শিরোনাম
তেজগাঁও বিমানবন্দর বিমানবাহিনীরই থাকবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশ : ২৭ অক্টোবর ২০১৮, ১৪:০৬
তেজগাঁও বিমানবন্দর বিমানবাহিনীরই থাকবে: প্রধানমন্ত্রী
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ ফের ক্ষমতায় এলে বিমানবাহিনীর সদস্যদের সব ধরণের সুযোগ ‍সুবিধা বাড়ানো হবে। বিমানবাহিনীকে আরো আধুনিকায়ন করা হবে।


বিমানবাহিনীকে সর্তক করে তিনি বলেন, তেজগাঁও বিমানবন্দর যেন বেহাত না হয়, সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে। এই বিমানবন্দর কোনো দিনই বন্ধ হবে না। এটা বিমানবাহিনীর, বিমানবাহিনীরই থাকবে।


তেজগাঁও বিমানবন্দরে বিমানবাহিনীর এয়ার মুভমন্টে ফ্লাইটের নতুন ভিভিআইপি কমপ্লেক্সের শনিবার সকালে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।


প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে কেক কাটেন এবং দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন। তিনি সেখানে একটি গাছের চারা রোপণ করেন এবং কমপ্লেক্সের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন। পরে তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকেই হেলিকপ্টারে চড়ে পটুয়াখালীর কুয়াকাটার উদ্দেশে রওনা হন শেখ হাসিনা।


প্রধানমন্ত্রী তার শৈশবের কথা স্মরণ করে বলেন, এটাকে তখন তেজগাঁও অ্যারোড্রাম বলা হত। ১৯৫৬ সালে প্রথম প্লেনে চড়েছিলাম। আমার চাচার সাথে এখান থেকে খুলনা গিয়েছিলাম। ১৯৬৯ সালে এখান থেকেই করাচি, সেখান থেকে ভিসা নিয়ে ইতালি যাই, আমার স্বামীর কর্মস্থলে।


১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার এ বিমানবন্দরকে বিমানবাহিনীর হাতে তুলে দেয়।


বিমানবন্দরটি বন্ধ করে দেয়ার জন্য সরকারের ওপর চাপ আসার কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এখানে কর্মকমিশনের অফিস করে দেয়া হয়। নানা জায়গা থেকে চাপ আসতে থাকে যে, এই বিমানবন্দর রাখার দরকার কী? এই বিমানবন্দর যখন বিমানবাহিনীর হাতে তুলে দেই তখনো আপত্তি ছিল।


এ বিমানবন্দরের ব্যবহার বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, কখনো যেনো এটা নিতে না পারে, সেজন্য এটার ব্যবহার বাড়াত হবে। মাঝে মাঝে এখান থেকে প্লেন চালাতে হবে। যেন সকলে জানে, এটা ব্যবহার হচ্ছে। আমি যখন থাকব না, তখন এসে নিয়ে যাবার চেষ্টা করবে।


তিনি আরো বলেন, এই জায়গা নেয়ার জন্য সবাই কিন্তু হাত বাড়িয়ে বসে আছে। তবে আমি যতদিন ক্ষমতায় আছি, আমি এটা দেবো না।


দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিমান বাহিনীর অবদানের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অন্যান্য বাহিনীর মতো বিমানবাহিনীও দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও আকাশ রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে। তাদের অবদান অনস্বীকার্য।


বিমানবাহিনীর জন্য আরো জায়গা দরকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিমানবাহিনীর কলবের বৃদ্ধি করছি। আমাদের ছোট দেশ। কিন্তু আমাদের কিছুই থাকবে না- এটা তো হতে পারে না। কারো দিকে তাকিয়ে তো বসে থাকব না।


বিমান বাহিনীর আধুনিকায়নে তার সরকারের নেয়া নানা উদ্যোগের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের ভোটে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসতে পারলে বিমানবাহিনীর সদস্যদের সুযোগ সুবিধা বাড়ানো হবে। তাদের সন্তানদের নিরাপদ ভবিষ্যত গড়ে তোলার লক্ষ্যে উদ্যোগ নেয়া হবে।


এ অনুষ্ঠানে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, তিন বাহিনী প্রধান এবং বিমানবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


বিবার্তা/জাকিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com