প্রিন্সেস ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড পেলেন দুই বাংলাদেশি
প্রকাশ : ১৫ মার্চ ২০২৪, ১৯:৪৭
প্রিন্সেস ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড পেলেন দুই বাংলাদেশি
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

প্রয়াত প্রিন্সেস অফ ওয়েলস ডায়ানার স্মরণে এ বছরের দ্য লিগ্যাসি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন বিশ্বজুড়ে ২০ জন ব্যতিক্রমী তরুণ-তরুণী। এ বছর ডায়ানা অ্যাওয়ার্ডের ২৫তম বার্ষিকীতে পুরষ্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে আছেন ২ জন বাংলাদেশি। তারা হলেন- নাফিরা নাঈম আহমদ ও শামীম আহমেদ মৃধা। মূলত প্রশংসনীয় সামাজিক কর্ম বা মানবিক কাজের জন্য এ পুরষ্কার দেয়া হয়।


দ্য ডায়ানা অ্যাওয়ার্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, নাইজেরিয়া, ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, রোমানিয়া, জ্যামাইকা, কেম্যান দ্বীপপুঞ্জ ও অস্ট্রেলিয়া থেকে তরুণ-তরুণীরা এ বছর অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। তারা সমাজে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই প্রিন্সেস ডায়ানাকে কেবল ‘ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব’ হিসাবে জানেন।


ডায়না অ্যাওয়ার্ডের প্রধান নির্বাহী ড. টেসি ওজো সিবিই বলেন, বিশ্বকে পরিবর্তন করার ক্ষমতা রয়েছে তরুণদের। সাহস, নিঃস্বার্থতা এবং দৃঢ় সংকল্পের মাধ্যমে তারা প্রচণ্ড প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়ে পরিবর্তন আনছেন। আজ এবং আগামী বছরগুলোতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে তরুণদের সহানুভূতি ও দৃঢ়তার গুরুত্ব অপরিসীম।


সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, একটি স্বাধীন বিচারক প্যানেল ২০ জনকে অ্যাওয়ার্ড প্রদানের জন্য বেছে নিয়েছে। ব্যতিক্রমী ব্যক্তিদের একটি দল থেকে মাত্র ২০ জনকে বেছে নেওয়ার কঠিন কাজটি ছিল।


বাংলাদেশি যে ২ জন পেলেন ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড:


নাফিরা নাঈম আহমদ বয়স ২০। ডায়ানা অ্যাওয়ার্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, পুরুষতান্ত্রিক সমাজে বেড়ে ওঠা নাফিরা বাংলাদেশে সামাজিক ট্যাবু ও বৈষম্য দূর করতে বদ্ধপরিকর। তিনি ‘এমপ্লিটিউড’ নামে একটি অলাভজনক সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন, যা বাংলাদেশের তরুণদের নেতৃত্বে একটি অলাভজনক সংস্থা।


সংস্থাটি টেকসই সমাধান প্রদানের মাধ্যমে বৈষম্য দূর করার চেষ্টা করে। নানা প্রতিকূলতা মোকাবেলা করেও নাফিরা সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। তিনি প্রান্তিক মানুষদের সাহায্য করার জন্য ৩০টির বেশি দাতব্য ইভেন্টের নেতৃত্ব দিয়েছেন, যার মধ্যে একটি শিল্প প্রদর্শনী রয়েছে এতিমদের জন্য।


শামীম আহমেদ মৃধা বয়স ২৬। ডায়ানা অ্যাওয়ার্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, শামীম ইকো-নেটওয়ার্ক গ্লোবালের প্রতিষ্ঠাতা। একাধিক দেশের বৃহত্তম যুব গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে একটি, যার লক্ষ্য প্রশিক্ষণ কর্মসূচি এবং সচেতনতা প্রচারের মাধ্যমে যথাযথ জলবায়ু শিক্ষা নিশ্চিত করা। প্রকল্পটি অনলাইন এবং অফলাইন উভয় ক্ষেত্রেই ৫০ হাজারের বেশি তরুণকে জলবায়ু শিক্ষা প্রদান করেছে এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকী স্মরণে ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০,০০০ গাছ লাগানোর লক্ষ্য নিয়েছে।


ওকালতির পাশাপাশি শামীম মানুষকে জলবায়ু বিপর্যয় মোকাবেলায় সক্ষমতা তৈরিতে সহায়তা করেন। ঘূর্ণিঝড় ও বন্যায় বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার ঝুঁকির কারণে তিনি একটি তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন, যা ৩৫০টি উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারকে উপকৃত করেছিল।


বিবার্তা/লিমন

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com