শিরোনাম
তিন সিটি নির্বাচনের প্রচার শুরু হচ্ছে আজ
প্রকাশ : ১০ জুলাই ২০১৮, ০৯:১৯
তিন সিটি নির্বাচনের প্রচার শুরু হচ্ছে আজ
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

তিন সিটি করপোরেশন এলাকায় আজ মঙ্গলবার থেকেই শুরু হচ্ছে প্রচারযুদ্ধ। রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দ হবে আজ। ফলে এদিন থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারে নামছেন প্রার্থীরা। যা শেষ হবে আগামী ২৮ জুলাই।


প্রার্থীদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল সোমবার। আর আজ প্রথীক পেয়েই মাঠে নেমে পড়বেন প্রার্থীরা। ভোট গ্রহণ ৩০ জুলাই।


রাজশাহী, সিলেট ও বরিশালে সরকারি দল আওয়ামী লীগ জোটগতভাবেই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। সরকারের শরিক ১৪ দল ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের সমর্থন দিয়েছে। রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রজ্জামান লিটন, সিলেটে সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমেদ কামরান ও বরিশালে সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ।


অপরদিকে বিএনপি আলোচনায় থাকা নেতাদেরই প্রার্থী করেছে। কিন্তু সিলেটে দল ও জোটের মধ্যে বিভেদ দেখা গেছে। সেখানে ২০ দলীয় জোটের প্রভাবশালী শরীক জামায়াত মেয়র প্রার্থী দিয়েছে। অপরদিকে বিএনপির মহানগর সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন।


ইসির যুগ্ম সচিব (চলতি দায়িত্ব) ফরহাদ আহাম্মদ স্বাক্ষরিত মাঠ পর্যায়ে পাঠানো এক নির্দেশনায় ইতোমধ্যে বলা হয়েছে, প্রতীক পাওয়ার পর প্রচার করা যাবে।


নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সিটি করপোরেশন নির্বাচন বিধিমালার বিধি ৫ অনুসারে প্রতীক বরাদ্দের পূর্বে কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে কোনো রাজনৈতিক দল, অন্য কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা কোনো নির্বাচনী প্রচার শুরু করতে পারবে না। এই বিধি সকল প্রার্থী ও তার সমর্থকদের মেনে চলতে হবে।


নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, কোনো প্রার্থী বিধিমালার কোনো বিধান অমান্য করলে, তিনি নির্বাচিত হবার পরও তার প্রার্থিতা বাতিল করতে পারে নির্বাচন কমিশন।


নির্দেশনায় আরো বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট সময়ের আগে প্রচারে নিষেধাজ্ঞা ছাড়াও যে কোনো ধরনের মিছিল বা শোডাউন করা থেকে বিরত থাকতে হবে।


এদিকে প্রচার কাজের জন্য প্রার্থীরা প্রতিটি ওয়ার্ডে কেবল একটি মাত্র মাইক ব্যবহার করতে পারবে। এজন্য সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। আর পথসভা বা ঘরোয়া সভার জন্য অন্তত ২৪ ঘণ্টা আগে স্থানীয় পুলিশ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে। কোনো প্রার্থী অন্য প্রার্থীর বিরুদ্ধে সম্মানহানিকর বা কোনো ধরনের তিক্ত বা উস্কানিমূলক কিংবা লিঙ্গ, সাম্প্রদায়িকতা বা ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগে এমন বক্তব্য দিতে পারবেন না।


নির্বাচনী প্রচার কাজে কেবল মাত্র দলীয় প্রধান হেলিকপ্টার ব্যবহার করতে পারবেন। তবে দলীয় প্রধান যদি সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ তথা, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী বা সংসদ সদস্য হন, তবে তিনি নির্বাচনী প্রচারে যেতে পারবেন না।
রিটার্নিং কর্মকর্তাদের এই সব নির্দেশনা প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করে অথবা যথাযথভাবে প্রচার করে অবহিতও করতে বলেছে নির্বাচন কমিশন।


বিবার্তা/জাকিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com