শিরোনাম
আমার সব বাজেটই নির্বাচনী বাজেট : অর্থমন্ত্রী
প্রকাশ : ০৮ জুন ২০১৮, ১৬:৫১
আমার সব বাজেটই নির্বাচনী বাজেট : অর্থমন্ত্রী
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

আমার সব বাজেটই নির্বাচনী বাজেট বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, “আমি একটি দলের সদস্য ও গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। সে হিসেবে আমার সব বাজেট নির্বাচনী বাজেটই হবে। আমি এমন বাজেট দিই যেটা মানুষ পছন্দ করবে।”


দেশে ‘অভাব’ বলে কোনো শব্দ নেই, ‘মঙ্গাও’ চলে গেছে উল্লেখ করেতিনি বলেন, “বর্তমানে আয় বৈষম্য কমছে। ভিক্ষুকের দেশ থেকে বাংলাদেশ এখন স্বাবলম্বী।”


শুক্রবার দুপুর পৌনে ৩টার দিকে ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।


নতুন অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপনের পরদিন গণমাধ্যমকর্মীদের মুখোমুখি হন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি।


শুরুতেই আয় বৈষম্য নিয়ে প্রশ্ন করলে কিছুটা ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি বলেন, “যারা পরিবর্তন স্কীকার করেন না, তারা এসব কথা বলেন। দেশে এখন দারিদ্র্যের হার ২০ শতাংশ। আপনাদের যখন জন্ম হয়েছে কিংবা জন্মের আগে, দেশে দারিদ্র্যের হার ছিল ৭০ শতাংশ। বোঝেন, কোথায় ছিল বাংলাদেশ এবং এখন কোথায় এসেছে? যারা চূড়ান্ত গরিব, তাদের সংখ্যা ছিল ১৮ শতাংশ। এখন ১১ শতাংশ। সেটা আপনাদের চোখে পড়ে না? দেশে আয় বৈষম্য মোটেও বাড়েনি।”


এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, “যারা নির্বোধ, বাংলা বোঝে না ও যাদের দেশপ্রেম নেই, তারাই বলে ভুয়া বাজেট। ভুয়া বাজেট বলে কিছু নেই। বাজেট যখন দেই, সেটা ভেবেই দেই। এ বছর লক্ষ্যমাত্রা যা নির্ধারণ করেছি তা বাস্তবায়নযোগ্য বলে মনে করি।”


অবশ্য সংবাদ সম্মেলনের শেষের দিকে এসে এ নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এক সময় তলাবিহীন ঝুড়ি ছিলাম, এখন মধ্য আয়ের দেশে যাচ্ছি। একটু আগে যেজন্য ক্ষুব্ধ হয়েছিলাম, কারণ আমার কাছে এসব প্রশ্ন অমূলক ও বাস্তবতা বিবর্জিত মনে হয়েছে। পরে তিনি সেজন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।


আন্তর্জাতিক হারের সাথে সামঞ্জস্য রাখতেই ব্যাংকিং খাতের করপোরেট কর কমানো হয়েছে বলে যুক্তি দেন অর্থমন্ত্রী।


বাজেটে সরকারি চাকরীজীবীদের কি সুবিধা দেয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “সরকারি চাকুরেদের যেসব সুযোগ-সুবিধা বর্তমান সরকার দিয়েছে এর আগে কোনো সরকার সেটা দেয়নি। বেতন ৪০ হাজার থেকে ৭৫ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। ইনক্রিমেন্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্বল্প সুদে গৃহনির্মাণ ঋণ দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।”


সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, পরিকল্পনামন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মসিউর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, প্রধান হুইপ আসম ফিরোজ, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, অর্থসচিব মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, ইআরডি সচিব কাজী শফিকুল আজম, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য শামসুল আলম।


উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।


বর্তমান সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের এটিই শেষ বাজেট। গত অর্থবছরের বাজেট ছিল ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকা।


বিবার্তা/মৌসুমী/সোহান

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com