নভেম্বরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪৬৭, সর্বোচ্চ ঢাকায়
প্রকাশ : ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৫:৫৩
নভেম্বরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪৬৭, সর্বোচ্চ ঢাকায়
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

নভেম্বর মাসে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে ৫৪১টি। এতে নিহত হন ৪৬৭ জন এবং আহত হন ৬৭২ জন। নিহতদের মধ্যে নারী ৫৩ জন ও শিশু ৬৬ জন। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে এসব তথ্য।


সংগঠনটি জানিয়েছে, ২০৭টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হন ১৮১ জন, যা মোট নিহতের ৩৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৩৮ দশমিক ২৬ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ১০৬ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতদের ২২ দশমিক ৬৯ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৬৮ জন, অর্থাৎ ১৪ দশমিব ৫৬ শতাংশ।


এ সময়ে ৫টি নৌদুর্ঘটনায় ৫ জন নিহত ও ৩ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া ২২টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত এবং ১৬ জন আহত হয়েছেন।


রোড সেফটি ফাউন্ডেশন ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেক্টনিক গণমাধ্যমের তথ্যেরভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করে।


৯ ডিসেম্বর, শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো হয় এই প্রতিবেদন।


দুর্ঘটনার বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যান:


ঢাকা বিভাগে দুর্ঘটনা ২৫.৫০ শতাংশ, প্রাণহানি ২৫.৪৮ শতাংশ,
রাজশাহী বিভাগে দুর্ঘটনা ১২ শতাংশ, প্রাণহানি ১২.৮৪ শতাংশ,
চট্টগ্রাম বিভাগে দুর্ঘটনা ২২.৫৫ শতাংশ, প্রাণহানি ২৩.৯৮ শতাংশ,
খুলনা বিভাগে দুর্ঘটনা ১২.৭৫ শতাংশ, প্রাণহানি ১১.৯৯ শতাংশ,
বরিশাল বিভাগে দুর্ঘটনা ৬.৬৫ শতাংশ, প্রাণহানি ৪.৪৯ শতাংশ,
সিলেট বিভাগে দুর্ঘটনা ৩.৮৮ শতাংশ, প্রাণহানি ৩.৪২ শতাংশ,
রংপুর বিভাগে দুর্ঘটনা ৮.৫০ শতাংশ, প্রাণহানি ৮.১৩ শতাংশ এবং
ময়মনসিংহ বিভাগে দুর্ঘটনা ৮.১৩ শতাংশ, প্রাণহানি ৯.৬৩ শতাংশ।


সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। ঢাকায় ২৬টি দুর্ঘটনায় ২০ জন নিহত এবং ৩১ জন আহত হয়েছেন। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ২১টি দুর্ঘটনায় ১৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। একক জেলা হিসেবে চট্টগ্রাম জেলায় সবচেয়ে বেশি ৩৮টি দুর্ঘটনায় ৪৯ জন নিহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ঘটেছে খাগড়াছড়ি জেলায়। ২টি দুর্ঘটনা ঘটলেও কোনো প্রাণহানি হয়নি সেখানে।


এছাড়া রাজধানী ঢাকায় ২৬টি দুর্ঘটনায় ২০ জন নিহত এবং ৩১ জন আহত হয়েছে।


সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণগুলো হচ্ছে-
১. ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন,
২. বেপরোয়া গতি,
৩. চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা,
৪. অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা,
৫. বেতন-কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা,
৬. মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল,
৭. তরুণ-যুবকদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো,
৮. জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা,
৯. দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা,
১০. বিআরটিএ’র সক্ষমতার ঘাটতি এবং
১১.গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজি।


সুপারিশগুলো হচ্ছে-
১.দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বৃদ্ধি করতে হবে,
২. চালকদের বেতন-কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করতে হবে,
৩. বিআরটিএ’র সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে,
৪. পরিবহন মালিক-শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের প্রতি ট্রাফিক আইনের বাধাহীন প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে,
৫. মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন বন্ধ করে এগুলোর জন্য আলাদা সার্ভিস রোড তৈরি করতে হবে,
৬. পর্যায়ক্রমে সব মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ করতে হবে,
৭. গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে,
৮. রেল ও নৌ-পথ সংস্কার করে সড়ক পথের ওপর চাপ কমাতে হবে,
৯. টেকসই পরিবহন কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে ,
১০. ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ বাধাহীনভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।


বিবার্তা/জবা

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com