'মামলাগুলো টিকবে না, এগুলো ছাত্র আন্দোলনের ফসলকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে'
প্রকাশ : ২৫ আগস্ট ২০২৪, ১০:৪২
'মামলাগুলো টিকবে না, এগুলো ছাত্র আন্দোলনের ফসলকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে'
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর তার মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে নানা মামলা হচ্ছে। এসব মামলা প্রসঙ্গে আইনজীবী সারা হোসেন বলেছেন, এগুলো টিকবে না এবং প্রথম ধাপ পার হতে পারবে না। ছাত্র আন্দোলনের ফসলকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে মামলাগুলো।


শনিবার ‘সিভিল রিফর্ম গ্রুপ-বাংলাদেশ ২.০’–এর উদ্যোগে আয়োজিত এক নাগরিক সংলাপে সারা হোসেন এ কথা বলেন। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) কার্যালয়ে এ সংলাপের আয়োজন করা হয়।


বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) অবৈতনিক নির্বাহী পরিচালক সারা হোসেন বলেন, দুই সপ্তাহ ধরে নানা ধরনের মামলা দেখা যাচ্ছে। কোনোটিতে ৩০, ৪০ ও ৫০ জনের বেশি করে আসামি। অনেকের রাগ ও ক্ষোভ থাকতে পারে, কিন্তু এ ধরনের মামলা লিখলে কাজ হবে না, টিকবে না। প্রথম ধাপই পার হতে পারবে না।


মামলাগুলো আন্দোলন ও আন্দোলনের ফসলকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এটা বন্ধ করতে হবে।


সারা হোসেন বলেন, ‘এই মামলা কি পুলিশ করছে? সৎভাবে করছে? বুঝে করছে?’ তিনি বলেন, মামলার এজাহার ক্ষোভ ঝাড়ার জায়গা নয়।


ব্রিটিশ আমলের মানহানি আইনে এখনো মামলা হচ্ছে এবং কিছুদিন ধরে তা আবার দেখা যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন এই আইনজীবী।


তিনি বলেন, নতুন স্বাধীনতায় ব্রিটিশ আমলের আইন টেনে আনা হচ্ছে। এটা দুঃখজনক।


মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের রিমান্ডে নিয়ে কী হচ্ছে, কে কী বলছে—সেসব বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে আসছে।


এ প্রসঙ্গে সারা হোসেন বলেন, ১৫ বছর ধরে রিমান্ডে কী কথা হয়েছে, তা সূত্র দিয়ে গণমাধ্যমে আসছে। রিমান্ডে কী বলা হয়েছে বা না হয়েছে, তা কিন্তু কেউ জানে না। কিন্তু গণমাধ্যমে তা প্রকাশ হচ্ছে। এটার জন্য কাউকে জবাবদিহি করা হয়নি।


রিমান্ডের বক্তব্য এভাবে প্রকাশ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আইনকে নিজের মতো চলতে দিন। অনেক ক্ষোভ, রাগ আছে। আপনারা এটা ফেস (মুখোমুখি হওয়া) করেছেন বলে অন্য কাউকে এটার মধ্য দিয়ে নেবেন না।’


কোটা সংস্কার আন্দোলন ও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে অন্তত ৮০ শিশু নিহত হয়েছে জানিয়ে সারা হোসেন বলেন, এই শিশুদের নিহত হওয়ার ভিডিও ফুটেজ যদি কারও কাছে থাকে, সেগুলো সংগ্রহ করে মামলায় সাক্ষ্যপ্রমাণ হিসেবে এগোতে হবে। আদালতকে সুযোগ দিতে হবে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য। পাশাপাশি দ্রুত বিচার আইন ছাড়া এ অভ্যুত্থানে নিহত ব্যক্তিদের বিচারের মামলা কার্যক্রম যেন সঙ্গে সঙ্গে পরিচালনার জন্য আদালত থেকে নির্দেশ আসতে হবে। তাহলে নিশ্বাস ফেলা যাবে এবং দেশ গঠনের কাজে নামা যাবে।


বিবার্তা/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com