শিরোনাম
‘ক্ষমতা ভোগের বস্তু নয়, ক্ষমতা হচ্ছে দায়িত্বপালন’
প্রকাশ : ২৯ আগস্ট ২০১৮, ১৪:১৩
‘ক্ষমতা ভোগের বস্তু নয়, ক্ষমতা হচ্ছে দায়িত্বপালন’
ফাইল ছবি
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভোট দেয়া না দেয়া জনগণের রাজনৈতিক অধিকার। তবে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাওয়াই আওয়ামী সরকারের মূল লক্ষ্য।


আজীবন মানুষের সেবা করে যাওয়ার প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, মানুষের সেবা করাটাই আমাদের কাজ। ক্ষমতা আমার কাছে কোনো ভোগের বস্তু না। ক্ষমতা হচ্ছে দায়িত্বপালন। কাজেই এ দায়িত্বটাই পালন করতে চাই।


রাজধানীর গণভবন থেকে বুধবার সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গোপালগঞ্জে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও ট্রেনিং ইনস্টিটিউট এবং ২০ উপজেলায় কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।


শেখ হাসিনা বলেন, ভোট দেয়া না দেয়া জনগণের অধিকার। কিন্তু জনগণের সেবা করেই যাবো। জনগণকে উন্নত জীবন দেব, খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবো রাজনৈতিক নেতা হিসেবে এটা আমাদের অঙ্গীকার। আর এই অঙ্গীকার আমাদের পূরণ করতে হবে।


তিনি বলেন, আমি সব সময় মনে রাখি যে আমার বাবা দেশটাকে স্বাধীন করে দিয়ে গেছে, তাই জনগণের সেবা করাটা আমার প্রথম কর্তব্য। মানুষের সেবা করাটাকে আমি কর্তব্য হিসেবে নেই।


শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের চোখে যদি আলো দিতে পারি এর চেয়ে ভালো কিছু আর হতে পারে না। শুধু গোপালগঞ্জে নয়, সারাদেশের মানুষের চিকিৎসাসেবা দেয়ার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক করেছি। এর মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছেছে। চিকিৎসা সেবা হলো মহৎ কাজ। এটা আমরা মানুষকে দিতে পারছি। এর চেয়ে ভালো কাজ আর হতে পারে না।


তিনি বলেন, চিকিৎসা সেবাসহ সব সেবাই আমরা মানুষকে দিয়ে যাচ্ছি। এরপর মানুষ আমাদের ভোট দিলে আবার সেবা করার সুযোগ পাব, না দিলে তো নাই। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আমরা সারাদেশে ১৩ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক করেছিলাম। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়। পরে আবার ক্ষমতায় এসে সেসব কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করি।


তিনি আরো বলেন, নতুন নতুন যেসব হাসপাতাল হচ্ছে সেগুলোতে অভিজ্ঞ ডাক্তার এবং নার্স আছে। তারা ভালো মানের সেবা দিতে পারছে। হাসপাতালের পাশাপাশি আরো ডাক্তার ও বিশেষজ্ঞ নার্স তৈরির কাজ চলছে। দেশের মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্যই এখন বিদেশ থেকে নার্স এবং ডাক্তারদের ট্রেনিং দিয়ে আনা হচ্ছে। প্রতিটি জেলা-উপজেলায় আরও মানসম্মত হাসপাতাল গড়ে তোলা হবে।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জেলা পর্যায়ে মেডিকেল কলেজ করে দিয়েছি। দেশের প্রথম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করে দিয়েছিলাম। দুটো মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ইতোমধ্যে করা হয়েছে। আরো একটা করার পরিকল্পনা আছে। এভাবে পর্যায়ক্রমে আমাদের লক্ষ্য, প্রতিটি ডিভিশনাল হেডকোয়ার্টারে আমরা একটা করে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করে দেবো।


তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছিলেন। তিনি দায়িত্ব নেয়ার ৯ মাসের মাথায় একটি সংবিধান জাতিকে উপহার দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি বেশিদিন সময় পেলেন না। আমি দায়িত্ব নেয়ার পর দেখলাম প্রতিটি ক্ষেত্রেই বঙ্গবন্ধুর অবদান রয়েছে, যা ভাবলে সত্যিই অবাক লাগে। তিনি প্রতিটি ইউনিয়নে ১০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন।


এ সময় প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর কাছে দোয়া চান যেন, তিনি আগামী দিনে দেশের মানুষের সেবা করতে পারেন।


ভিডিও কনফারেন্সে টুঙ্গিপাড়া, কোটালিপাড়া, লোহাগড়া, কাশিয়ানিসহ কয়েকটি উপজেলার উপকারভোগিদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মূখ্য সচিব মোঃ নজিবুর রহমান।


বিবার্তা/জাকিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com