প্রভাব বিস্তার করতে চাইলেই শাস্তির আওতায় আনা হবে: সিইসি
প্রকাশ : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৮:০৭
প্রভাব বিস্তার করতে চাইলেই শাস্তির আওতায় আনা হবে: সিইসি
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করতে চাইলেই শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।


সিইসি বলেন, ওসি, এসপি, ডিআইজি, আইজি যিনিই যে কেন্দ্রেই যাক না কেন, খেলাটা হবে কিন্তু প্রার্থীদের মাঝে ভোটের দিন। কেন্দ্রের ভেতরে কিন্তু আইজি-ডিআইজি ঢুকতে পারবে না। শুধু রিটার্নিং অফিসার কেন্দ্রে ঢুকতে পারবে। প্রিজাইডিং অফিসার যদি কেন্দ্রে তার কর্তৃত্ব বজায় রাখতে পারে। তাহলে ওসি, ইউএনও, এসপি, ডিআইজি, কিছুই করতে পারবে না। আর যদি কেউ প্রভাব খাটাতে চায়, সে যেই হোক, তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।


২৪ ডিসেম্বর, রবিবার দুপুরে ময়মনসিংহ নগরীর টাউন হলে নির্বাচন-সংশ্লিষ্টদের নিয়ে মতবিনিময় শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন সিইসি।


তিনি বলেন, ভোট কেন্দ্রের ভেতরের ভারসাম্য রক্ষা করবেন পোলিং এজেন্টরা। পোলিং এজেন্ট না রাখলে হবে না। নির্বাচনকে বিশ্বাসযোগ্য করতে হলে পোলিং এজেন্টকে ভেতরে থাকতেই হবে। পোলিং এজেন্ট না রেখে নির্বাচন শেষ হয়ে যাওয়ার পর বলল আমাকে বের করে দেওয়া হয়েছিল তাহলে তো হলো না। যদি কাউকে বের করে দেওয়া হয় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে নালিশ করতে হবে। ভেতরে ভারসাম্য রক্ষা করতে ব্যর্থ হলে প্রিজাইডিং অফিসার সঙ্গে সঙ্গে ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেবেন। ওই কেন্দ্রের ভোট আরেকবার নেব, প্রয়োজনে ১০ বার ভোট নেব।


প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, প্রতি কেন্দ্রে ১৫ থেকে ১৬ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য থাকবে। আনসার ও ভিডিপি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করবে। তারা ১২ জন থাকবে, তাদের মাঝে কেউ কেউ সশস্ত্র অবস্থায় থাকবে। কেন্দ্রে বিভিন্ন বাহিনীর লোকজন থাকবে। যদি শুধু ১২ জন পুলিশ সদস্য থাকত, তাহলে প্রার্থীরা পুলিশকে হাত করতে পারত। কিন্তু কেন্দ্রে যদি ৫টি বাহিনীর লোক থাকে, তাহলে কাউকে হাত করতে পারবে না। কাজেই সেখানে পুলিশ, আনসার, বিজিবি, র‌্যাব থাকবে। আর স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী থাকবে। কাজেই কেন্দ্রের বাইরের যে অংশ, তা পুরোপুরি সংরক্ষিত থাকবে।


আচরণবিধির ব্যাপারে করা প্রশ্নের উত্তরে সিইসি বলেন, প্রার্থীরা আচরণবিধি মানছে না, বিষয়টি এমন না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আচরণবিধি লঙ্ঘন হচ্ছে। তবে আমি অনেককেই বলেছি আপনারা প্রস্তুতি নেন। যেদিন ভোটগ্রহণ হবে, সেদিন আপনাদের (প্রার্থীদের) সতর্ক থাকবে হবে। ভোটের আগে কী হলো সেটি মানুষ ভুলে যাবে। কিন্তু ভোটের দিন কারচুপি করে ফেললে নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না।


চলমান একটি গুজবের বিষয়ে তিনি বলেন, অনেককে বলতে দেখা যায়, কি নির্বাচন করবো ভোট এখানে দিলে ওখানে চলে যাবে। এগুলো অবান্তর প্রচারণা। এই প্রচারণাগুলোকে বিশ্বাস করবেন না। এটা সম্ভব নয়। যদি সম্ভব হয় আপনারা নির্বাচন কমিশনে আসবেন, আমি নিজে তদন্ত করবো কীভাবে সম্ভব হলো।


বিবার্তা/এমজে

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com