একটি প্রতিনিধি দল। রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের আবাসন সুবিধা, চলাফেরা ও জীবনযাত্রাসহ প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার অগ্রগতিও পর্যবেক্ষণ করে দলটি।
ওই সময় দেশটির রাজধানী নেপিদোয় এক বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ প্রতিনিধিরা। তার সফরের পর ঢাকায় পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের এই বৈঠক হলো।


বিবার্তা/জাকিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com