বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে মাইন পুঁতে রাখার অভিযোগ অস্বীকার করেছে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)।
বিজিপি বলেছে, মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী কখনো মাইন বা আইইডি ব্যবহার করে না। তারপরও সীমান্তে মাইন পাওয়া গেলে যৌথভাবে সেগুলো অপসারণ করা হবে। পাশাপাশি মিয়ানমারও ইয়াবার আগ্রাসনে ভুক্তভোগী বলে দাবি করেছে বিজিপি।
এছাড়া রোহিঙ্গা নির্যাতনের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে- ক্ষেপে গিয়ে বিষয়টি আলোচ্য সূচিতে ছিল না বলে এড়িয়ে যান বিজিপি কর্মকর্তারা।
রাজধানীর পিলখানায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদর দফতরে বৃহস্পতিবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেছে বিজিপি।
বিজিবি সদর দফতর পিলখানায় জুলাই থেকে শুরু হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বিজিপির সীমান্ত সম্মেলন। পাঁচদিনের সম্মেলন শেষে বৃহস্পতিবার আয়োজন করা হয় এ যৌথ সংবাদ সম্মেলনের।
বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আনিছুর রহমান বলেন, আমাদের এই সীমান্ত সম্মেলনে দুই দেশের সীমান্তের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যুটি অনেক বড় বিষয়। এটা নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে আলোচনা হচ্ছে। মন্ত্রণালয় পর্যায়ে আলোচনার পাশাপাশি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা কাজ করছে।
ইয়াবার অন্যতম যোগানদাতা মিয়ানমার, চোরাইপথে ইয়াবা প্রবেশ বন্ধে বিজিপির উদ্যোগ প্রসঙ্গে বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মজিবুর রহমান বলেন, মিয়ানমার জানিয়েছে তারাও ইয়াবার আগ্রাসনে ভুক্তভোগী।
ইয়াবাসহ যেকোনো মাদক চোরাচালান রোধে পারস্পারিক সহযোগিতার বিষয়ে বিজিপি আশ্বাস দিয়েছে।
প্রেসব্রিফিংয়ে রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে ক্ষেপে ওঠেন মিয়ানমারের কর্মকর্তারা। প্রশ্ন শুনেই ‘অবজেকশন’ বলে দাঁড়িয়ে যান বিজিপির প্রতিনিধি দলের একাধিক সদস্য। তারা এই বিষয়ে কোনো কথা না বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এ সময় মজিবুর রহমান বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কটের বিষয়টি অনেক বড়। এটা নিয়ে দুই দেশের সরকারের উচ্চপর্যায়ে আলোচনা হচ্ছে। এ বিষয়ে জাতিসংঘ কথা বলছে। এ বিষয়ে আমাদের এই সম্মেলনে কোনো আলোচনা হয়নি, সীমান্ত নিরাপত্তা ও অবৈধ গমনাগমনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
সীমান্তে মাদক, অস্ত্র, নারী ও শিশু পাচারসহ সবধরনের আন্তঃসীমান্ত অপরাধ প্রতিরোধের লক্ষ্যে সমন্বিত যৌথ টহল, সীমান্তে নজরদারি ও অন্যান্য তৎপরতা বৃদ্ধি, উভয় পক্ষের মাঠ পর্যায়ের অধিনায়কদের মধ্যে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা এবং সীমান্তের নিরাপত্তা রক্ষায় পরস্পরের মধ্যে তাৎক্ষণিক তথ্য বিনিময়ে উভয় পক্ষ সম্মত হয়েছে।
মিয়ানমারের চিফ অব পুলিশ জেনারেল স্টাফ, পুলিশ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মায়ো থানের নেতৃত্বে দেশটির ১১ সদস্যের প্রতিনিধিদল সীমান্ত সম্মেলনে অংশ নিয়েছে।
অপরদিকে, বাংলাদেশের পক্ষে বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আনিছুর রহমানের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করেছেন।
বিবার্তা/জাকিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]