জিম্মি জাহাজের ৫৫ হাজার টন কয়লার দাম সম্পর্কে যা জানা গেল
প্রকাশ : ১৭ মার্চ ২০২৪, ২৩:১০
জিম্মি জাহাজের ৫৫ হাজার টন কয়লার দাম সম্পর্কে যা জানা গেল
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে সোমালীয় জলদস্যুদের কবলে পড়েছে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’। এতে ২৩ বাংলাদেশি ক্রু নাবিক ছিলেন, যাদের সবাইকেই জিম্মি করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার তাদের জিম্মি করে জলদস্যুরা জাহাজটিকে নিজেদের নিয়ন্ত্রিত জলসীমায় নিয়ে গেছে।



এদিকে জাহাজে থাকা নাবিকদের সঙ্গে খুব সীমিত পরিসরে কথা বলার সুযোগ দিচ্ছে জলদস্যুরা। ১৭ মার্চ, রবিবার দিনভর নাবিকদের সঙ্গে কারো কোনো যোগাযোগ করতে দেয়নি জলদস্যুরা। শনিবার (১৬ মার্চ) দিনভরও ছিল অভিন্ন চিত্র। দিনভর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখার পর রাত আটটার দিকে একজন নাবিকের সঙ্গে মালিকপক্ষকে কথা বলতে দিয়েছে জলদস্যুরা।


জানতে চাইলে কেএসআরএম গ্রুপের মুখপাত্র ও গণমাধ্যম উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘জাহাজে জিম্মি থাকা নাবিক ও ক্রুদের সঙ্গে খুব সীমিত পরিসরে কথা হয় আমাদের। সেখানে বিস্তারিত কিছু জিজ্ঞেস করার সুযোগ থাকছে না। আজ সারাদিন নাবিকদের কারো সঙ্গে আমরা কথা বলার সুযোগ পাইনি। গতকাল শনিবার দিনভর ছিল এমন যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা। রাত আটটার দিকে একজন নাবিকের সঙ্গে অল্প সময় কথা বলার সুযোগ পাই আমরা।’


জাহাজে থাকা কয়লার দাম কত? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা আমরা জানা নেই। তবে পণ্যের পরিমাণ প্রায় ৫৫ হাজার টন।’ জানা গেছে, জাহাজে থাকা এসব কয়লার মূল্য প্রায় ৮০ কোটি টাকা বা ৬৬ লাখ ডলার। আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন কয়লার দাম ১১০ থেকে ১২০ ডলারে ওঠানামা করছে। নিউক্যাসেল কোল ইনডেক্স অনুযায়ী প্রতি টন কয়লার দাম ১৩০ থেকে ১৪০ ডলার। আবার ইন্দোনেশিয়া কোল ইনডেক্স অনুযায়ী প্রতি টন কয়লার দাম ১১৫ থেকে ১২০ ডলার।


উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক রুটে চলাচল করা ২৩টি জাহাজ রয়েছে কবির গ্রুপের অধীনে। এর আগে ২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালীয় জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল এসআর শিপিংয়ের জাহাজ জাহান মণি। নিকেল ভর্তি ওই জাহাজের ২৫ নাবিক ও প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয় তখন। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের মাথায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা। পরে তাদের উদ্ধার করে দেশে ফিরিয়ে আনে কবির গ্রুপ।


প্রসঙ্গত, ভারত মহাসাগরে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) জাহাজটি জলদস্যুর কবলে পড়ার পর বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সোমালিয়ার উপকূল থেকে সাত নটিক্যাল মাইল দূরে জাহাজটি নোঙর করেছিল। এরপর দস্যুদের আগের দল জাহাজ থেকে নেমে পড়ে। আরও ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ১৫-২০ জনের নতুন আরেকটি দল জাহাজের দায়িত্ব নেয়।


নোঙর তুলে শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিকেলে তারাই জাহাজটির অবস্থান পরিবর্তন করে। তাদের সঙ্গে আছেন ইংরেজি জানা একজন দোভাষী। শনিবার (১৬ মার্চ) পর্যন্ত সোমালিয়ার জলদস্যুরা মুক্তিপণ দাবি করেনি। এ ব্যাপারে মালিক পক্ষেরও কারও সঙ্গে যোগাযোগ করেনি তারা। ধারণা করা হচ্ছে, শিগগির তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে মুক্তিপণের প্রস্তাব পাঠাবে জলদস্যুরা।


বিবার্তা/এমজে

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com