কোটা সংস্কারের দাবিতে হ্যাক হওয়া সরকারি ওয়েবসাইটগুলো পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতেই ওয়েবসাইটগুলো পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং বুধবার সকালের মধ্যে ওয়েবসাইটগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরে।

রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটসহ ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ওয়েবসাইট হ্যাক করে হ্যাকাররা।

মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে বেশ কয়েকটি সরকারি সাইটে ব্রাউজ করলে সেগুলো হ্যাক হয়েছে বলে দেখায়। হ্যাকাররা ওই সাইটগুলো হ্যাক করার পর সেখানে উপরে শিরোনাম হিসেবে ‘হ্যাকড বাই বাংলাদেশ’ এবং তার নিচে বাংলাদেশের পতাকা হাতে শাহবাগে আলোচিত প্রতিবাদীর ছবি দেয়।

বঙ্গভবনের ওয়েবসাইট (bangabhaban.gov.bd), প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ওয়েবসাইট (www.pmo.gov.bd), জাতীয় সংসদের ওয়েবসাইট (parliament.portal.gov.bd), স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট (www.mha.gov.bd) বিসিএস প্রশাসনের ওয়েবসাইট (bcsadminacademy.gov.bd) এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে (moa.gov.bd) গেলে একই দৃশ্য দেখা যায়।

তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক দাবি করেছেন, বিদেশ থেকে পরিকল্পিতভাবে মঙ্গলবার রাতে এই সাইবার হামলা চালানো হয়।

তিনি বলেন, কোনো গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে এই কাজ করেছে। দেশের বাইরে থেকে এটা হয়েছে বলে আমরা প্রমাণ পেয়েছি। গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশ পোর্টালে সাইবার হামলার চেষ্টা হচ্ছিল বলে জানান তিনি।

বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদফতরসহ সরকারের সব মিলিয়ে ওয়েব সাইটের সংখ্যা ২৫ হাজার। ওয়েবসাইটগুলো একটি প্ল্যাটফর্মে রাখা আছে। সাইটগুলো প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্পের তত্ত্বাবধানে তৈরি।

তবে সাইটগুলোতে জোরদার নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় সহজেই দেশি-বিদেশি হ্যাকাররা এগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে পারে। এ ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটছে।

সাইটগুলো হ্যাক করার পর সেখানে প্রদর্শিত ছবির নিচে হ্যাশট্যাগ দিয়ে Reform Quota BD, Stop the Genocide, Reform Quota System, Bangladesh, Student Protest, United WE Stand, No_Private or Publice Discrimination বেশ কিছু শ্লোগান লেখা হয়।

বিবার্তা/জাকিয়া

>>রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ ৬ সরকারি ওয়েবসাইট হ্যাক