
বিশ্ব বাজারের সাথে সমন্বয় করে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদন পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
৫ মার্চ, মঙ্গলবার রাজধানীতে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় দিনে ডিসিদের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, সামনে গরমের সময় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ নিরবিচ্ছিন্ন রাখার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। জ্বালানি দাম সাশ্রয়ী করা হবে। এই সপ্তাহেই জ্বালানি ডাইনামিক প্রাইসিং পদ্ধতিতে জ্বালানির দাম নির্ধারণ করা হবে। বিশ্ব বাজারের তেলের দাম বিবেচনা করে দাম নির্ধারণ করা হবে। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পাওয়া গেছে। এই সপ্তাহেই প্রজ্ঞাপন হবে।
জেলা প্রশাসকদের সাথে পরিবেশ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে নসরুল হামিদ বলেন, এ সপ্তাহেই জ্বালানির নতুন দামের বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। আশা করছি সাশ্রয়ী মূল্যে যেতে পারব।
বিশ্ববাজারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে তেলের দাম সমন্বয় করা হবে উল্লেখ করে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, তেলের দাম নির্ধারণের ব্যাপারে একটি ফর্মুলা নেয়া হয়েছে। সেটিতে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পাওয়া গেছে। তেলের দাম সাশ্রয়ী হলে পাচারের সম্ভাবনা বাড়বে। সেক্ষেত্রে নজরদারি বাড়ানো হবে।
সম্মেলনে গ্যাস সিলিন্ডার যেন ডিলারদের হাত থেকে সাব ডিলারদের হাতে না যায় সেজন্য নজরদারি বাড়াতে ডিসিদের প্রতি আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।
এর আগে গত ৩ মার্চ জ্বালানি তেলের দাম কমানোর আভাস দিয়েছিলেন নসরুল হামিদ।
২০২১ সালের নভেম্বর থেকে পরের বছর আগস্ট পর্যন্ত তিন দফা দাম সমন্বয় হয় জ্বালানি তেলের। এতে প্রতি লিটার ডিজেল–কেরোসিনের দাম বাড়ে ৪৪ টাকা বা ৬৭ শতাংশ পর্যন্ত।
২০২২ সালের শেষদিকে জ্বালানি তেলের দাম বাজারভিত্তিক করার পরামর্শ দেয় আইএমএফ। তখন থেকেই সরকার নীতিমালা তৈরির পথে হাঁটছে।
বর্তমানে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১০৯ টাকা। আর পেট্রোল ১২৫ টাকা এবং অকটেন ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]