শিক্ষা খাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবিস্মরণীয় এক নাম
শিক্ষাবান্ধব প্রধানমন্ত্রী : দেশ এগিয়ে চলছে সোনার বাংলা গড়ার অভীষ্ট লক্ষ্যে
'প্রাথমিক থেকে শুরু করে উচ্চ শিক্ষা পর্যন্ত সব জায়গায় এখন ডিজিটাল ব্যবস্থাপনায় শিক্ষা দেয়ার নানামুখী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে'
প্রকাশ : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:০৯
শিক্ষাবান্ধব প্রধানমন্ত্রী : দেশ এগিয়ে চলছে সোনার বাংলা গড়ার অভীষ্ট লক্ষ্যে
মহিউদ্দিন রাসেল
প্রিন্ট অ-অ+

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। স্বাধীনতার পর বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু গভীরভাবে অনুধাবন করেছিলেন, শিক্ষা ছাড়া জাতির উন্নতি কোনদিন সম্ভব নয়। তাই তিনি একটি শিক্ষিত জাতির স্বপ্ন দেখেছিলেন। এরপর তাঁর যেই ভাবনা, সেই কাজ। শোষণমুক্ত ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি ভঙ্গুর শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজিয়েছিলেন। প্রাথমিক শিক্ষা জাতীয়করণ, সংবিধানে শিক্ষা বাধ্যতামূলক, শিক্ষা কমিশন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনসহ নানা কার্যক্রম বাস্তবায়িত করেছেন। এরপর তাঁর আরও উদ্যোগ বাস্তবায়নের স্বপ্ন থাকলেও নিষ্ঠুর ঘাতকদের কারণে বঙ্গবন্ধু তা করে যেতে পারেননি।


পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে পিতার শিক্ষা দর্শনকে সামনে রেখে শিক্ষাখাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে এর সার্বিক উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন। যার ফলে এই সেক্টরে ব্যাপক সফলতাও এসেছে।


তথ্য বিশ্লেষণে জানা যায়, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে তাঁর প্রণীত শিক্ষানীতিকেও ভেঙে দেয়া হয়। এরপর সামরিক শাসকরা ক্ষমতায় এসে ১৯৭২ সালের সংবিধানের আলোকে বঙ্গবন্ধু যে শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করেছিলেন, সেটাকে স্থগিত করে দেন। পরবর্তীতে সামরিক শাসক জেনারেল জিয়া এবং জেনারেল এরশাদ নতুন শিক্ষা কমিশন গঠনের মাধ্যমে দেশের শিক্ষাকে ভঙ্গুর করে পাকিস্তানি ভাবধারায় নিয়ে যেতে চেষ্টা করেন। এরপর ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনেন। ফলে মাত্র দু’বছরে ব্যবধানে স্বাক্ষরতার হার ৪৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬৫ দশমিক ৫ শতাংশে দাঁড়ায়।



এ অর্জনের স্বীকৃতি হিসাবে বাংলাদেশ ‘ইউনেস্কো স্বাক্ষরতা পুরস্কার ১৯৯৮’ লাভ করে। কিন্তু পরবর্তীতে অর্থাৎ ২০০১ সালে বিএনপি জামায়াত সরকারের আমলে আবার পিছিয়ে যায় শিক্ষা। এসময় শিক্ষার হার আগের চেয়ে ২০ শতাংশ কমে ৪৪ শতাংশে নেমে আসে।



এরপর ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সরকারের শিক্ষা ব্যবস্থায় নাজুক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এসময় শিক্ষার হার ছিল ৪৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ। পরবর্তীতে ২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসলে শিক্ষার উন্নয়নে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়। এরপর আস্তে আস্তে এর সুফল আসতে থাকে। ২০১১ সালের আদমশুমারিতে দেশে সাক্ষরতার হার ছিল ৫১.৭৭ শতাংশ। আর এখন ২০২২ এর জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী সারা দেশে সাক্ষরতার হার দাঁড়িয়েছে ৭৪.৬৬ শতাংশে।


এদিকে শিক্ষাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে এবং গরীব অসহায় পরিবার শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধ করতে এবং একইসাথে পাঠ্যপুস্তকের সংকট কমাতে ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা সরকার বিনামূল্যে বই বিতরণের সিদ্ধান্ত নেয়। ওই বছর সরকার ২৯৬ কোটি ৭ লাখ টাকার পাঠ্যপুস্তক প্রদানের উদ্যোগ নেয় এবং ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি এটি প্রথম উদ্বোধন করা হয়। এরপর থেকে প্রতিবছর এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত আছে। ২০২২ সাল পর্যন্ত মোট ৪০০ কোটি ৫৪ লাখ ৬৭ হাজার ৯১১ কপি পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হয়েছে। এদিকে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের জন্য জন্য প্রায় ৩৩ কোটি ৪৮ লাখ ৭৬ হাজার ৯২৩ কপি পাঠ্যবই ছাপানো হয়েছিল।


