
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির সাথে টেলিফোনে আলোচনা করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে এক ব্রিফিংয়ে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ এবং পশ্চিম এশিয়ার বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন।
ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন ভারতে অবস্থান করছেন। ভারতে তার অবস্থানে মধ্যেই যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে কথা বললেন জয়শঙ্কর।
তিনি যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন বলে ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর আসে। যদিও শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় জানিয়েছেন, তার মা যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক আশ্রয় চাননি।
শেখ হাসিনার ভবিষ্যত পরিকল্পনা কী সে বিষয়ে এখনও ভারত বা যুক্তরাজ্য এখন পর্যন্ত কিছু জানায়নি।
যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের সূত্র বার্তা সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছে, রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়ার জন্য দেশটিতে ভ্রমণ করার অনুমতি দেওয়া হয় না।
এদিকে নিয়মিত ওই ব্রিফিংয়ে রণধীর জয়সওয়াল জানান, বাংলাদেশের পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। বাংলাদেশে যাতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর কোনো হামলার ঘটনা না ঘটে, তার জন্য একাধিক গ্রুপ, সংস্থা এগিয়ে আসছে। যে উদ্যোগ প্রশংসনীয়।
তবে বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া না পর্যন্ত সে দেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে নিশ্চিন্ত হওয়া যাচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেন রণধীর জয়সওয়াল।
এদিকে, বাংলাদেশে যেসব ভারতীয় আটকে রয়েছেন তাদের সহযোগিতা করছে ভারতীয় হাই কমিশন। এমনকী অনেকেই তাদের দেশে ফিরেছে বলে জানিয়েছেন রণধীর।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র বলেন, আমরা বাংলাদেশের পরিস্থিতির ওপর নজর রেখেছি। আশা করছি সেখানকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি দ্রুত উন্নত হবে, যাতে ভারতের সঙ্গে আবার ভালোভাবে যোগাযোগ স্থাপন করা যায়। আমরা বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছি। তাদের আমরা অনুরোধ করেছি, যাতে ভারতীয় হাই কমিশনে যুক্ত কর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করে। আমাদের প্রত্যাশা খুব শিগগিরই সেদেশের আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক হবে এবং দেশের সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠবে।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]