জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য বর্তমান সংসদ ভাঙবে না বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে জেলা রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য শেষে কবে নাগাদ সংসদ ভাঙছে তা জানতে চাইলে সাংবাদিকদের এ কথা জানান আইনমন্ত্রী।

সংসদের কার্যকাল পর্যন্ত এই সংসদ চলবে উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি আগামী ৯ সেপ্টেম্বর যে সংসদ অধিবেশন ডেকেছেন সেটা হবে এই সংসদের শেষ অধিবেশন।

নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভা কবে নাগাদ গঠন করা হবে তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার বিষয়ে আমাদের নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দেবেন। আমি না।

নির্বাচনকালীন সরকারের আকার কেমন হবে- জানতে চাইলে মন্ত্রী জানান, এটা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব। তাই নির্বাচনকালীন সরকারের আকার উনিই (প্রধানমন্ত্রী) জানেন। কেননা, সংবিধান অনুযায়ী এটা উনার দায়িত্ব।

আরপিও সংশোধনীর বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আরপিও সংশোধনীর বিষয়ে ভেটিং ও আইনি পরামর্শের জন্য ফাইলটি আমার মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ বিভাগে পৌঁছেছে। আমার কাছে এখনো আসেনি। লেজিসলেটিভ বিভাগ সেটা দেখবে, তারপর তা আমার কাছে পাঠাবে। এর আগেও তিনি বিচারকদের এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এই কথা বলেছিলেন।

সোমবার বিকেলে ঢাকা জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয় কর্তৃক আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আইনমন্ত্রী। নকলনবিশদের (দলিল লেখক) অনুলিপি কাজবাবদ অর্থ আদায় ও পরিশোধ বিধিমালা, ২০১৮ এর আলোকে নকলনবিশদের পারিশ্রমিক প্রদান উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নিবন্ধন কার্যালয়ের মহাপরিদর্শক খান মো. আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন আইন বিচার ও সংসদ মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক।

অনুষ্ঠানে আনিসুল হক বলেন, আমার মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ পাই ৫ বছর, এক যুগেরও অধিক সময় যাওয়ার পরও অনেকে জমির রেজিস্ট্রেশন পান না। এর কারণ জানতে চাইলে আমাকে বলা হলো, বালাম নেই, ইনডেক্স নেই, স্লিপ নেই, এজন্যই দেরি হয়। মন্ত্রী হয়ে তখন আমাকে এ নিয়ে খোঁজ নিতে হলো। মন্ত্রী হবার এক দুই মাসের মধ্যে আমরা টেন্ডার দিয়ে সমস্যার সমাধান করি। এসব কাজ করতে গিয়ে একটি বিষয় উপলব্ধি করলাম যে, নকলনবিশরা কাজ করবেন আজকে আর পারিশ্রমিক পাবেন দীর্ঘসময় পরে- তা বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে হতে পারে না। শেখ হাসিনা এটা মেনে নেবেন না। তাই এসব নকলনবিশদের সুবিধা দিতে আমরা কাজ করে যাই।

বিবার্তা/তৌহিদ/সোহান