বিনামূল্যে বই বিতরণের এই উৎসব সারাবিশ্বে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বই বিতরণের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের মেধাবৃত্তি, উপবৃত্তিসহ আরও নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে শিক্ষার কল্যাণে। শুধু তাই নয়, বঙ্গবন্ধুর প্রণীত রূপরেখায় সব ছাত্র-ছাত্রীর অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষার অধিকার সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

উচ্চশিক্ষাকে মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। নতুন স্থাপিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষায়ও বাড়তি নজর দেয়া হচ্ছে। ফলে এখন দেশে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে।



শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শিক্ষার সুযোগ বঞ্চিত জনগোষ্ঠিকে সাক্ষরজ্ঞানদান, জীবনব্যাপী শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জীবিকায়ন, দক্ষ মানবসম্পদে পরিণতকরণ, আত্ম-কর্মসংস্থানের যোগ্যতা সৃষ্টিকরণ এবং বিদ্যালয় বহির্ভূত ও ঝরিয়া পড়া শিশুদের শিক্ষার বিকল্প সুযোগ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বিধান প্রণয়নকল্পে ‘উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা আইন ২০১৪’ করা হয়েছে। ২০১০ সালে শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনায় আধুনিক-বিজ্ঞানসম্মত জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা হয়। অথচ এর আগে কোন শিক্ষানীতিও ছিল না।



বঙ্গবন্ধুকন্যা বাংলাদেশ স্বাক্ষরতা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেন। এদিকে নারী শিক্ষায় বিশেষ গুরুত্ব, মাদরাসা শিক্ষায় আধুনিকায়ন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষক -শিক্ষার্থীদের নানা সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধিসহ শিক্ষার উন্নয়নে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছেন। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে উন্নত ও আধুনিকায়নের লক্ষ্যে দেশের ৬৫ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক পর্যায়ের ২৩ হাজারের অধিক স্কুল, কলেজ ও মাদরাসায় স্থাপন করা হয়েছে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম। এছাড়া ডিজিটালাইজেশন করে শিক্ষা ব্যবস্থাকে অনলাইনের আওতায় এনে নানা কার্যক্রমকে রুটিনমাফিক স্বল্প সময়ে সম্পন্ন করা হচ্ছে। কোভিডকালেও অনলাইন প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রমকে চালু রাখা হয়েছে।


শিক্ষার নানাক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফলতার কথা উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বিবার্তাকে বলেন, শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান বলে শেষ করা যাবে না। আমরা দেখেছি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর থেকে অর্থাৎ ১৯৭৫ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে কোন শিক্ষানীতি ছিল না। এরপর ২০১০ সালে শেখ হাসিনা প্রশাসন বাংলাদেশকে একটি শিক্ষানীতি উপহার দিয়েছে। আর সেই শিক্ষানীতি নিয়ে বাংলাদেশ এখন এগিয়ে চলেছে। কাজেই আমি মনে করি, শিক্ষার ক্ষেত্রে নানামুখী ভূমিকার কারণে শেখ হাসিনাকে আমরা শিক্ষাবান্ধব প্রধানমন্ত্রী বলতে পারি।


তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দায়িত্বে আসার পর থেকে শিক্ষাকে যেভাবে এগিয়ে নিয়ে গেছেন, সেটা বাংলাদেশের ইতিহাসে আর হয়নি। বঙ্গবন্ধু শিক্ষার ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে চেষ্টা করেছিলেন, একমুখী শিক্ষাব্যবস্থা চালু করেছিলেন প্রাথমিক পর্যায়ে। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য আমরা বঙ্গবন্ধুকে রক্ষা করতে পারিনি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। তারপর থেকে শিক্ষাকে নানা ভাবে কোণঠাসা করে রাখার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে শিক্ষাকে সম্প্রসারণে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছেন। এটার গতিও এখন অনেক বেশি। পৃথিবী খুব দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। আর পৃথিবী যে এগিয়ে চলেছে তার পিছনে কাজ করে জ্ঞান এবং শিক্ষা। ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। এদিকে শিক্ষার সম্প্রসারণের সাথে সাথে মানুষের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, খাদ্য বৃদ্ধিসহ নানামুখী পদক্ষেপ নিয়ে কাজ করছে শেখ হাসিনা সরকার।


