রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ঈদের অগ্রিম টিকিট দেয়া শুরু হয়েছে কয়েকদিন আগে থেকে। তবে চতুর্থ দিনেও উপচেপড়া ভিড় হয়েছে, পছন্দের টিকেট পেতে ভিড় করেছে হাজারো টিকিটপ্রত্যাশী।
আজ সোমবার সকাল ৮টা থেকে দেয়া হচ্ছে ১৩ জুনের টিকিট। এছাড়া মঙ্গলবার ১৪ এবং বুধবার ১৫ জুনের আগাম টিকিট দেয়া হবে।
যাত্রীদের অনেকে পছন্দের টিকিট কেনার জন্য ২৪ ঘণ্টা আগে কাউন্টারের সামনে এসে দাঁড়িয়েছেন। টিকিটপ্রত্যাশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভোর থেকে অনেকে লাইন ধরেছেন। অনেকে লাইনে আছেন রবিবার বিকেল বা সন্ধ্যা থেকে। তবে দীর্ঘসময় অপেক্ষার পরও প্রত্যাশিত টিকিট না পেয়ে হতাশা অনেক যাত্রীই।
এবার ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে ১ জুন থেকে। এটি চলবে ৬ জুন পর্যন্ত। ফিরতি টিকিট ১০ জুন থেকে ছাড়া হবে।
কালোবাজারে টিকিট বিক্রি বন্ধ করতে পুরো স্টেশন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সিসি টিভিতে নজর রাখা হয়েছে যাত্রীদের ওপর। এছাড়াও দায়িত্ব পালন করছে পুলিশ, র্যাব, আনসার সদস্যরা। আজ সকাল থেকে লাইন ভেঙে টিকিট নেয়া বা কালোবাজারে টিকিট বিক্রির কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী বলেন, প্রতিবছরের মতো ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি চলছে। আজ দেয়া হচ্ছে ১৩ জুনের টিকিট। টিকিট কাউন্টারগুলোতে উপচে পড়া ভিড়। যতক্ষণ কাউন্টারে টিকিট থাকবে, ততক্ষণ দেয়া হবে।
কাঙ্ক্ষিত টিকিট না পাওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সীমিত সম্পদ দিয়ে কিন্তু সবাইকে খুশি করা যায় না। আমরা যতক্ষণ পারব চেষ্টা করব দেয়ার। অগ্রিম টিকিট বিক্রয়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কোনো ত্রুটি নেই। অত্যন্ত শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে টিকিট বিক্রি হচ্ছে।
রেলওয়ে সূত্র বলছে, আজকে ২৭ হাজার ৪৬১টি টিকিট বিক্রি হবে। ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে ২৬টি কাউন্টার থেকে টিকিট বিক্রি চলছে। এর মধ্যে দুটি কাউন্টার নারীদের জন্য সংরক্ষিত। তবে সরেজমিনে দেখা যায়, নারীদের বরাদ্দ করা একটি কাউন্টারে টিকিট বিক্রি বন্ধ আছে।
সোমবার সকাল থেকে নারীদের কাউন্টারে ছিল অনেক ভিড়। একটি কাউন্টার থেকে টিকিট দেয়ায় ভোগান্তি হচ্ছে অভিযোগ করেন তৈরি পোশাক কারখানার এক কর্মকর্তা। তিনি রবিবার রাত ১০টা থেকে তার ছোটবোনকে নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন।
তিনি বলেন, আমাদের এই লাইনটা অনেক বড়। খুব ধীরে এগুচ্ছে। গত রাত থেকে দাঁড়িয়ে আছি টিকিটের জন্য। আমরা সামনের সারিতে আছি। আশা করি প্রত্যাশিত টিকিট পাব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাব্বির আহমেদের বাড়ি চট্টগ্রামে। তিনি রবিবার দিবাগত রাত ৩টায় এসে আজ সকাল ১০টায় দুটি টিকিট পেয়েছেন। কাঙ্ক্ষিত টিকিট হাতে পেয়ে তিনি বলেন, ঈদের সময় চট্টগ্রামে বাসে করে যেতে রাস্তায় অনেক জ্যামে পড়তে হয়, বসে থাকতে হয়। এ জন্যই ট্রেনের টিকিট নিতে আসা। কষ্টটা সার্থক হবে যখন ট্রেনে বাড়ি ফিরবে।
অগ্রিম টিকিট বিক্রির প্রথম তিনদিন প্রতিদিন আন্তঃনগর ট্রেনের ২৩ হাজার ৫১৪টি টিকিট দেয়া হয়। তবে ১৩ তারিখ থেকে ঈদের বিশেষ ট্রেন চলাচল শুরু হবে। সেজন্য সোমবার এসব ট্রেনের ৩ হাজার ৯৪৭টি অতিরিক্ত টিকিটও কাউন্টার থেকে দেয়া শুরু হয়েছে।
বিবার্তা/জাকিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]