
রাজশাহীর তিনটি নির্বাচনী ভোটকেন্দ্র ও ফেনীর সোনাগাজীতে একটি ভোটকেন্দ্রে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে বাঘা উপজেলায় দুটি ও অপরটি বাগমারায়। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে পুড়ে গেছে স্কুলের আসবাবপত্র।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন দেয়া ভোটকেন্দ্রগুলো হলো: বাঘা উপজেলার পাকুরিয়া জোতনাশী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আড়ানী ইউনিয়নের জিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং বাগমারা উপজেলার গনিপুর ইউনিনের গনিপুর আক্কেলপুর উচ্চ বিদ্যালয়।
স্থানীয়রা জানান, জিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে অফিস কক্ষের ১৫টি চেয়ার, টেবিল ও আলমারি।
এ বিষয়ে জিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুরাদ আলী বলেন, রাত সাড়ে ১১টার দিকে আগুন দেয় দুষ্কৃতকারীরা। অফিসের পেছনের জানালার ফাঁক দিয়ে আগুন দেয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিদ্যালয়ের বাইরে পেট্রোল পড়ে থাকতে দেখা গেছে। বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ করা হবে।
রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম জানান, বাঘার দুটি নির্বাচনী কেন্দ্র অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। মাঠে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অপরদিকে ফেনীর সোনাগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুদীপ রায় বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছে, উপজেলার একটি ভোটকেন্দ্রে পেট্রোল দিয়ে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সকাল ৭টার দিকে চর সাহাভিখারী উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি ভবনে আগুন দেয়া হয়। আগুনে স্কুলের আসবাবপত্রসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র পুড়ে যায়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, চরসাহাভিকারী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪ হাজার ৩৫৪ নারী-পুরুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। হঠাৎ ভোটের দুদিন আগে স্কুলের প্রশাসনিক ভবনের শিক্ষক মিলনায়তনে পেছনের জানালা দিয়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এতে চেয়ার-টেবিল ও আলমিরায় থাকা কাগজপত্র পুড়ে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে সকালে সোনাগাজী উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান এবং সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুদ্বীপ রায় পলাশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সুদ্বীপ রায় জানান, সকাল ৭টার দিকে ৯৯৯ এ খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যান। আগুন লাগার কারণ উদঘাটনে বিএনপির অসহযোগ আন্দোলন অন্যদিকে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির বিরোধকে মাথায় রেখে তদন্ত করা হচ্ছে।
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খায়ের উল্যাহ জানান, স্কুলের অডিট চলাকালে প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবদীনকে অব্যাহতি দেন সভাপতি ডা. আবদুল হক। এনিয়ে দীর্ঘদিনের চলমান বিরোধেও এই ঘটনা ঘটতে পারে।
বিবার্তা/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]