নারী শিক্ষার অগ্রগতির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর অবদানের কথা উল্লেখ করে আরেফিন সিদ্দিক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব বিশাল দায়িত্ব। ১৭ কোটি মানুষের দেশে নানা সংকট আছে। এ সংকটের মাঝেও তিনি সবসময় শিক্ষাকে নিয়ে চিন্তা করেন। শুধু তাই নয়, শিক্ষার বিস্তার ও প্রসার ঘটানোর জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে মেয়েরা যে পিছিয়ে আছে, সেটা নিয়েও তিনি অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন। আজকে বাংলাদেশে ছেলে ও মেয়েদের যে অনুপাত তা প্রায় কাছাকাছি পর্যায়ে চলে এসেছে শিক্ষার ক্ষেত্রে অর্থাৎ মেয়েরা খুব একটা পিছিয়ে নেই। উচ্চ শিক্ষায় মেয়েরা ভালো ফলাফলও করছে। চাকরির ক্ষেত্রেও মেয়েরা অনেক দূর এগিয়ে এসেছে। এ সবই শেখ হাসিনার চিন্তার ফসল।


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জের উপাচার্য অধ্যাপক ড. জেড এম পারভেজ সাজ্জাদ বিবার্তাকে বলেন, ১৯৭৫ এর ১৫আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদেরকে নির্মমভাবে হত্যা করার পর যখন বাংলাদেশকে গভীর অন্ধকারে নিপতিত করা হয় এবং হত্যায় জড়িত দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীরা যখন বাংলাদেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় ফিরিয়ে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধকে চিরতরে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র লিপ্ত,মাতৃভূমির সেই গভীর সংকটকালে ১৯৮১ সালের ১৭ মে পিতার দেয়া দেশকে পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার দৃঢ় প্রত্যয়কে সঙ্গে নিয়ে শত বাধা বিপত্তি ও প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে দেশে ফিরে আসেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। তাঁর গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। তাঁরই হাত ধরে বাংলাদেশ আজ পৌঁছে গেছে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায়। দেশ এগিয়ে চলেছে স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার অভীষ্ট লক্ষ্যে।


শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর অবদানের কথা উল্লেখ করে এই শিক্ষাবিদ বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবিস্মরণীয় এক নাম। তাঁর যুগান্তকারী নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণের কারণে শিক্ষায় ব্যাপক সফলতা এসেছে। আর সামনের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায়ও তিনি বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও কারিগরি শিক্ষার শিক্ষার উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করছেন। আশা করি বঙ্গবন্ধুকন্যার হাত ধরে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশের রূপান্তরিত হবে। মহান আল্লাহর নিকট তাঁর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘ কর্মক্ষম জীবন প্রার্থনা করছি।


কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বিবার্তাকে বলেন, ২০০৯ সালে বর্তমান সরকার যে সকল সেক্টরগুলোকে প্রাধান্য দিয়েছে তার মধ্যে অন্যতম ছিল শিক্ষা সেক্টর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সেক্টরে পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে নানামুখী উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেছেন। ফলে এই সেক্টরে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।


তিনি বলেন, একটা সময় প্রাথমিক শিক্ষার হার ৬১ শতাংশ থাকলেও আজ তা ৯৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ, ছাত্র-ছাত্রীদের উপবৃত্তিসহ শিক্ষার কল্যাণে নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শিক্ষায় ব্যাপক সফলতা এসেছে।


তিনি আরো বলেন, এদেশের মাদরাসা শিক্ষাকে যুগোপযোগী করার জন্যও নানাভাবে কাজ করা হয়েছে। ফলে এখানকার শিক্ষার্থীরা সব ধরণের সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন। কোন কিছু থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছেন না। এদিকে উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে গবেষণা বৃদ্ধিসহ এর উন্নয়নেও পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। উচ্চ শিক্ষাকে ছড়িয়ে দিতে জেলায় জেলায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আজ দেশে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৫৮ টিতে উন্নিত হয়েছে। অন্যদিকে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকে জোর দেয়া হয়েছে। যা উচ্চ শিক্ষার উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে।


ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, দেশের সর্বত্র এখন ডিজিটালাইজেশন এর ছোঁয়া লেগেছে। শিক্ষার ক্ষেত্রেও এর ভূমিকা জোরালো হয়েছে। প্রাথমিক থেকে শুরু করে উচ্চ শিক্ষা পর্যন্ত সব জায়গায় এখন ডিজিটাল ব্যবস্থাপনায় শিক্ষা দেয়ার নানামুখী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়া জেন্ডার সমতা এবং শিক্ষার গুণগত বৃদ্ধিতে কাজ করছে শেখ হাসিনা সরকার।


এই শিক্ষাবিদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্প ২০৪১ অর্থাৎ এদেশকে উন্নত বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নয়নের কোন বিকল্প নেই। আর এই কাজটির জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে আমি কথা বলতে চাই, আমাদের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অবশ্যই শিক্ষার গুণগত মান আরও বৃদ্ধির জন্য কাজ করতে হবে।


উল্লেখ্য, ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের মধুমতি নদী বিধৌত টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ সন্তান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


বিবার্তা/রাসেল/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com