চলমান যুদ্ধ-বিগ্রহ বিশ্বে মানুষের কষ্ট বাড়াচ্ছে। যুদ্ধ-বিগ্রহসহ বৈশ্বিক সকল সমস্যা শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হোক। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮-তম অধিবেশনের উচ্চ পর্যায়ের বিতর্ক পর্বে যোগ দিয়ে বিশ্ববাসীর প্রতি এমন বার্তা দিবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর সাধারণ বিতর্ক পর্বে বাংলাদেশের পক্ষে বক্তব্য দিবেন প্রধানমন্ত্রী।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বশান্তি, নিরাপত্তা, নিরাপদ অভিবাসন, রোহিঙ্গা সঙ্কট, জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা সম্পর্কিত ইস্যূ প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে আসবে। বৈশ্বিক শান্তি, সমৃদ্ধি, অগ্রগতি এবং একটি টেকসই ভবিষ্যতের জন্য সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ২০৩০ এজেন্ডা এবং এর টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন সংক্রান্ত বিষয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে গুরুত্ব পাবে।
জাতিসংঘ সম্মেলনে যোগ দিতে ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের বড় বার্তা হচ্ছে যুদ্ধ সাধারণ গরিব মানুষ, মহিলা, শিশু এদের ওপর বড় অত্যাচার করে। আমরা চাই যুদ্ধ বন্ধ হোক। আমরা চাই শান্তি। যতো ধরনের সমস্যা আছে সেগুলো শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে আমরা সমাধান চাই। এই বার্তাটি প্রধানমন্ত্রী আগেও বিশ্বকে দিয়েছেন এবারও জাতিসংঘ অধিবেশনে এই বার্তা দিবেন।
তিনি আরো বলেন, মোটা দাগে শান্তি ও স্থিতিশীলতা উন্নয়নের সহায়ক এই বার্তা দিবেন প্রধানমন্ত্রী। আমরা বিশ্ব জুড়ে শান্তি চাই, বিশেষ করে কভিডের পর এবং ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে সাড়া দুনিয়ার মানুষ কষ্টে আছে। মানুষের কষ্ট যাতে লাঘব হয় সেটার জন্য প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান থাকবে।
অভিবাসন ইস্যূতে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অভিবাসন ইস্যূতে বিশ্বে আমরা সভাপতি। আমরা দুনিয়াতে রেগুলেটেড এবং অর্ডারলি অভিবাসন চাই। আমরা কোনো অনিয়ম অভিবাসন চাই না, এইটা এবারের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী আবার তুলে ধরবেন।
রোহিঙ্গা সঙ্কট সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার ষষ্ঠ বছরে পদার্পণ করেছি কিন্তু এপর্যন্ত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক এবং বহুপাক্ষিকভাবে গৃহীত পদক্ষেপ আশানুরূপ কোন সমাধান দিতে পারেনি। বাংলাদেশের জন্য রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তন এক নম্বর অগ্রাধিকার ইস্যু। এই বক্তব্যই আবারও বিশ্ববাসীর কাছে পৌছে দিতে ‘হাই লেভেল সাইড ইভেন্ট অন রোহিঙ্গা ক্রাইসিস’ শীর্ষক সাইড ইভেন্টে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য দিবেন। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে এই সঙ্কট সমাধানের জন্য বিশ্ববাসীর সহযোগিতা প্রত্যাশা করবেন। রোহিঙ্গা সঙ্কটে মানবাধিকার তহবিলের ঘাটতি পূরণে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের সহায়তা চাইবেন এবং বিশ্ববাসী যাতে রোহিঙ্গা সঙ্কট ভুলে না যায় প্রধানমন্ত্রী সেই অনুরোধ করবেন। জাতিসংঘ অধিবেশনে রোহিঙ্গা সঙ্কট সংক্রান্ত এই ইভেন্টে কানাডা, গাম্বিয়া, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব, মালয়েশিয়া এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন সহ আয়োজক।
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]