আসন্ন জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে পুনরায় সংলাপের উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। "দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন: গণমাধ্যমের ভূমিকা, জাতির প্রত্যাশা" শিরোনামে এই সংলাপে বিভিন্ন গণমাধ্যমের ৩৮ জন সিনিয়র সাংবাদিককে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
২৬ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে এই সংলাপ শুরু হয়। সংলাপে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সভাপতিত্বে চার নির্বাচন কমিশনারসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন।
সংলাপে সিনিয়র সাংবাদিকদের মধ্যে এটিএন বাংলার প্রধান বার্তা সম্পাদক জ.মামুন, এনটিভির প্রধান সম্পাদক জহিরুল আলম, চ্যানেল আইয়ের প্রধান বার্তা সম্পাদক জাহিদ নেওয়াজ খান জুয়েল, একাত্তর টিভির প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল বাবু, মাছরাঙা টিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক রেজোয়ানুল হক রাজা, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন প্রধান সম্পাদক নঈম নিজাম, দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনামসহ সিনিয়র সাংবাদিকরা এই সংলাপে যোগ দিয়েছেন।
ধারণাপত্রে বলা হয়েছে, আসন্ন সংসদ নির্বাচন প্রশ্নে সরকার ও কমিশনের বিষয়ে কতিপয় রাজনৈতিক দলের গণমাধ্যমে প্রচারিত অনাস্থা কাটিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে জনগণের আস্থা অর্জনের প্রয়াস আমরা (নির্বাচন কমিশন) অব্যাহত রেখেছি। তবে, অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য যে অনুকূল পরিবেশ প্রত্যাশা করা হয়েছিল, সেটি এখনও হয়ে উঠেনি।
প্রত্যাশিত সংলাপ ও সমঝোতার মাধ্যমে মতভেদের নিরসন হয়নি। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রধানতম দলগুলো স্ব স্ব সিদ্ধান্ত ও অবস্থানে অনড়। রাজপথে মিছিল, জনসমাবেশ ও শক্তি প্রদর্শন করে স্ব স্ব পক্ষে সমর্থন প্রদর্শনের চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু তাতে প্রত্যাশিত মীমাংসা বা সংকটের নিরসন হচ্ছে বলে কমিশন মনে করে না। বিষয়টি রাজনৈতিক। নির্বাচন কমিশনের এক্ষেত্রে করণীয় কিছু নেই।
এই চিঠি ঘিরে নির্বাচন কমিশনে তৈরি হয় মতবিরোধ। তবে চিঠির এমন বক্তব্য নিয়ে একমত হতে পারেনি একাধিক নির্বাচন কমিশনার।
কমিশন থেকে পাঠানো গণমাধ্যমে ধারণা পত্রটি সিইসি'র একান্তই ব্যক্তিগত বলে মনে করেন তারা। এর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের কোনো সম্পর্ক নেই। অন্য নির্বাচন কমিশনাররা এ বিষয়ে কিছুই জানেন না এবং তারা সিইসির মূল্যায়নের সঙ্গে একমত নন।
এদিকে চলতি সপ্তাহে এক নির্বাচন কমিশনার গণমাধ্যমকে বলেছেন, নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। জানুয়ারির প্রথমার্ধের ভোট গ্রহণের তারিখ হতে পারে বলে জানিয়েছেন।
সর্বশেষ ভোটার হালনাগাদ অনুযায়ী, দেশে বর্তমান মোট ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ৪৪০ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৪লাখ ৪৫ হাজার ৭২৪ জন। আর নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৭ লাখ ৪ হাজার ৮৭৯ জন। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৮৩৭ জন। তরুণ ভোটারদের অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ সৃষ্টি করায় এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। আসন্ন দ্বাদশ নির্বাচনে প্রায় ১০ লাখ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে।
বিবার্তা/রিয়াদ/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]