এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) চলমান গ্রামীণ সংযোগ উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিরিক্ত তহবিল অনুমোদন করেছে। গ্রামীণ সড়ক উন্নয়ন, কৃষি ক্ষেত্রকে আরও উৎপাদনশীল করা এবং বাংলাদেশের গ্রামীণ আর্থ-সামাজিক কেন্দ্রগুলোর উন্নতি সাধন এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত।

এডিবি’র প্রিন্সিপাল রুরাল ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট মাসাহিরো নিশিমুরা বলেন, গ্রামীণ সড়ক নেটওয়ার্কের আরো সম্প্রসারণ এবং বাংলাদেশের গ্রামীণ এলাকার জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে জলবায়ু ও দুর্যোগ মোকাবেলা এবং সড়ক সম্পদ ব্যবস্থাপনায় উদ্ভাবনী বৈশিষ্ট্য প্রবর্তনের লক্ষ্যে এটি এই প্রকল্পের জন্য এডিবি’র দ্বিতীয় অতিরিক্ত অর্থায়ন।

নিশিমুরা আরও বলেন, এই প্রকল্পটি গ্রামীণ এলাকায় পরিবহন দক্ষতা এবং নির্ভরযোগ্যতা উন্নত করতে, কৃষি উৎপাদনশীলতা বাড়াতে এবং দেশের টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সাহায্য করার জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়তা করছে।

২০১৮ সালের নভেম্বরে প্রাথমিকভাবে অনুমোদিত চলমান প্রকল্পটির লক্ষ্য ছিল প্রায় ১,৭০০ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক উন্নয়ন, গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্থা এবং সড়ক ব্যবহারকারীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং গ্রামীণ সড়ক মহাপরিকল্পনা উন্নত করা। ২০২০ সাল থেকে ৯০০ কিলোমিটারের বেশি গ্রামীণ সড়ক মূল লক্ষ্যে যুক্ত করা হয়েছে। সর্বশেষ এই ঋণটি ১,৩৫০ কিমি গ্রামীণ সড়কের সব আবহাওয়ার উপযুক্ততা, জলবায়ু সহিষ্ণুতা এবং নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যগুলোর উন্নতিকে আরো প্রসারিত করবে। এটি উপজেলা পর্যায়ে সড়ক রক্ষণাবেক্ষণের ১৮০টি ভ্রাম্যমাণ কার্যালয়ে সরঞ্জাম ও ট্রাক সরবরাহ করবে এবং জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজনে প্রকৃতিভিত্তিক বায়োইঞ্জিনিয়ারিং সমাধানে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) সক্ষমতা জোরদার করবে।

এডিবি চরম দারিদ্র্য দূরীকরণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখে একটি সমৃদ্ধ, অন্তর্ভুক্তিমূলক, সহনশীল এবং টেকসই এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল অর্জনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত ব্যাংকটির সদস্য সংখ্যা ৬৮ এবং এর ৪৯ সদস্যই এই অঞ্চলের।

বিবার্তা/লিমন