
বিএসএফের গুলিতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য মো. রইছ উদ্দিন নিহতের ঘটনায় আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীর বাহিনী।
১ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক সেহেলি সাবরিন সাংবাদিকদের এথ্য জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে সেহেলি সাবরিন বলেন, গত ২৪ জানুয়ারি সিপাহী মো. রইছ উদ্দিনের মৃত্যুতে বিএসএফ আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং এ ধরনের ঘটনা রোধে বিজিবি ও বিএসএফ ভবিষ্যতে একসঙ্গে কাজ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।
বিএসএফ জানিয়েছে, তারা জানতো যে পাচারকারীদের সঙ্গে বিজিবির সদস্য ছিলেন। এ সম্পর্কে দিল্লির কাছে কিছু জানতে চেয়েছে কি না পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়? প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, এ ব্যাপারে আমি যেটা বললাম, বিএসএফ আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং ভবিষ্যতে একসঙ্গে কাজ করবে।
বাংলাদেশ-ভারতের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে চাইলেও সীমান্ত হত্যা নিয়ে একটি নেতিবাচক প্রভাব আছে। এ জায়গা থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো উদ্যোগ নেবে কি না- এমন প্রশ্নে সেহেলী সাবরীন বলেন, যেসব দেশের সঙ্গে সীমান্ত আছে, যে কোনো দ্বিপাক্ষিক আলোচনায়ই কিন্তু সীমান্তের সমস্যা ও ভিসা নিয়ে আলোচনা করি। এবারও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভারত সফরে সীমান্ত ও ভিসা নিয়ে আলোচনা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২২ জানুয়ারি ভোরে যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার ধান্যখোলা সীমান্ত এলাকা দিয়ে চোরাকারবারিরা ভারত থেকে চোরাইপথে গরু আনছিল। বিষয়টি টের পেয়ে বিজিবি সদস্যরা চোরাকারবারিদের ধাওয়া দিলে তারা ভারত সীমান্তে ঢুকে পড়ে। এ সময় বিজিবি সদস্য রইস উদ্দীন ঘন কুয়াশার কারণে দলবিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
প্রথমে তাকে খুঁজে পাওয়া না গেলেও বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়, তিনি বিএসএফের গুলিতে আহত হয়ে ভারতের অভ্যন্তরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনার পরপরই এ বিষয়ে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক করা হয় এবং জানা যায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই বিজিবি সদস্য মৃত্যুবরণ করেন।
গত ২৪ জানুয়ারি দুপুরে যশোরের শার্শা উপজেলার শিকারপুর এবং ভারতের গাঙ্গুলিয়া সীমান্তে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]