শিরোনাম
‘দলীয় সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব’
প্রকাশ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৬:১৪
‘দলীয় সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব’
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারনেশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) মনে করে দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব।


দেশের মানুষের মধ্যে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করার ক্ষেত্রে আস্থাহীনতার সংকট থাকলেও ক্ষমতাসীন ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলসহ অন্য স্টেকহোল্ডাররা যদি সহায়ক ভূমিকা পালন করে তবে সেই সংকট নিরসন করে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।


রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে সোমবার ‘রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইশতেহারে সুশাসন ও শুদ্ধাচার’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।


তিনি বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে কি না- তা নিয়ে সবার মধ্য সংশয় আছে। তার মানে এই নয় যে; দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না। টিআইবি মনে করে, দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব, যদি রাজনৈতিক দল ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডাররা সহায়ক ভূমিকা পালন করেন।


টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, নির্বাচনে বিজয়ী হতে না পারলে নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য- এমন প্রবণতা আমাদের মধ্যে রয়েছে। এর জন্যই দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা বা আস্থাহীনতার সঙ্কট তৈরি হয়েছে। এজন্য সব রাজনৈতিক দল কম-বেশি দায়ী।


তিনি বলেন, আমাদের দেশে তত্ত্বাবধায়ক প্রক্রিয়াটি গ্রহণ হয়েছিল। তা সাংবিধানিকভাবে বাতিল করা হয়েছে। এখন বাস্তবতা মেনে সাংবিধানিকভাবে যেভাবে বৈধ নির্বাচন করা সম্ভব সেভাবে করতে হবে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যেখানে সংসদীয় গণতন্ত্র বিরাজ করছে সেখানে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিরল। যদিও আমাদের দৃষ্টান্ত অনুসরণে কোনো কোনো দেশ তত্ত্বাবধায়ক সরকার চালুর চেষ্টা করছে।


গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোতে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, মোটা দাগে সবদেশে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আমরা সেই সংস্কৃতিতে যেতে চাই। কিন্তু এটা অবশ্যই মানতে হয়, আস্থাহীনতার যে কথাটি বলা হয় তা বাস্তব। এই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা যেটা আশা করতে পারি, নির্বাচনে যারা অংশগ্রহণকারী দল তাদের সবার মধ্যে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রতি শ্রদ্ধা থাকবে। রাজনৈতিক দলের দায়িত্বশীল ভূমিকা থাকলে তা সম্ভব।


বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব কিনা? এমন প্রশ্নে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এই সরকারের অধীনে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে তার কোনোটাই গ্রহণযোগ্য হয়নি তা বলা যাবে না। কোনো কোনো স্থানীয় নির্বাচন সম্পূর্ণ গ্রহণযোগ্য হয়েছে। বিতর্কের ঊর্ধ্বে হয়েছে। কী পরিপ্রেক্ষিতে এই গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়েছে তা বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন।


তিনি বলেন, আমি মনে করি, সেখানে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলো চেয়েছিল যেন সুষ্ঠু নির্বাচন হয়। যে কারণে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। অর্থাৎ আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর সুস্পষ্ট ভূমিকা আছে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে, কি হবে না।


তিনি আরো বলেন, যদি পরিবেশ নিশ্চিত করা যায়, সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ভূমিকা রাজনৈতিক দলগুলো পালন করে এবং আমরা সাধারণ মানুষ যদি সেই ভূমিকা পালন করে পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারি তাহলে দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব বলে আমি মনে করি।


গবেষণায় নির্বাচনে ইশতেহারে মাধ্যমে অঙ্গীকার ও পরবর্তীতে নির্বাচিত হতে পারলে তা বাস্তবায় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।


সংবাদ সম্মলনে সংসদে নারীদের সংরক্ষিত আসন ৩৩ শতাংশের সুপারিশ করা হয়। সংরক্ষিত এসব আসনে সরাসরি নির্বাচনেরও সুপারিশ করে সংগঠনটি। তাছাড়া জাতীয় বাজেটে কালো টাকাকে বৈধতা না দেওয়া, পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরত নিয়ে আসার কথা বলা হয়।


সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টিআইবির উপদেষ্টা ও নির্বাহী ব্যবস্থাপক ড. সুমাইয়া খায়ের, রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল হাসানসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।


বিবার্ত্/জাকিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com