জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিতে সংগ্রাম করছি : শেখ হাসিনা
প্রকাশ : ২১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৬:৫২
জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিতে সংগ্রাম করছি : শেখ হাসিনা
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, অতীতে জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে ক্যান্টনমেন্টে বন্দি করা হয়েছিল। জনগণের অধিকার জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিতে হবে; এই প্রত্যয় নিয়েই সংগ্রাম করছি। ২০০১ সালের নির্বাচনে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার করা হয়েছিল, নির্যাতন করা হয়েছিল, যারা এই নৌকায় ভোট দিয়েছিল তারাই নির্যাতনের শিকার হয়েছে।


২১ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে পাঁচ জেলার নির্বাচনি জনসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, অনেক সংগ্রাম, প্রতিঘাত আমাদের পার করতে হয়েছে। আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মীকে অত্যাচারের শিকার হতে হয়েছে, কারাগারে যেতে হয়েছে, তারপরও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা ২১ বছর পরে ক্ষমতায় আসি। জনগণের সেবক হিসেবে যাত্রা শুরু করি। ৯৬ থেকে ২০০১ সাল ছিল ৭৫ এর পরে বাংলাদেশের মানুষের জন্য স্বর্ণযুগ।


তিনি বলেন, আমরা খাদ্য সেবা নিশ্চিত করি, চিকিৎসা সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা নিই, শিক্ষার ব্যবস্থা করি, বিনামূল্যে বই দেওয়ার ব্যবস্থা করি। আমরা এ দেশের রাস্তাঘাট-পুল ব্রিজ নির্মাণের কাজ হাতে নিই, বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি করি। ১৬০০ থেকে ৪৩০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করি। প্রতি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেব সেই পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করি। কিন্তু ২০০১ সালের নির্বাচনে ক্ষমতায় আসতে পারলাম না। কারণ, একটা বড় দেশ থেকে গ্যাস বিক্রির প্রস্তাব ছিল, আমি বলেছিলাম এটা জনগণের সম্পদ আমি বিক্রি করতে পারি না। কিন্তু খালেদা জিয়া রাজি হয়ে যান।


তিনি আরও বলেন, বিএনপি কত মানুষকে হত্যা করেছে তার কোনো হিসাব নেই। আমাদের মা বোনদের ওপর পাকিস্তানিরা যেভাবে নির্যাতন করেছে, সেভাবেই নির্যাতন করেছে। সেই ফাহিমা, মহিমা, রুমা আত্মহত্যা করে নিজেদের ইজ্জত বাঁচান। এ রকম একটা তাণ্ডব শুধু না, ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বিএনপি যখন ক্ষমতা তখন বাংলাদেশ ছিল দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ। পাঁচ বার দুর্নীতিতে তারা বিশ্বে এক নম্বর ছিল। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, বাংলা ভাই, বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা, আমাদের কত নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে তার হিসাব নেই। আমরা নিজেই বারবার তাদের হাতে আক্রমণের শিকার হয়েছি। তারপরও আমরা কিন্তু দমে যাইনি। বরং এগিয়ে গিয়েছি।


তিনি বলেন, আমি তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরকে ধন্যবাদ জানাই, এত বাধা বিপত্তি, অত্যাচার, নির্যাতন, সবকিছু সহ্য কর নেতাকর্মীরা সংগঠনকে ধরে রেখেছেন এবং এগিয়ে যাচ্ছেন।


রেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি মানুষকে মানুষ হিসেবে গণ্য করে না। তারা রেলে আগুন দেয়, বাসে আগুন দেয়, গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষকে পুড়িয়ে। আমরা নতুন কোচ কিনেছি, সেই কোচে মানুষ শান্তিতে চলাচল করবে। কিন্তু মানুষের শান্তি দেখলে ওদের মনে অশান্তি জাগে।


তিনি বলেন, আমরা খাদ্য সেবা নিশ্চিত করি, চিকিৎসা সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা নিই, শিক্ষার ব্যবস্থা করি, বিনামূল্যে বই দেওয়ার ব্যবস্থা করি। আমরা এ দেশের রাস্তাঘাট-পুল ব্রিজ নির্মাণের কাজ হাতে নিই, বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি করি। ১৬০০ থেকে ৪৩০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করি। প্রতি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেব সেই পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করি।


বিবার্তা/জবা

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com