নির্বাচন ঘিরে বাড়ছে গুজব-অপতৎপরতা
প্রকাশ : ০৬ অক্টোবর ২০২৩, ১৬:৩১
নির্বাচন ঘিরে বাড়ছে গুজব-অপতৎপরতা
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভোট ও রাজনৈতিক বিভিন্ন বিষয় ধরে প্রোপাগান্ডা ও গুজব ছড়ানোর প্রবণতা বাড়ছে। তাতে ব্যবহারকারীদের মধ্যে বৃদ্ধি পাচ্ছে আতঙ্ক। একই সঙ্গে গুজবের কারণে রাজনৈতিক সহিংসতা বৃদ্ধির আশঙ্কাও বাড়ছে।


দেশে গুজব যাচাইয়ে কাজ করে ১১টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ‘রিউমার স্ক্যানার বাংলাদেশ’। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ২০২১ সালে তারা ২৩৯টি গুজব খুঁজে পেয়েছে, ২০২২ সালে ১ হাজার চারশটি। আর ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৮২টি গুজব। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিল রাজনীতি নিয়ে, সংখ্যায় যা ২৪৮।


প্রতিষ্ঠানটির পর্যবেক্ষণ বলছে, গত আট মাসে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে সর্বোচ্চ ৪৩টি গুজব ছড়িয়েছে। এছাড়া, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নামেও গুজব ছড়িয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নামেও আছে গুজব।


গুজবের তালিকা থেকে বাদ পড়েননি মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত প্রয়াত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী কিংবা কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলমও। খেলোয়াড় আর কূটনীতিকরাও রয়েছেন সেই তালিকায়।


মূলত, রাজনৈতিক দলের সমর্থকরা উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর ফলে বাড়ছে জনরোষ। নির্বাচন ঘিরে সাইবার জগতে এমন আচরণ ঠেকাতে কয়েক স্তরে পর্যবেক্ষণ বাড়িয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।


ঢাকা মহানগর পুলিশের সাইবার অপরাধ বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) নাজমুল হোসেন বলেন, ভুল তথ্য বা প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে জনরোষ তৈরি কিংবা আইনশৃঙ্খলা অবনতির চেষ্টা করলে তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসবো। সার্বক্ষণিক সাইবার জগৎ নজরদারি করার জন্য আমাদের ইউনিটসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক বিভাগ কাজ করছে।


ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার জানিয়েছেন, গুগল, ফেসবুক ও টিকটকের সাথে আলোচনা করেছে সরকার। অপরাধীদের ওপর অর্থনৈতিক চাপ বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছেও আবেদন করা হয়েছে।


কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রয়োগেও এখন ছড়ানো হয় গুজব। সহিংসতা এড়াতে তাই সচেতন হতে হবে জনগণকেও। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যদের দক্ষতা বাড়াতে মনোযোগী হবার পরামর্শ দিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলোজির চেয়ারম্যান অধ্যাপক বি এম মইনুল হোসেন।


তিনি বললেন, শুধু দেশ ডিজিটাল হবে না। সাথে সাথে আমাদের নাগরিকদেরও ডিজিটাল হতে হবে। তাদেরকে বুঝতে হবে, কোন তথ্যটি মিথ্যে, কোনটি সত্য। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া না করে আগে যাচাইবাছাই করতে হবে, যদি প্রতিক্রিয়া না-ও করে।


অপতথ্যের এই হার বৃদ্ধিরোধে মূলধারার গণমাধ্যমকেও ফ্যাক্টচেক করে সংবাদ পরিবেশনের পরামর্শ দেন অধ্যাপক বি এম মইনুল হোসেন।


বিবার্তা/লিমন

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com