শিরোনাম
‘উদ্ভাবনকে বাণিজ্যিক পর্যায়ে নিয়ে চামড়া শিল্পের উৎকর্ষই লক্ষ্য’
প্রকাশ : ২২ জুলাই ২০২৩, ২০:১৭
‘উদ্ভাবনকে বাণিজ্যিক পর্যায়ে নিয়ে চামড়া শিল্পের উৎকর্ষই লক্ষ্য’
মহিউদ্দিন রাসেল
প্রিন্ট অ-অ+

চামড়া দেশের বৃহৎ এবং অপার সম্ভাবনাময় শিল্পখাত। কিন্তু পরিবেশবান্ধব উপায়ে চামড়া প্রক্রিয়াজাত না করায়, ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার ও সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাবসহ নানা কারণে এই শিল্প হুমকির মুখে পড়েছে। পরিবেশবান্ধব উপায়ে চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আমরা নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছি। উদ্ভাবিত এ প্রযুক্তিতে স্বল্প খরচে এনজাইম ব্যবহার করে ৩০ শতাংশ কম রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে প্রচলিত পদ্ধতির চেয়ে অধিক গুণগতমান সম্পন্ন ফিনিশড লেদার উৎপাদন করা সম্ভব। আমাদের লক্ষ্য এই উদ্ভাবনের সুফলকে বাণিজ্যিকভাবে ছড়িয়ে দিয়ে চামড়া শিল্পের উৎকর্ষ সাধন করা।


কথাগুলো বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউট (আইলেট) এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। তার নেতৃত্বে একদল গবেষক চামড়া শিল্পের পরিবেশবান্ধব নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। সম্প্রতি এই গবেষক বিবার্তা ২৪ ডট নেটের সাথে একান্ত আলাপচারিতা করেছেন। আলাপে তিনি উদ্ভাবনের নানাদিকসহ অভীষ্ট লক্ষ্যের কথা জানিয়েছেন। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন বিবার্তা প্রতিবেদক মহিউদ্দিন রাসেল।


বিবার্তা: দেশের সম্ভাবনাময় চামড়া শিল্প যখন প্রায় বিলীন হওয়ার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছিল, ঠিক সেই মুহূর্তে চলতি মাসের ৬ জুলাই চামড়া শিল্পকে নিয়ে নতুন উদ্ভাবনের কথা জানিয়েছেন আপনারা। নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে গিয়ে পুরানো প্রক্রিয়ায় কী কী ত্রুটি পেয়েছেন?


ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান: চামড়া অনেক পুরোনো একটা শিল্প। আগে চামড়া গাছের ছাল, পাতা দিয়ে ক্যানিং করা হতো। কিন্তু সেটা তো অনেক সময় সাপেক্ষ। আর ওইভাবে প্রসেস করে চামড়ার পরিপূর্ণ কোয়ালিটি পাওয়া যায় না। পরবর্তীতে কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট অর্থাৎ ক্রোমিয়াম বেইজড ট্রিটমেন্ট মূলত পরিচিত হয়েছে। সারাবিশ্বের ৮০ শতাংশের উপরে ক্রোমিয়াম দিয়ে ট্রিটমেন্ট করে। শুধু ক্রোমিয়াম না, এরসাথে প্রাসঙ্গিক আরও অনেক ধরনের কেমিক্যাল আছে যা ক্রোমিয়াম সল্টের সাথে যুক্ত হয়। আর এগুলো দিয়ে চামড়া প্রসেস করা হয়। কিন্তু এগুলো তো পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। চামড়ার সাথে শুধু ক্রোমিয়াম সল্ট না, এর সাথে আরও বিভিন্ন ধরনের অর্গানিক উপাদানসহ এসিড, অ্যালকেলি, সল্টসহ বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়। চামড়া শিল্পের জন্য যতগুলো কেমিক্যাল ব্যবহার হয়, তার ৫০ শতাংশ চামড়ার প্রসেসে কাজে লাগে আর বাকী ৫০ শতাংশ পরিবেশে মিশে যায়। অর্থাৎ এক কেজি কেমিক্যালের ৫০০ গ্রাম প্রসেসের কাজে লাগে। এক্ষেত্রে এক কেজি না দিলে আবার রেশিওটাও কমে যাবে। ফলে যথাযথ কাজটা হবে না। এভাবে ৫০ শতাংশ কেমিক্যাল পরিবেশে চলে যায়, যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। এক্ষেত্রে সবচেয়ে ক্ষতির হলো- ক্রোমিয়াম সল্ট বা ক্রোমিয়াম থেকে অক্সিডাইজড হয়ে যখন ক্রোমিয়াম ৬ হয়, সেটা শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তখন ক্যান্সার থেকে শুরু করে নানা ধরনের মারাত্মক রোগ হতে পারে। এসব কারণে ইতোপূর্বে হাজারীবাগ, বুড়িগঙ্গার পরিবেশ দূষিত হয়েছে। এখন তো হেমায়েতপুর, ধলেশ্বরী থেকে শুরু করে পুরো এলাকা দূষিত হচ্ছে।



বিবার্তা: কোনো চিন্তাভাবনা থেকে নতুন উদ্ভাবনের কাজে যুক্ত হয়েছেন? আপনাদের যাত্রাটা কেমন ছিল?


ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান: আমরা ভেবেছি, যেহেতু চামড়া দেশেরই কাঁচামাল, সেহেতু এটার অনেক সম্ভাবনা আছে। এখান থেকে আমরা যতটা রফতানি করব, তার শতকরা ৯০ শতাংশ আমাদের উপার্জনের মধ্যে পড়বে। সেই চিন্তা থেকে চেষ্টা করলাম কীভাবে কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট ঠিক করব। কারণ চামড়াশিল্পে কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট হলো মূল। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল কীভাবে চামড়ার গুণগত মান ঠিক রেখে কেমিক্যাল ব্যবহার কমাতে পারি। সেই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে দেখলাম কেমিক্যালের ব্যবহার কমাতে হলে যা কেমিক্যাল দেবো, তার অধিকাংশ যেন লেদারটা আপ-টেক করে। যার ফলে রিঅ্যাকশন হবে। আর রিঅ্যাকশন অধিকাংশ হলে তার প্রপার্টিজে চেঞ্জেসগুলো আসবে।


আমাদের দুইটা টার্গেট ছিল- একদিকে কেমিক্যাল ব্যবহার কমানো, অন্যদিকে খরচ কমানো। তখন আমরা এনজাইম ব্যবহার করে বিভিন্নভাবে ল্যাবরেটরিতে চেষ্টা করলাম। এনজাইম যেহেতু প্রোটিয়েজ, সেহেতু এটা ফাইভারটাকে আরও বেশি ওপেন করবে চামড়ার ক্ষেত্রে। তখন চিন্তা করলাম যেহেতু এটা ওপেন করবে সেহেতু সেখানে কেমিক্যাল আপ-টেক ইনক্রিস করতে পারবে। এরপর আমরা ল্যাবে কাজ শুরু করলাম। দেখলাম এটা কাজ করছে, কিছু একটা হচ্ছে। আমরা এখন যে কেমিক্যাল ব্যবহার করি, তখন সেই কেমিক্যাল দিয়েই শুরু করলাম। কিন্তু দেখলাম চামড়া একেবারে কালো হয়ে গেছে। কারণ ক্রোমিয়াম অনেক বেশি আপ-টেক করেছে। ভাবলাম যেহেতু কেমিক্যাল আপ-টেক বাড়তেছে, তাহলে এটা অবশ্যই ইন্টারেস্টিং ব্যাপার। এদিকে এতো আপ-টেক তো দরকার নাই। এটার তো একটা স্ট্যান্ডার্ড লেভেল আছে। যেমন- ১.৫, ১.৮ বা ২ এর কাছাকাছি হলেই হয়। কিন্তু ওইখানে ৩ এর উপরে হয়ে গেছে। তারপর আমরা আস্তে আস্তে কেমিক্যাল কমাতে থাকি। লক্ষ্য ছিল আপ-টেক স্ট্যান্ডার্ড ভ্যালুতে থাকবে, আর এরমধ্য দিয়ে লেদারের প্রপার্টিজগুলো ঠিক থাকে কি-না। সেভাবেই করতে করতে এনজাইমটাকে আরেকটু মোডিফাই করলাম। এক পর্যায়ে দেখলাম যদি ৩০ শতাংশ কম কেমিক্যাল ব্যবহার করি, তাতে কেমিক্যালের যে আপ-টেক নরমাল থেকে ২/৩ শতাংশ বেশি হয়।এটাই তো আমাদের জন্য যথেষ্ট। এক্ষেত্রে চামড়ার গুণগত মান কনভোকশনের চেয়ে ১০/২০ শতাংশ ভালো হয়। এটা খুবই ইন্টারেস্টিং যে, এই প্রসেসে কেমিক্যাল কম লাগলেও আপ-টেক কিন্তু ঠিকই বাড়তেছে। ইতোপূর্বে বলেছি আগের কেমিক্যালের ৫০ শতাংশ যেখানে পরিবেশে চলে যেত সেখানে এখন ৩০ শতাংশ কম ব্যবহার করেও আপ-টেক আগের চেয়ে একটু বেশি হচ্ছে অর্থাৎ ২-৫ শতাংশ বেশি হচ্ছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ক্রোমিয়াম, যা আমাদের জন্য ক্ষতিকর। এই ক্রোমিয়াম নরমালি ইন্ডাস্ট্রিতে যা যায়, তার ১০ ভাগের এক ভাগ পরিবেশে যাচ্ছে। যেমন-আগে যদি যেত ৫০০০, এখন যায় ৪৮০। নরমালি ৪০০০-৫০০০ যায়। আমরা এখানে পেলাম ৪৫০-৪৬০। ইন্ডাস্ট্রিতে যে তরল বর্জ্য থাকে সেগুলো ঘন কালো থাকে। কিন্তু আমরা এখানে দেখলাম, অনেকটা স্বচ্ছের কাছাকাছি। ফলে বোঝা গেল যে, কেমিক্যাল উপাদান তেমন বেশি ব্যবহার হয় নাই। এর মধ্য দিয়ে ট্রিটমেন্ট খরচও ৫০/৬০ শতাংশ কমে যাবে সাথে কেমিক্যাল খরচও ৩০ শতাংশ কমলো। সর্বোপরি, এটার মধ্য দিয়ে পরিবেশের উপর বার্ডেনও ৬০/৭০ কমে যাবে। এই পরীক্ষা শুধু ল্যাবে নয়, ইন্ডাস্ট্রিতেও করেছি। প্রথমে যখন ল্যাবে সফল হলাম, তখন আমরা ফাইনালটা করলাম প্রগতি ট্যানারিতে। তাদের দুই টনের ড্রামে এনজাইম দিয়ে ওদের হাত দিয়ে পরীক্ষা করলাম। এভাবেই এই উদ্ভাবন হয়েছে।


