উচ্চ খেলাপির ঝুঁকিতে দেশের ব্যাংক খাত
প্রকাশ : ০১ অক্টোবর ২০২৩, ২২:৪৩
উচ্চ খেলাপির ঝুঁকিতে দেশের ব্যাংক খাত
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

কোনভাবেই কমছে না ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ। উল্টো হু হু করে বাড়ছে খেলাপি। চলতি বছরের জুন শেষে ব্যাংকিং খাতের মোট ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৪২ হাজার ৬৫৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপিতে পরিণত হয়েছে এক লাখ ৫৬ হাজার ৩৯ কোটি টাকার ঋণ। অর্থাৎ উচ্চ খেলাপির ঝুঁকিতে রয়েছে দেশের ব্যাংক খাত।


বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের জুন শেষে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ ছিল ১ লাখ ২৫ হাজার ২৫৭ কোটি টাকা। এবছরের জুনে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৫৬ হাজার ৩৯ কোটি টাকা। সে হিসাবে এক বছরে খেলাপি বেড়েছে ৩০ হাজার ৭৮২ কোটি টাকা। মার্চ শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৩১ হাজার ৬২০ কোটি ৮০ লাখ টাকা বা মোট ঋণের ৮ দশমিক ৮০ শতাংশ। মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ ২৪ হাজার ৪১৯ কোটি টাকা বেড়েছে।


এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ আবাসিক মিশনের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন অর্থসূচককে বলেন, দেশের অর্থনীতি গত তিন মাস ভালো যাচ্ছে না। বর্তমানে ডলার সংকটে ব্যবসা করাই কঠিন। সেগুলোর কারণে খেলাপি কতটা বেড়েছে তা বলা কঠিন। তবে আগে থেকেই খেলাপির চর্চা অনেক বেশি ছিলো। এখানে কর্পোরেট খেলাপির পরিমাণই বেশি। খেলাপি তখনই কমবে, যখন এর কারণগুলো বদলানো সম্ভব হবে।


তিনি আরও বলেন, খেলাপি ঋণ কমানোর দুটো কৌশল রয়েছে। একটি হলো উদারতা আর অন্যটি হলো কঠোরতা। আমাদের দেশের ব্যাংক খাত গত ৮ বছর ধরে উদারতা দেখিয়েছে। এই উদারতা শুধু গ্রাহকের পক্ষেই যায়নি বরং তা যারা ঋণ দিয়েছে তাদের পক্ষেও গিয়েছে। উদার হয়ে ঋণ আদায় সম্ভব হবে না তা আগেই জানা ছিলো।


এদিকে প্রায় দুই বছর ধরে দেশে ডলার সংকট চলছে। সংকট কাটাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের দারস্ত হয় বাংলাদেশ। ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। বাকি ছয় কিস্তির মধ্যে আগামী নভেম্বরে দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের কথা রয়েছে।
LankaBangla securites single page


কয়েক ধাপে ঋণ ছাড়ের ক্ষেত্রে সংস্থাটি ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণও ধাপে ধাপে কমিয়ে আনার শর্ত জুড়ে দেয়। এর মধ্যে রয়েছে ২০২৬ সালের মধ্যে সরকারি ব্যাংকে খেলাপি ঋণ ১০ শতাংশের নিচে এবং বেসরকারি ব্যাংকে ৫ শতাংশের নিচে নামানোর শর্ত।


তবে বর্তমানে সরকারি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ২০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। আইএমএফ’র শর্ত মতে, পুনঃতফসিল ও পুনর্গঠন করা ঋণ, সন্দেহজনক ঋণ ও আদালতের আদেশে খেলাপি স্থগিতাদেশ থাকা ঋণকেও খেলাপি দেখাতে হবে। সেক্ষেত্রে আএমএফ’র হিসাবে খেলাপি দাঁড়াবে প্রায় ৩ লাখ কোটি টাকার কাছাকাছি।


বিবার্তা/লিমন

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com