
নির্বাচনের সময় এলেই বিএনপি আগুন সন্ত্রাস করে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জ্বালাও-পোড়াও ও মানুষ খুন বিএনপি জামায়াতের তিন গুণ।
৪ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের ইসদাইর এলাকায় শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর থেকেই বিএনপি ভোটে আসতে ভয় নির্বাচনে জিতবে না বলেই জনগণকে ভোট থেকে বঞ্চিত করতে চায় বিএনপি।
স্বাধীনতার ইতিহাসের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ধারক নারায়ণগঞ্জ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন ৬ দফা ঘোষণা দেন তখন ৮মে তিনি এই নারায়ণগঞ্জের আদমজীতে বিশাল জনসভা করেন। ৬ দফাকে প্রতিষ্ঠিত করতে নারায়ণগঞ্জ ও এখানকার মানুষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে জনগণের কল্যাণে কাজ করে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি থাকলে দেশ পিছিয়ে যায়। আওয়ামী লীগ থাকলে দেশ এগিয়ে যায়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি আরও বলেন, আমরা দেশের দারিদ্র্যের হার কমিয়েছি। শিক্ষার হার বাড়িয়েছি। বিএনপির আমলে শিক্ষার হার কমেছে আর দারিদ্র্যের হার বেড়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা যখন দেশের দায়িত্ব দেন তখন এক টাকাও রিজার্ভ ছিল না। মানুষের ধানের গোলাও ছিল না। পাকিস্তানি আর্মি সব পুড়িয়ে দেয়। শূন্য হাতে বঙ্গবন্ধু দেশের দায়িত্ব নিয়ে দেশকে স্বয়ংসম্পন্ন করেন। প্রতিটি ঘরে ঘরে তিনি রিলিফ পৌঁছে দিয়েছিলেন। তিনি মাত্র তিন বছর সাত মাস দেশ শাসনের সুযোগ পান। এসময় তিনি দেশকে গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকরা আমার মা-বাবা, ভাই ও চাচাকেসহ ১৮ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করে। আমি ও আমার ছোট বোন শেখ রেহানা বিদেশ থাকায় প্রাণে বেঁচে যাই। কিন্তু এ বেঁচে থাকাটা আমাদের জন্য অত্যন্ত দুর্বিসহ হয়ে ওঠে।
এর আগে বিকেল সোয়া তিনটার দিকে জনসভাস্থলে পৌঁছান সরকারপ্রধান। এ সময় নেতাকর্মীরা তাকে স্লোগানে স্লোগানে বরণ করে নেন। প্রধানমন্ত্রীও হাত নেড়ে উপস্থিত জনতাকে শুভেচ্ছা জানান। দীর্ঘ ১০ বছর পর নির্বাচনি প্রচারণায় নারায়ণগঞ্জ সফরে গেলেন তিনি।
বিবার্তা/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]