শাহবাগ থানায় ধরে নিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধরের অভিযোগে রমনার এডিসি হারুনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমকে তিনি এ কথা জানান।
এর আগে শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে শাহবাগ থানায় ধরে নিয়ে বেধক পেটানোর অভিযোগ ওঠে এডিসি হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে।
পিটুনিতে আহত দুইজন হলেন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাবির শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম।
তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনার জেরে রাতে শাহবাগ থানার সামনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ভিড় করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও পুলিশের কর্মকর্তারা থানায় গিয়ে মধ্যরাতে ঘটনার মীমাংসা করেন।
ছাত্রলীগ জানিয়েছে, এডিসি হারুন শনিবার রাতে আরেক নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে বারডেম হাসপাতালে আড্ডা দিচ্ছিলেন। ওই সময় নারী কর্মকর্তার স্বামী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান। নারী কর্মকর্তার স্বামীও একজন সরকারি কর্মকর্তা। তার সঙ্গে এডিসি হারুনের বাক-বিতণ্ডা হয়। পরে এডিসি হারুন দুই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতাকে শাহবাগ থানায় তুলে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করেন। এরপর অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়লে ওই দুইজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
অবশ্য পুরো ঘটনাই অস্বীকার করেন এডিসি হারুন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি এসব কিছু জানি না। ’
নিউমার্কেট জোনের এডিসি শাহেন শাহ মাহমুদ বলেন, ‘এমন কোনো বিষয় জানা নেই। তবে হাঁটার সময়ে আমাদের এক অফিসারের সঙ্গে অন্য এক অফিসারের ধাক্কা লাগে। তা নিয়ে ভুল বুঝাবুঝি হলেও বিষয়টা সমাধান হয়ে গেছে। ’
পুলিশ কর্মকর্তা এডিসি হারুন নানা সময়েই আলোচনা-সমালোচনায় থাকেন সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]