২০২৩-২৪ অর্থবছরে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ বরাদ্দ পেয়েছে অর্থ বিভাগ। বিভাগটি গত অর্থবছরের মূল বাজেট থেকে প্রায় ৪১ হাজার কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ পেয়েছে।
১ জুন, বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেট বক্তব্যের সময় মন্ত্রণালয় ও বিভাগভিত্তিক বরাদ্দের চিত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মন্ত্রণালয় ও বিভাগভিত্তিক বরাদ্দের চিত্রে দেখা গেছে, আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে অর্থ বিভাগের জন্য ২ লাখ ৩১ হাজার ২১১ কোটি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যা ২০২২-২৩ অর্থবছরের তুলনায় ৪১ হাজার কোটি টাকা বেশি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে অর্থ বিভাগের জন্য বরাদ্দ ছিল ১ লাখ ৯০ হাজার ৭১৬ কোটি টাকা। যা সংশোধিত বাজেটে কমে দাঁড়ায় ১ লাখ ৮৫ হাজার ৭৩ কোটি টাকা।
এছাড়া, স্থানীয় সরকার বিভাগ বরাদ্দ পাচ্ছে ৪৬ হাজার ৭০৫ কোটি টাকা, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ বরাদ্দ পেয়েছে ৪২ হাজার ৮৩৯ কোটি টাকা, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৪২ হাজার ৯৫ কোটি টাকা, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৩৯ হাজার ৭১০ কোটি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ ৩৪ হাজার ৭২২ কোটি টাকা। এই পাঁচটি বিভাগকে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
‘উন্নয়নের অভিযাত্রায় দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে’ শিরোনামে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট সংসদে পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বিকেল ৩টায় তিনি ডিজিটাল উপস্থাপনার মাধ্যমে বাজেট পেশ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসময় সংসদে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে, জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন করা হয়। তারপর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বাজেটে সম্মতি জানিয়ে স্বাক্ষর করেন।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা যা মোট জিডিপির ৫ দশমিক ২ শতাংশ। প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ঠিক করা হয়েছে সাড়ে ৭ শতাংশ।
বাজেটে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। করবহির্ভূত ও অন্যান্য আয়ের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ২০ হাজার কোটি টাকা। কর ছাড়া প্রাপ্তি ধরা হয়েছে ৫০ হাজার কোটি টাকা। বৈদেশিক অনুদান থেকে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। ঘাটতি পূরণে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ঋণ নেওয়া হবে এক লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা। বৈদেশিক ঋণ নেওয়া হবে এক লাখ দুই হাজার ৪৯০ কোটি টাকা।
বিবার্তা/লিমন/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]