সাংবাদিকরা সমাজের অগ্রসর অংশ সমাজকে পথ দেখায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রকাশ : ০৭ জুন ২০২৪, ১৫:৩০
সাংবাদিকরা সমাজের অগ্রসর অংশ সমাজকে পথ দেখায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ৬২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের অগ্রসর অংশ, সমাজকে পথ দেখায়। সমাজের অনুম্মোচিত বিষয়গুলো উম্মোচিত করে। সমাজ, রাষ্ট্র-সমাজপতি যেদিকে তাকান সেদিকে তাদের দৃষ্টি আবদ্ধ করে। এমন অনেকগুলো বিষয় আছে যেগুলো রাষ্ট্র দেখেনা। রাষ্ট্র পরিচালনার সাথে যারা যুক্ত, তারাও দেখেনা। কিংবা সমাজ যারা চালায়, তারাও দেখেনা, দেখার প্রয়োজনও মনে করেনা। এমন অনেক বিষয় সাংবাদিকরা উম্মেচিত করে। যেটি দেশ চালাতে সমাজ ও রাষ্ট্রকে সঠিকখাতে প্রবাহিত করার ক্ষেত্রে ভুমিকা রাখে। সাংবাদিকরা একটি সমাজ বিনির্মাণে প্রচণ্ড ভুমিকা রাখতে পারে এবং রাখে।


বৃহস্পতিবার (৬ জুন) রাত ৯টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ৬২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।


অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি- সাধারণ সম্পাদকদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।


প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি- সাধারণ সম্পাদকদের সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি (১৯৮৫-৮৫) দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেক-এর পক্ষে সম্মাননা স্মরক গ্রহণ করেন দৈনিক আজাদীর নির্বাহী সম্পাদক শিহাব মালেক।


চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ (১৯৬৫-৭২) দৈনিক আজাদীর সাবেক সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ-এর পক্ষে সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করেন অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদের পুত্র সাংবাদিক মোহাম্মদ জহির।


অনুষ্ঠানে ১৯৬২ সাল থেকে সর্বশেষ ২০২২ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে দায়িত্ব পালনকারী সাবেক সভাপতি - সাধারণ সম্পাদকগণকে ফুলেল শুভেচছা জানানোর পাশাপাশি সম্মাননা স্মারক ও উত্তোরীয় পরিয়ে সংবর্ধনা জানানো হয়।


পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপিসহ কিছু গোষ্ঠি আছে তারা চোখে ভালো কিছু দেখেন না। প্রকৃতপক্ষে গত ১৫ বছরে প্রতিটা বাজেট বাস্তবায়নের হার হচ্ছে ৯২ থেকে ৯৭ শতাংশ। আজকে সংসদে প্রায় আট লক্ষ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ হয়েছে। প্রতিবার বাজেট পেশ করার পর আপনারা দেখবেন বিএনপির পক্ষ থেকে একটা সংবাদ সম্মেলন করা হয়, বলা হয় এই বাজেট গণবিরোধী, গরীব মারার বাজেট, এই বাজেটে কোন উপকার হবেনা।


তিনি বলেন, আবার যারা নিজেদের জ্ঞানী বলে মনে করেন, তারা কোন কিছুতে ভুল না ধরলে উনি যে জ্ঞানী এটাতো বুঝানো যায়না। সেজন্য সবকিছুতে ভুল ধরা উনাদের অভ্যাস। সেজন্য তারা বলেন যে, এই বাজেট বাস্তবায়ন যোগ্য নয়।


ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গত ১৫ বছরে প্রতিটা বাজেট বাস্তবায়নের হার হচ্ছে ৯২ থেকে ৯৭ শতাংশ। এবং বাজেটের আকার গত ১৫ বছরে সাড়ে ১১ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। মাথাপিছু আয় সাড়ে ৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। জিডিপির আকার প্রায় ৬ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বাংলাদেশে দারিদ্রসীমার নিচে থাকা জনগোষ্ঠি ছিল ৪১ শতাংশ। সেখান থেকে ১৮.৭ শতাংশে নেমেছে। অতি দারিদ্রতা ২২ শতাংশ ছিল, সেখান থেকে সাড়ে ৫ শতাংশে নেমেছে।


তিনি বলেন, বাজেট যদি গরীবের উপকারে না আসত, তাহলে দারিদ্রতা ও অতিদারিদ্রতা কমত না। মানুষের আয় সাড়ে ৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে ডলারের অংকে, টাকার অংকে আরো বেশি। এটি সম্ভবপর হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী ও তার নেতৃত্বাধীন সরকারের বাস্তবসম্মত বাজেট প্রণয়ন এবং সেই বাজেট বাস্তবায়নের কারণে।


পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সবকিছুতে না বলার যে অপসংস্কৃতি এটি দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির জন্য বাঁধা। সাংবাদিকরা সরকারের ভুলত্রুটি তুলে ধরবেন, সেটিকে আমরা স্বাগত জানাই। কাজকে পরিশুদ্ধভাবে করার ক্ষেত্রে সেটি সহায়ক হয়। অনেক সময় দেখা যায় কিছু কিছু প্রতিবেদন এমন ভাবে হয় সেগুলো দেশের জন্য ক্ষতিকারক।


ড. হাছান বলেন, আসলে বাংলাদেশে বিএনপি জামাতসহ কিছু বিরোধী রাজনৈতিক দল আছে, আর কিছু গোষ্ঠি আছে, পদ্মাসেতু দিয়ে গাড়ি চালিয়ে ওপারে গিয়ে বলে, দেশে কোন উন্নয়ন হয়নি। ঢাকায় এলিভেটেড এক্সপ্রেস দিয়ে গাড়ি চালিয়ে গিয়ে বলে এসব শুধু বড় লোকের জন্য। এলিভেটেড এক্সপ্রেস দিয়ে কিন্তু পাবলিক বাসও চলে।


চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি সালাউদ্দিন মো. রেজার সভাপতিত্বে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ শাহরিয়ারের সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক।


অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম, সিডিএ’র চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ, মহানগর পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, লায়ন আলহাজ্ব রফিক আহমদ, চট্টগ্রাম চেম্বারের প্রেসিডেন্ট ওমর হাজ্জাজ, রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহসানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, বিজিএমইএর প্রথম সহ সভাপতি নজরুল ইসলাম, হাজী সাহাব উদ্দিনসহ চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব ব্যবস্থাপনা কমিটির সকল কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


বিবার্তা/জাহেদ/লিমন

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com