রাজধানীর উত্তরে পানির ঘাটতি নেই: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
প্রকাশ : ০৫ মার্চ ২০২৪, ২১:৩৩
রাজধানীর উত্তরে পানির ঘাটতি নেই: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

বর্তমানে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় দৈনিক পানির চাহিদা প্রায় ১৩৫ কোটি লিটার বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। চাহিদা অনুযায়ী পানির কোনো ঘাটতি নেই বলে জানান তিনি।


৫ মার্চ, মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মাইনুল হোসেন খানের টেবিলে উত্থাপিত লিখিত প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এসব তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।


স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় দৈনিক পানির চাহিদা প্রায় ১৩৫ কোটি লিটার। গ্রীষ্ম ও শীত মৌসুমে পানির চাহিদার তারতম্য হয়ে থাকে। চাহিদা অনুযায়ী, পানির কোনো ঘাটতি নেই। বর্তমানে ঢাকা শহরে পানির চাহিদা ২৬৫-২৭০ কোটি লিটার। যদিও ঢাকা ওয়াসা চাহিদার তুলনায় উদ্বৃত্ত অর্থাৎ ২৭৫-২৮০ কোটি লিটার পানি উৎপাদন সক্ষমতা অর্জন করেছে। এছাড়া ঢাকা ওয়াসা নগরীর বিভিন্ন স্থানে Standby Deep Tube well স্থাপন করেছে- যাতে গ্রীষ্ম মৌসুমে তাৎক্ষণিক পানির বাড়তি চাহিদা পূরণ করা যায়। রাজধানীতে সবার জন্য নিরাপদ এবং প্রেসারাইজড পানি সরবরাহ নিশ্চিতকল্পে নতুন ট্রেঞ্চলেস প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে পানির লাইন পরিবর্তন করে DMA (District Metered Area) চালু করা হয়েছে। ফলে Non Revenue Water (NRW) ৫ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে।


সরকারি দলের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হুছামুদ্দীন চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, আর্সেনিকমুক্ত পানি সরবরাহকল্পে সারা দেশে স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে দুটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় ৩১টি জেলার ১১৭টি উপজেলার ১ হাজার ২৯০টি ইউনিয়নে প্রায় ২ লাখ আর্সেনিকমুক্ত নিরাপদ পানির উৎস রয়েছে। এছাড়া ৬২টি রুরাল পাইপড ওয়াটার সাপ্লাই স্কিম এবং ৫টি জেলায় ৩৫টি রিভার্স অসমোসিস ফিল্টার স্থাপনের সংস্থান রয়েছে। তন্মধ্যে ১ লাখ ৭১ হাজার ২২৪টি আর্সেনিকমুক্ত নিরাপদ পানির উৎসও আছে। এর বাইরে ৩৬টি রুরাল পাইপড ওয়াটার সাপ্লাই স্কিম এবং ৩৫টি রিভার্স অসমোসিস ফিল্টার স্থাপনকাজ সমাপ্ত হয়েছে। সারা দেশের ৫৪টি জেলার ৩৩৫টি উপজেলায় ৩ হাজার ২০০টি ইউনিয়নে আর্সেনিক স্ক্রিনিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।


স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, সারা দেশে নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় পল্লী অঞ্চলে ৬ লাখ ৭ হাজার ৬৩৭টি পানির উৎস স্থাপন এবং ৪৯১টি রুরাল পাইপড় ওয়াটার সাপ্লাই স্কিম এবং ৮ হাজার ৮৩৮টি কমিউনিটিভিত্তিক পানি সরবরাহ ইউনিট স্থাপনের সংস্থান রয়েছে। তার মধ্যে ৪ লাখ ২০ হাজার ৩০টি পানির উৎস এবং ৪ হাজার ৫৯০টি কমিউনিটিভিত্তিক পানি সরবরাহ ইউনিট স্থাপনকাজ সম্পন্ন হয়েছে।


বিবার্তা/লিমন

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com