
দেশের সবচেয়ে উত্তরের জেলা হিমালয় কন্যা খ্যাত পঞ্চগড়ে পৌষ আর মাঘ মাসে প্রচন্ড ঠান্ডা পড়ে। তাপমাত্রাও নেমেে আসে ১০ ডিগ্রির নিচে। এবার পৌষ মাস আসার আগেই ১০ ডিগ্রিতে নেমে এসেছে তাপমাত্রা। এতে এ জেলায় অনুভূত হচ্ছে কনকনে শীত। আর এ শীত উপেক্ষা করেই দরিদ্র শ্রেণির মানুষগুলো ছুটছেন কাজের উদ্দেশ্যে।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) ভোর ৬টায় ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কার্যালয়।
স্থানীয় সাহেব আলী, মিরালি ও জাবের আলী বলেন, পৌষ মাস না পরতেই কনকনে ঠান্ডা অনুভূত। তবে সকাল ১০টার পর থেকে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। দিনের বেলায় বেশ গরম থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে আবার উত্তর দিক থেকে ঠান্ডা বাতাস বইতে থাকলে শীত লাগতে শুরু করে। শীতের কাপড় বের করতে হয়েছে। রাত বাড়তে থাকলে শীতও বাড়তে থাকে।
সিহাব, সুমন, সোহেল ও তানজিমসহ কয়েকজন পর্যটক বলেন, দারুণ সময় উপভোগ করছি আমরা। একদিকে বরফের পাহাড়, একই সঙ্গে শীত দুটোই উপভোগ্য হয়ে উঠেছে। উত্তরের এ জেলাটি বরফের পাহাড় হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘার বিধৌত এলাকা হওয়ায় এখানে সবার আগে শীত নামে।
এদিকে শীতে বেড়েছে জ্বর, সর্দি, কাশি, হাপানিসহ বিভিন্ন শীতজনিত রোগব্যাধি। তেঁতুলিয়া ৫০ শয্যা হাসপাতালসহ জেলার পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
পঞ্চগড়ের প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সহকারি কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ বলেন, শনিবার ভোর ৬টায় তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পৌষ আর মাঘ মাসে প্রচন্ড ঠান্ডা পড়ে এখানে। তাপমাত্রা অনেক নিচে নেমে আসে। এখন দিন যত যাবে তাপমাত্রা আরও কমতে থাকবে।
বিবার্তা/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]