উপাচার্য নেই ৩৭ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে, নেপথ্যে বাণিজ্যিক স্বার্থ!
প্রকাশ : ২৫ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:৫৭
উপাচার্য নেই ৩৭ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে, নেপথ্যে বাণিজ্যিক স্বার্থ!
মহিউদ্দিন রাসেল
প্রিন্ট অ-অ+

একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী ও একাডেমিক শীর্ষ কর্মকর্তা হলেন ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) তথা উপাচার্য। তার নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কার্যক্রম সম্পাদিত হয়। ফলে উপাচার্য ছাড়া একটি বিশ্ববিদ্যালয় অনেকটা মাঝিবিহীন নৌকার মতো! অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে, এমন পরিস্থিতিতে রয়েছে দেশের ৩৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ কর্তা ছাড়াই জোড়াতালি দিয়ে চলছে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম! সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উপাচার্য না থাকায় একাডেমিকসহ বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে এসব বিশ্ববিদ্যালয়কে।



তবে শিক্ষাবিদরা বলছেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজেদের বাণিজ্যিক স্বার্থ রক্ষায় অনেক সময় উপাচার্য নিয়োগ দিতে গড়িমসি করেন। আবার উপাচার্য নিয়োগের জন্য তারা প্যানেল দিলেও সেখানে যোগ্যদের বাদ দিয়ে নিজেদের পকেটম্যান বসানোর চেষ্টা করেন। এদিকে নীতিমালা অনুযায়ী, এসব লোকের যোগ্যতার ঘাটতি থাকায় প্যানেলকে ফেরত পাঠানো হয়। ফলে এই কাজে সময়ক্ষেপণ চলতেই থাকে আর উপাচার্যের শূন্য পদও পূরণ হয় না।



বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এর সর্বশেষ প্রকাশিত তালিকা থেকে জানা যায়, দেশে বর্তমানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ১১৩টি। এর মধ্যে উপাচার্যবিহীন রয়েছে ৩৭টি বিশ্ববিদ্যালয়। প্রধান নির্বাহীর পদ শূন্য থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো- ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চিটাগং, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ, দি পিপলস ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি, স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়া, ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেস, প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি, আশা ইউনিভার্সিটি, ইস্ট ডেলটা ইউনিভার্সিটি, বরেন্দ্র ইউনিভার্সিটি, সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি, চিটাগাং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি, জার্মান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি সৈয়দপুর, বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি কাদিরাবাদ, বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি কুমিল্লা, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব স্কলারস, এন.পি.আই. ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি খুলনা, ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি চট্টগ্রাম, সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, রবীন্দ্র সৃজনকলা ইউনিভার্সিটি, রূপায়ণ এ কে এম শামসুজ্জোহা ইউনিভার্সিটি, আনোয়ার খান মডার্ন ইউনিভার্সিটি, বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়, শাহ মখদুম ম্যানেজমেন্ট ইউনিভার্সিটি রাজশাহী, মাইক্রোল্যান্ড ইউনিভার্সিটি, শেখ হাসিনা ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি খুলনা, তিস্তা বিশ্ববিদ্যালয়, ইন্টারন্যাশনাল ইসলামী ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বাংলাদেশ, লালন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা।


তথ্য বিশ্লেষণে জানা যায়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ এর ১৬ ধারার ৯ উপধারায় উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নিয়োগের জন্য বোর্ড অব ট্রাস্টিজকে (বিওটি) আচার্যের (রাষ্ট্রপতি) কাছে প্রস্তাব পেশ করার কথা বলা হয়েছে। এই তিন পদে নিয়োগ দিতে একেকটি পদের বিপরীতে তিনজন অধ্যাপকের নাম প্রস্তাব করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। সেগুলো ইউজিসির মাধ্যমে যাচাই করে সরকারের উচ্চপর্যায়ে পাঠায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হিসেবে রাষ্ট্রপতি একজনকে নিয়োগ দেন। আইনের ৩১ এর ৩ উপধারায় উপাচার্যের যোগ্যতা সম্পর্কে বলা হয়েছে, প্রথম শ্রেণি বা সমমানের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অথবা পিএইচডি ডিগ্রি এবং কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্যূন ১০ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতাসহ গবেষণা বা প্রশাসনিক কাজে মোট ২০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।



