
পাহাড়ে কেউ যাতে ইন্ধন জোগাতে না পারে, সে জন্য পাহাড়িদের দুঃখ-বেদনা বুঝে, শান্তি বজায় ও সৌহার্দ্য স্থাপনে সব পক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে। পাহাড় শান্ত না থাকলে কেউই শান্তিতে থাকতে পারবে না।
২২ সেপ্টেম্বর, রবিবার সরকারি এক সফরে বরিশালের বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে যাই হচ্ছে না কেন, সাধারণ মানুষ কষ্ট পাচ্ছেন। এটা আমাদের উপলব্ধি করতে হবে। স্থানীয় প্রশাসনকে গুরুত্ব দিতে হবে। পাশাপাশি সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে। পাহাড়ে সব সময় সমস্যা ছিল। সেখানে বাঙালি বাদে ১৩ থেকে ১৪টি কমিউনিটি আছে, কেউ ছোট বা কেউ বড়। তাঁদের মধ্যে সৌহার্দ্যের ব্যাপার আছে। সৌহার্দ্য বজায় রাখতে হলে অপাহাড়ি যাঁরা আছেন, তাঁদের বুঝতে হবে পাহাড়িদের দুঃখ ও বেদনা। স্থানীয়ভাবে এই সৌহার্দ্য বাড়াতে হবে।
এসময় পাহাড়ি অঞ্চলে উত্তপ্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সব পক্ষকে আহ্বান জানান তিনি।
দুর্নীতি সম্পর্কে তিনি বলেন, নৌ, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে ভয়াবহ দুর্নীতি হয়েছে, মহাসাগর চুরি হয়েছে। এমন কোনো ডিপার্টমেন্ট নেই, কোনো সিস্টেম নেই যে করাপ্ট করা হয়নি। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় তো শেষ করে ফেলা হয়েছে, অলমোস্ট ফিনিশড (প্রায় নিঃশেষ)। আমরা চেষ্টা করছি এগুলো ঠিক করার। তবে এটা দুই অথবা তিন বছরে ঠিক করা সম্ভব না। সরকারি পাটকল একটাও চলছে না, আমরা চেষ্টা করছি সেগুলো লিজ দিয়ে চালু করার। সরকারের পক্ষে ব্যবসা করা সম্ভব না। দুর্নীতি রোধে দেশবাসীর কাছে সহায়তাও চাই।
মব জাস্টিসের পক্ষ নয় জানিয়ে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার ওপর গুরুত্ব দেন এম সাখাওয়াত।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, শেখ হাসিনা সেনানিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল আবদুল কাইয়ুম মোল্লা, বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মো. মঞ্জুর মোর্শেদ আলম, বরিশালের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনসহ স্থানীয় সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
একাডেমি পরিদর্শন শেষে তিনি জানান, দেশের মেরিন একাডেমিগুলোর আধুনিকায়ন এবং এসব প্রতিষ্ঠান থেকে পাশ করা শিক্ষার্থীদের বৈশ্বিক নৌ সেক্টরে আরও বেশি সংযুক্ত করার ব্যাপারে সরকারের সদিচ্ছা রয়েছে।
বিবার্তা/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]