
কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ফল দোকানি মো. ফরিদ শেখকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও বোন শেখ রেহানাসহ ২১ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
২০ আগস্ট, মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাকিল আহাম্মদের আদালতে মামলার আবেদন করেন ফরিদ শেখের বাবা মো. সুলতান শেখ। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) আগামী ১ অক্টোবরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, হাছান মাহমুদ, জুনায়েদ আহমেদ পলক, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মোহাম্মদ আলী আরাফাত, শেখ ফজলে নূর তাপস, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সৈয়দ নুরুল ইসলাম, হারুন-অর-রশিদ, বিপ্লব কুমার, হাবিবুর রহমান, হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, আমির হোসেন আমু, সাদ্দাম হোসেন, আবুল হাসান। এছাড়াও অজ্ঞাতনামা ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ৪ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলন চলাকালীন বিকেল সাড়ে ৩টায় ফরিদ শেখ যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারের টোল প্লাজার দক্ষিণ পাশের রাস্তা দিয়ে তার ফলের দোকানে যাচ্ছিলেন। এ সময় পুলিশের গুলির আঘাতে মারাত্মক জখম প্রাপ্ত হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। গুলিটি ফরিদ শেখের পেটের ডান পাশে লেগে বাম পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। পরে আশপাশের লোকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফরিদকে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬ আগস্ট হাসপাতালে মারা যান তিনি।
বিবার্তা/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]