কিন্তু এসব নিয়মের যেন তোয়াক্কাই করছে না অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। অভিযোগ আছে, উপাচার্য না থাকা এসব বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের ব্যবসায়িক স্বার্থে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে নিজেদের পছন্দের কাউকে দায়িত্ব দিয়ে বছরের পর বছর কার্যক্রম চালিয়ে নেয়। শুধু তাই নয়, অনেক সময় যোগ্য ব্যক্তিদের প্যানেল না পাঠিয়ে নিজেদের মতো করে একটি প্যানেল পাঠায়। ফলে প্যানেলে থাকা ব্যক্তিদের যোগ্যতার ঘাটতি থাকায় সেটি আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরত আসে। এভাবে উপাচার্য নিয়োগ প্রক্রিয়া থমকে যায়। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ড এবং মালিকরা তাদের পছন্দের ব্যক্তিকে ভারপ্রাপ্তের দায়িত্ব দিয়ে কার্যক্রম চালিয়ে নেয়। মোটকথা, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টিদের কর্তৃত্ব বজায় রাখতে এই কাজ করা হচ্ছে।



তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বলছে, নানা কারণে উপাচার্য নিয়োগ পেতে বিলম্ব হচ্ছে। এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীক কোন স্বার্থ জড়িত নয়।


পিপলস ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিক বিবার্তাকে বলেন, ব্যবসায়ীক স্বার্থে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়, এই কথা সঠিক নয়। ২০২২ সালের নভেম্বরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হলে নতুন একজনকে ভারপ্রাপ্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনিও গত জুনে চলে গেছেন। তাই ট্রাস্টি বোর্ডের সভা থেকে প্যানেল প্রস্তুত করা হয়েছে। সেটি সরকারের কাছে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।


ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের ক্যাপ্টেন মোবাশ্বের এ খন্দকার বিবার্তাকে বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদ শূন্য। তবে ট্রাস্টি বোর্ড থেকে উপ-উপাচার্যকে উপাচার্যের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। উপাচার্য নিয়োগের জন্য একটা প্যানেল মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।


সাউথ এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোহাম্মাদ কামরুজ্জামান বিবার্তাকে বলেন, ২০২১ সালের জুনে সাবেক উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হয়েছে। এরপর তাকে রেখে উপাচার্য প্যানেল পাঠানো হয় মন্ত্রণালয়ে। ২০২২ সালের নভেম্বরে জানানো হয়, এই প্যানেল বাতিল করা হয়েছে। এরপর আর প্যানেল পাঠানো হয়নি। তবে আমরা ফের প্যানেল পাঠানোর চিন্তা করছি। বর্তমানে কোষাধ্যক্ষ উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করছেন।


ইউজিসি বলছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বারবার উপাচার্য নিয়োগের জন্য তাগাদা দেয়া হচ্ছে। তারা অনেক সময় প্যানেল পাঠালেও সেখানে যোগ্য লোক থাকে না। ফলে উপাচার্য নিয়োগ দেয়া যাচ্ছে না।


এই বিষয়ে ইউজিসি সদস্য ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় দেখভালের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বিবার্তাকে বলেন, উপাচার্য নিয়োগে অনেক ক্ষেত্রে এমন প্রার্থীদের নাম প্রস্তাব করা হয়, যাদের যোগ্যতা নেই।। সেই কারণে তা ফেরত পাঠাতে হয়। তখন আবার প্যানেল পাঠাতে হয়। এভাবে যাচাই-বাছাই হয়। এজন্য কিছুটা সময়ক্ষেপণ হয়। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিজস্ব কিছু ত্রুটিও রয়েছে। উপাচার্য না থাকলে গাড়ি দেয়া লাগে না, বেতন দেয়া লাগে না, সেই সব কারণে অনেক ক্ষেত্রে উপাচার্য প্যানেল পাঠাতেও কার্পণ্য দেখা যায়।


ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান বিবার্তাকে বলেন, আমাদের কাছে ভিসি নিয়োগের প্যানেল পাঠালে আমরা যাচাই-বাছাই করে সরকারের কাছে পাঠিয়ে দেই৷ আসলে বেসরকারি ইউনিভার্সিটি থেকে এমনভাবে প্যানেল প্রেরণ করা হয়, যাতে সেখান থেকে ভিসি নিয়োগ না দেওয়া যায়৷ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী ভিসি থাকুক এটা অনেকে চান না৷ স্থায়ী ভিসি থাকলে তো তার বেতন-ভাতাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিতে হয়৷ ফলে তারা ইচ্ছাকৃতভাবে কালক্ষেপণ করেন।


