বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি বৃষ্টি ঝরিয়ে দুর্বল হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে, এর প্রভাবে দেশের আরও একদিন সাত বিভাগে ভারী বৃষ্টির সতর্কবার্তা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

৩০ মে, শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থল নিম্নচাপাটি দুর্বল হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হওয়ার তথ্য দিয়ে আবহাওয়ার সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, সুস্পষ্ট লঘুচাপটি শেরপুর ও সংলগ্ন মেঘালয়ে অবস্থান করছে।

এর প্রভাবে এদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় রংপুর, খুলনা, বরিশাল, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি হতে পারে।

অতি ভারি বৃষ্টির ফলে চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবন ও কক্সবাজার জেলার পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে।

সেই সঙ্গে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর কোথাও কোথাও অস্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা তৈরি হতে পারে।

সাধারণত ২৪ ঘণ্টায় ১ থেকে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে হালকা, ১১ থেকে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি, ২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি ধরনের ভারি, ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে ভারি এবং ৮৮ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি রেকর্ড হলে তাকে বলা হয়ে থাকে অতি ভারি বৃষ্টিপাত।

মঙ্গলবার বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ তৈরি হয়, যা পরে আরো ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়। সুস্পষ্ট লঘুচাপটি বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় নিম্নচাপে পরিণত হয়। পরে সেটি পরিণত হয় গভীর নিম্নচাপে। রাতেই সেটি নিম্নচাপে পরিণত হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় সেটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হল।

আবহাওয়ার সবশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরে বলা হয়, টাঙ্গাইল ও সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত স্থল নিম্নচাপটি উত্তর বা উত্তরপূর্ব দিকে এগিয়ে স্থল সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে সন্ধ্যা ৬টায় শেরপুর ও সংলগ্ন মেঘালয়ে অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর বা উত্তরপূর্ব দিকে এগিয়ে বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমশ দুর্বল হতে পারে।

স্থল সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন উপকূলীয় অঞ্চলে গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার তৈরি হচ্ছে এবং বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দরগুলো, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

বিবার্তা/এসএস