'সংশোধনে আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন আন্তর্জাতিক মানের হয়েছে'
প্রকাশ : ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৮:১৪
'সংশোধনে আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন আন্তর্জাতিক মানের হয়েছে'
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন ১৯৭৩ সংশোধন করায় এটি ‘আন্তর্জাতিক মানের’ হয়েছে বলে দাবি করছেন আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর প্রসিকিউটর বা রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর দায়িত্ব পাওয়া গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামিম।


২৫ নভেম্বর, সোমবার ট্রাইব্যুনালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই দাবি করেন। এ সময় আরও কয়েকজন প্রসিকিউটর উপস্থিত ছিলেন।


গত জুলাই-আগস্টে সরকার পতন আন্দোলনে প্রাণহানির ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ বিবেচনা করে ট্রাইব্যুনালে বিচারের উদ্যোগ নিয়েছে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার, যে আদালতটি ২০১০ সালে আওয়ামী লীগ সরকার আমলে স্থাপন করা হয় মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের বিচারের জন্য। সেই বিচারে জামায়াত নেতাদের আইনজীবী তাজুল ইসলামকে চিফ প্রসিকিউটর করে বিচারক পাল্টানো হয়েছে, তদন্ত সংস্থাতেও এসেছে নতুন মুখ। সংশোধন করা হয়েছে আইনও।


প্রসিকিউটর তামিম দাবি করেন, ‘ন্যায়বিচারের’ স্বার্থে ‘আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে’ এই সংশোধনীগুলো করা হয়েছে।


তিনি বলেন, এই আইনে ‘ডিফেন্স কাউন্সিলের’ জন্য কোনো সেকশন ছিল না, এখন ডিফেন্স রাইটসের ব্যাপারে সেকশন করা হয়েছে। সেকশন ১৭ তে আগে আসামিরা ‘স্টেটমেন্ট’ দেওয়ার সুযোগ পেত, এখন আরও বিষদ আকারে তাদের কথাগুলো বলতে পারবেন। আগে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে থেকে এ আইনের অপরাধ করলে তার বিচার করা যেত; এখন বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কিংবা বিদেশে থেকেও এ আইনের অপরাধ করলে তার বিচার করা যাবে। আবার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে থেকে যদি কোনো বিদেশিও এ অপরাধ করে থাকে তার বিচার করা যাবে।


তিনি আরো বলেন, আগে আইনে ‘নির্যাতন’, ‘অপহরণে’ ও ‘বন্দি’ ছিল; আন্তর্জাতিক আইনে এটা ‘জোরপূর্বক গুম’, এটাও সংযোজন করা হয়েছে বলেও জানান তামিম।


আপিলের বিষয়ে তিনি বলেন, এ ট্রাইব্যুনালের অন্তর্বর্তী আদেশের বিরুদ্ধে, যেমন আদালত অবমাননার ক্ষেত্রে কেউ চাইলে আপিল বিভাগে যেতে পারবে।


আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, আগে আইনে ছিল ‘সশস্ত্র বাহিনীর’ কথা, এখন বলা হয়েছে ‘শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য’; এর মধ্যে রয়েছে তিন বাহিনী, সাথে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি এবং যে কোনো গোয়েন্দা সংস্থাসহ আনসার বাহিনীকেও এর সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।


কোন কোন ধারার কারণে এটিকে আন্তর্জাতিক মানের বলা হচ্ছে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সেকশন ২, ৪, ১২, ১৭, ২০, এই ধারাগুলোর কারণে। সেকশন ১২ তে ডিফেন্স কাউন্সিলকে অধিকার দেওয়া হয়েছে, সেকশন ১৭ তে অভিযুক্তদের অধিকার দেওয়া হয়েছে। সেকশন ৯ এ শুনানির ব্যাপারে আসামিদের আগে তিন সপ্তাহ সময় দেওয়া হত, এখন ছয় সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। আগে অনুমতি নিয়ে সীমিত নথি দিতে পারত, এখন ডিফেন্স চাইলে অনুমতি নিয়ে যে কোনো সময় নথিপত্র জমা দিতে পারবে।


অভিযোগ গঠন শুনানি প্রসঙ্গে তামিম বলেন, আগে অভিযোগ শুনানির সময় সাক্ষীদের নাম দিতে হত, এখন ডিফেন্স চাইলে বিচারের যে কোনো সময় সাক্ষীর নাম দিতে পারবে।


১৯৭১ সালের মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় করা মামলাগুলো নিয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, এই সংশোধনী ২০০৯ সাল থেকে কার্যকর বলে ধরা হবে।


বিবার্তা/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com