শিক্ষাবিদরা বলছেন, উপাচার্য হলেন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী। কাজেই তাকে ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় চলবে কী করে? বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ট্রাস্টি নিজেদের বাণিজ্যিক স্বার্থ রক্ষায় অনেক সময় উপাচার্য নিয়োগ দিতে গড়িমসি করেন।


এই বিষয়ে ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক এম এ মান্নান বিবার্তাকে বলেন, ইচ্ছাকৃতভাবেই উপাচার্যসহ কিছু পদ শূন্য রাখা হয়। তার কারণ হলো- এসব পদে নিয়োগ দিলে তাদের কিছু বাড়তি সুযোগ সুবিধা দিতে হয়। তাছাড়া কিছু প্রতিষ্ঠান আছে যারা বিশ্ববিদ্যালয়কে সনদ বিক্রির দোকান মনে করে। ফলে তারা নিজেদের মর্জি মতো লোক না হলে উপাচার্য নিয়োগ দিতে চান না। বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড চায় রাষ্ট্রপতি যে উপাচার্য নিয়োগ দেন তারা তাদের বেতনভুক্ত কর্মচারী হোক।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বিবার্তাকে বলেন, একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য যদি না থাকেন তাহলে প্রশাসন তো কাজ করার ক্ষেত্রে বড় ধরণের বাধার সম্মুখীন হন। উপাচার্য হলেন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী। কাজেই তাকে ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় চলবে কী করে? আমি মনে করি এই বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জোরাল ভূমিকা রাখা উচিত। আমাদের একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে উপাচার্য পদ তো হঠাৎ করে শূন্য হয়ে যায় না। একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষ হয়। ফলে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে আমাদের এই বিষয়ে কাজ শুরু করা উচিত। এটা কেন হয় না, সেটা খুবই দুঃখজনক। এক্ষেত্রে কিছু পদ অসুস্থ, মৃত্যু কিংবা অন্য কারণে হঠাৎ করে শুন্য হতে পারে। সেটার সংখ্যাও তো একেবারে কম। কাজেই অধিকাংশের মেয়াদ যেহেতু নির্দিষ্ট মেয়াদের পর শেষ হয়, সেহেতু মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে এমনভাবে কাজ করা উচিত- একজন বিদায় নেওয়ার পরের দিন যেন আরেকজন দায়িত্ব নিতে পারেন।


তিনি বলেন, আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এক্ষেত্রে একটা সিস্টেমের মধ্যে চললেও বেসরকারিগুলোর মধ্যে অনেকে সেটা মানে না। তাদের ট্রাস্টি বোর্ডও অনেক সময় নিজেদের সুবিধামতো সিদ্ধান্ত নেয়। আমি মনে করি সঠিক সময়, সঠিক ব্যক্তিকে নিয়োগ দেয়া উচিত। এক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অগ্রণী ভূমিকা রাখা উচিত।


বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য না থাকার বিষয়ে অবগত করে মন্তব্য জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার অতিরিক্ত সচিব মো. আবু ইউসুফ মিয়া বিবার্তাকে বলেন, যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নেই, আমরা তাদের বারবার চিঠি দিচ্ছি৷ এরপরেও কেন ভিসি নেই সেসব বিশ্ববিদ্যালয়কে জিজ্ঞাসা করতে হবে। নিয়োগের জন্য কেউ কেউ প্যানেল পাঠাচ্ছে আবার কেউ সেটাও পাঠাচ্ছে না! এক্ষেত্রে যারা প্যানেল পাঠাচ্ছেন তাদেরও অনেক সময় নীতিমালায় যেসব যোগ্যতার কথা বলা হয়েছে, সেগুলো নেই। ইউজিসিকে সেটি যাচাই করতে বলা হয়।


তিনি বলেন, যারা শর্ত পূরণ করেন, তাদেরটা ছেড়ে দেয়া হয়। কিন্তু প্যানেলের তিনজনের মধ্যে একজনেরও যোগ্যতা না থাকলে সেটাকে ফিরিয়ে দিলেও দু-তিনবার প্যানেল দিলেও সেখানে অযোগ্যরাই থাকছেন। ফলে সেখানে কীভাবে উপাচার্য নিয়োগ দেয়া যায়?


বিবার্তা/ রাসেল/ রোমেল/মাসুম

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com