বিবার্তা: উন্নত দেশগুলোতে এই শিল্পের কার্যক্রম কেমন?


ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান: চামড়া শিল্পটা উন্নত দেশগুলোতে সেভাবে নাই। ইউরোপের একটা দুটো দেশে আছে অর্থাৎ ইতালি, পোল্যান্ডসহ দুই একটা দেশে। আর পার্শ্ববর্তী ভারত, চীন, ভিয়েতনামসহ কয়েকটি দেশে আছে। এগুলো হলো চামড়া শিল্পের মূল জায়গা। আফ্রিকান দেশগুলোতেও আছে। কিন্তু সেখানে প্রযুক্তিগত সুবিধা তেমন নেই। চামড়া শিল্প নিয়ে খুব বেশি গবেষণাও হয় না বিশ্বব্যাপী। কারণ উন্নত দেশগুলো চামড়ার বিকল্প হিসেবে আর্টিফিসিয়াল লেদার তৈরি করছে। সেজন্য তারা সেভাবে গবেষণাও করছে না।


বিবার্তা: চামড়া শিল্প নিয়ে আপনাদের যে উদ্ভাবন সেটার চূড়ান্ত প্রয়োগ কবে নাগাদ হতে পারে?


ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান: আমরা ইতোমধ্যে এই উদ্ভাবন শিল্পকারখানায় সফলভাবে প্রয়োগ করেছি। একেকটা কারখানার দৈনিক কনজামশন ২০০/৩০০ কেজি। অথচ আমাদের ১০ কেজি ল্যাবে বানাতে লাগবে ৩০ দিন। কিন্তু এরপরেও প্রগতিতে ২ টন চামড়া প্রসেসের জন্য আমরা এনজাইম কিন্তু ৩ মাসে বানিয়ে দিয়েছি। মোটকথা, এটার জন্য দরকার ইন্ডাস্ট্রি ব্যবস্থাপনা। এই কাজে সরকারি লোকদেরও এনেছি আর তাদের বলেছি আপনারা এই কাজে উদ্যোগ নেন। আমরা তো গবেষণায় প্রয়োগ করে দেখিয়েছি। এখন বাকিটা কমার্সিয়ালাইজেশনের। ইন্ডাস্ট্রি সেটআপের দায়িত্ব তো আমাদের না। এটার পেটেন্ট রাইট আমার। সেক্ষেত্রে সরকার যদি ইন্ডাস্ট্রি সেটআপের জন্য কোন উদ্যোগ নেয়, তাহলে আমরা অবশ্যই আছি। কারণ আমরা গবেষণা করেছি দেশের জন্য। আমরা চাই এটার সফল প্রয়োগ হোক।



বিবার্তা: আপনাদের এই উদ্ভাবন নিয়ে ২০৩০ সালে একটা টার্গেটের কথা বলেছেন- সেটা ১০-১২ বিলিয়ন ডলার। এই বিষয়ে যদি কিছু বলতেন?


ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান: পুরো বিশ্বে ৩০০ বিলিয়নের কাছাকাছি চামড়ার বাজার। আর আমাদের অংশীদারিত্ব হলো ১.২ বিলিয়ন। ফলে বিশ্বে যদি ৩০০ বিলিয়ন ধরি, তাহলে আমরা কিন্তু ০.৪ শতাংশের মধ্যে আছি। বিশ্বের চামড়ার উপাদানের ৩ শতাংশ হলো আমাদের দেশের। আমরা যদি রফতানি ৩ শতাংশ করি তাহলে ১২ বিলিয়ন ডলার হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে যদি বিদেশ থেকে কোন ‘র’ মেটিরিয়াল ইমপোর্ট না করি, শুধু নিজেদের মেটিরিয়ালগুলো প্রসেস করে মার্কেটে পরিবেশবান্ধব উপায়ে প্রডাক্ট হিসেবে এক্সপোর্ট করি- তাহলে এটলিস্ট ৩ শতাংশ মার্কেট শেয়ার করতে পারি। তখন ‘র’ মেটিরিয়াল থেকে এক্সপোর্টের শতাংশ বেড়ে ৫ হওয়াও ব্যাপার না। আর ৫ শতাংশ হলে প্রায় ১৫ বিলিয়ন ডলার হয়।


বিবার্তা: আপনাদের এই উদ্ভাবনে কোনো সহযোগিতা পেয়েছিলেন কি-না?


ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান: আমাদের উদ্ভাবনে মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সবসময় উৎসাহ দিতেন। উদ্ভাবনের শুরু থেকে উনার সাথে এসব বিষয়ে আমার কথা হত। এছাড়া ঢাবির প্রো-উপাচার্য মহোদয়বৃন্দও উৎসাহ দিতেন। এর বাহিরে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এর সাথে সম্পৃক্ত ছিল। তবে ওইরকম ভাবে আর্থিক সহযোগিতা কোনো জায়গা থেকে পাইনি। আমরা সীমিত পরিসরে এই কাজটা করেছি। আমার ব্যক্তিগত কিছু রিসার্চ ফান্ড ছিল, সেখান থেকে খরচ করেছি।


বিবার্তা: এই উদ্ভাবনের চূড়ান্ত প্রয়োগে সরকারের কাছে কোনা চাওয়া আছে কি-না?


ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান: এই উদ্ভাবনকে কমার্সিয়াল করাই এখন মূল চ্যালেঞ্জ। এটা হয়ে গেলে চূড়ান্ত সফলতা আসবে। আর তার মধ্য দিয়ে পরিবেশ দূষণ ৮০ শতাংশ কমে যাবে। এটা কিন্তু অনেক বড় অর্জন। তাছাড়া এই প্রযুক্তির উদ্ভাবন চালিয়ে আমরা যখন গুডসগুলো পাব, তখন এই এনজাইমগুলোও বিদেশে এক্সপোর্টও করতে পারব। কারণ, এটার পেটেন্ট রাইট আমাদের। এটা বড় ধরনের সুযোগ আমাদের জন্য। আর এই পুরো বিষয়ে সরকার উদ্যোগী হলে কাজটি অনেক সহজ হয়ে যাবে।


বিবার্তা: চামড়ার এই উদ্ভাবন নিয়ে আপনার স্বপ্ন কী?


ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান: এটা ঠিক স্বপ্ন না, তবে আমার ইচ্ছে আছে। এই উদ্ভাবনকে কমার্সিয়ালি করে চামড়া শিল্পকে রক্ষা করা আমাদের লক্ষ্য। চামড়া শিল্প বাংলাদেশের বৃহৎ শিল্প। এটা অনেক সম্ভাবনাময় একটা খাত। এই ‘র’ মেটিরিয়াল সম্পূর্ণ আমাদের দেশের। শুধু কিছু কেমিক্যাল বিদেশ থেকে আনতে হয়। ফলে আমাদের অনেক সুযোগ আছে। মোটকথা, পরিবেশবান্ধব উপায়ে যদি চামড়াটাকে যদি প্রসেস করতে পারি তাহলে এটা অনেক সম্ভাবনার। এর মাধ্যমে আমরা ১ বিলিয়ন থেকে ২ বছরের মাথায় ৫/৬ বিলিয়ন ডলার আয় করতে পারব।


বিবার্তা: বিবার্তাকে সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।


ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান: আপনাকেও ধন্যবাদ।


বিবার্তা/রাসেল/রোমেল/সউদ


সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com