ভূমি সংক্রান্ত স্বচ্ছতার নজরদারি করবে মন্ত্রণালয়: ভূমিমন্ত্রী
প্রকাশ : ০৬ মার্চ ২০২৪, ১১:৩০
ভূমি সংক্রান্ত স্বচ্ছতার নজরদারি করবে মন্ত্রণালয়: ভূমিমন্ত্রী
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

ভূমি সেবা নিশ্চিতে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কথা ফের ব্যক্ত করে ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, খাস জমি ইজারা দেওয়ার বিষয়ে জিরো টলারেন্স। ভূমি সংক্রান্ত স্বচ্ছতার বিষয়ে মন্ত্রণালয় নজরদারি করবে। প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


বুধবার (৬ মার্চ) সকালে ওসমানী মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধিবেশন শেষে তিনি এ কথা বলেন।


তিনি বলেন, ভূমি অপরাধ আইন হলে বিধির দরকার হয়। বিধির জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। এই আইন হলে জনগণ উপকৃত হবে। ফলে কারো দখলে থাকলে তিনি সুবিধা পাবেন না। কাগজই হবে শেষ কথা।


ভূমিমন্ত্রী বলেন, অর্পিত সম্পত্তি সংক্রান্ত অনেক আইন চলমান। ওগুলো তো আমরা নিষ্পত্তি করতে পারবো না। তবে এর বাইরে যেগুলো আছে সেগুলো যা যা করার দরকার সেসব আমরা করছি। একটি পরিপত্র এরই মধ্যে জারি হয়েছে।


‘স্পষ্ট করে যদি বলি, একটা খতিয়ান থেকে কেউ হয়তো বের হয়ে গেছে, ওই খতিয়ান ধরে অনেকে খাজনা দিতে পারছেন না। যারা বের হয়ে গেছে তাদেরটা আলাদা করে যারা বের হয়নি তাদের পৃথক খতিয়ান করে খাজনা দেবার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। যারা বের হয়ে গেছে তাদের খাস খতিয়ানে ঢুকিয়ে দেওয়া হবে।’


ভূমির ডিজিটালাইজেশন, ভূমি কর, নামজারি অনলাইন করার কথা। যারা সেবাটা নেবেন তাদের এখনো ভূমি অফিস বা সাব রেজিস্ট্রার অফিসে যেতে হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, রেকর্ড ডিজিটালাইজেশন না হওয়া পর্যন্ত এটা পুরোপুরি সম্ভব না।


কারণ হিসেবে মন্ত্রী বলেন, যেমন ধরেন একটা খতিয়ানে ১০ জন শরিক বা অংশীদার আছেন। এখন কাউকে না জানিয়ে একজন শরিক বিক্রি করে দিয়েছেন। নামজারির আগে তো অন্য শরিকদের বিষয়টি জানাতে হবে, এটা তো তাদের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়। আইন অনুযায়ী শরিককে বঞ্চিত করার সুযোগ নাই।


কিন্তু যখন ডিজিটালাইজড হয়ে যাচ্ছে তখন তো প্রত্যেকটা খতিয়ান পৃথক ব্যক্তি নামে হচ্ছে। সেই পৃথক খতিয়ান অনুযায়ী ম্যাপিং হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে চললে সাব রেজিস্ট্রার যখন রেজিস্ট্রি করবেন তা অনলাইনে চলে যাবে এসি ল্যান্ডের কাছে। এসি ল্যান্ড অফিসে কিন্তু সমস্ত ছবি আসছে ম্যাপসহ। কখন আর নোটিশ হবে না, অটোমেটিক নামপত্র হয়ে তার কাছে চলে যাবে। এখন আমরা যদি ভুল ম্যাপ দিই অথবা ম্যাপ যদি ডিজিটালাইজড করতে না পারি তাহলে নোটিশটা পৃথক নামে থেকেই যাবে।


বিবার্তা/মাসুম

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com