
বিশ্ব বাঘ দিবস আজ। বাঘের আবাস রক্ষা ও সংরক্ষণের জন্য সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে প্রতি বছরের ২৯ জুলাই পালন করা হয় দিবসটি। বাঘ শুমারির ফলাফল প্রকাশ করা হবে আগামী মাসে। তখন জানা যাবে বাঘের প্রকৃত সংখ্যা।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সুন্দরবনের বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় গত বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ক্যামেরা ট্র্যাপিং পদ্ধতিতে সাতক্ষীরা ও খুলনা রেঞ্জে শুমারি হয়। এ বছরের প্রথম দিকে বনের চাঁদপাই ও শরণখোলা রেঞ্জেও একই পদ্ধতিতে শুমারি করা হয়েছে। ৪০ দিন ধরে প্রতিটি রেঞ্জের ১৪৫টি পয়েন্টে দুটি করে ক্যামেরা বসানো হয়েছিল। এ ছাড়া সুন্দরবনে খাল সার্ভের মাধ্যমে বাঘের পায়ের ছাপ সংগ্রহ করা হয়। প্রায় চার মাস আগে শুমারির মাঠ পর্যায়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্প পরিচালক ও সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন জানান, বাঘের প্রায় সাড়ে সাত হাজার ছবি পাওয়া গেছে। একই বাঘের ছবি পাওয়া গেছে বহুবার। এজন্য বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে প্রতিটি বাঘের ‘ইউনিক আইডি’ করা হয়েছে। এসব ছবি বিশেষজ্ঞদের কাছে সরবরাহ করা হয়েছে। তারা সেগুলো বিশ্লেষণ করছেন।
তার তথ্যমতে, এবারের শুমারিতে সুন্দরবনের অন্য তিনটি রেঞ্জের মতো খুলনা রেঞ্জেও বাঘের অনেক ছবি পাওয়া গেছে। এবারই প্রথম সবচেয়ে বেশি বাঘের বাচ্চার ছবি পেয়েছি। এ থেকে ধারণা করছি, বাঘ আগের তুলনায় বেড়েছে। তবে সংখ্যা কত, তা জানাতে কয়েকদিন সময় লাগবে।
এর আগে ২০১৮ সালে ক্যামেরা ট্র্যাপিং পদ্ধতিতে করা শুমারি অনুযায়ী সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ছিল ১১৪।
সুন্দরবন একাডেমির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির বলেন, বাঘের সংখ্যা বাড়লেও হুমকিগুলো আগের মতোই রয়েছে। লোকালয়ে আসা বাঘ পিটিয়ে হত্যা এবং বাঘ শিকার– এ দুটিই বড় হুমকি।
বিবার্তা/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]