‘সামাজিক মর্যাদাই বিসিএসকে জনপ্রিয় করেছে’
উচ্চ শিক্ষিতদের বিসিএসের প্রতি এত ঝোঁক কেন?
প্রকাশ : ২১ মে ২০২৩, ১০:৫৮
উচ্চ শিক্ষিতদের বিসিএসের প্রতি এত ঝোঁক কেন?
মহিউদ্দিন রাসেল
প্রিন্ট অ-অ+

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) ৪৫ তম প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার, ১৯ মে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে একযোগে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। চাকরির বাজারের সবচেয়ে প্রতিযোগিতামূলক এই পরীক্ষায় সাধারণ বিভাগগুলোর চাকরিপ্রার্থীরাসহ ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়াররাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছে। ফলে বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীদের বিসিএসের প্রতি এই ঝোঁক নিয়ে নানা কথাও আলোচিত হচ্ছে। তবে অংশগ্রহণকারী চাকরিপ্রার্থীরাসহ বিশিষ্ট শিক্ষাবিদরা বলছেন, সামাজিক মর্যাদাসহ নানা সুযোগ-সুবিধা বেশি থাকার কারণে বিসিএসের প্রতি তরুণদের আগ্রহ দিনকে দিন বাড়ছে।


তথ্য বিশ্লেষণে জানা যায়, ৪৫ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ৩ লাখ ৪৬ হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্যে অংশ নিয়েছেন ২ লাখ ৬৮ হাজার ১১৯ জন। পরীক্ষা দেননি ৭৮ হাজার ৮০৩ জন। উপস্থিতির হার ৭৭.২৪ শতাংশ। এই বিসিএসের মাধ্যমে মোট ২ হাজার ৩০৯ জন ক্যাডার নেয়া হবে। নন-ক্যাডারে নেয়া হবে ১ হাজার ২২ জনকে।



এদিকে এই বিসিএসের ২ হাজার ৩০৯ ক্যাডারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিয়োগ হবে চিকিৎসায়। সহকারী ও ডেন্টাল সার্জন মিলিয়ে ৫৩৯ জনকে নিয়োগ দেয়া হবে। চিকিৎসার পর সবচেয়ে বেশি শিক্ষা ক্যাডারে নিয়োগ পাবেন ৪৩৭ জন। এরপর পুলিশে ৮০, কাস্টমসে ৫৪ ও প্রশাসনে ২৭৪ জনকে নিয়োগ দেয়া হবে।



বিসিএসে অংশগ্রহণকারী চাকরিপ্রার্থীরা বলছেন, যতই দিন যাচ্ছে ততই বিসিএসে প্রতিযোগিতা বাড়ছে। এক্ষেত্রে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারসহ সবাই বিসিএসে ঝোঁকছে। সামাজিক মর্যাদাসহ নানা কারণে এটা হচ্ছে বলে দাবি তাদের।


এই বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা গ্র্যাজুয়েট রায়হানুল ইসলাম তানভীর বিবার্তাকে বলেন, ঢাবির ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্সুরেন্স বিভাগ থেকে বিবিএ ও এমবিএ সম্পন্ন করে আমি একটি বেসরকারি ব্যাংকে ফার্স্ট ক্লাস অফিসার পদে জয়েন করেছি। আমার বেতন স্কেলও ভালো। আমি নিজেও ব্যাংকিংয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে ব্যাংক পেশায় স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। কিন্তু এরপরেও আমি ভালো নেই। আত্মীয় স্বজনসহ আশপাশের লোকজনের নানা প্রশ্ন, বিসিএস কেন দিচ্ছি না? ঢাবিতে পড়ে বিসিএস ক্যাডার হতে পারলে এটাই আসল সফলতা বলে দাবি তাদের। আর তাদের এসব নানা প্রশ্ন ও কথায় আমি নিজে জর্জরিত। মোটকথা, তাদের কাছে বিসিএসই যেন সব। এদিকে উনারা এসব বিষয়ে আমার পরিবারের লোকজনকে বলায় তারাও আমাকে বিসিএসের প্রতি জোর দিচ্ছে। অথচ বিসিএসের প্রতি আমার তেমন ঝোঁক নেই। কিন্তু চাপে পড়ে এরপরেও পরীক্ষায় বসতে হচ্ছে।


এই শিক্ষার্থী বলেন, একটা বিসিএস সম্পূর্ণ হতে কয়েক বছর লেগে যায়। এরপরেও যদি পজিটিভ ফল না আসে তাহলে সেটা কতটা কষ্টের হবে, ভাবা যায়? তারপরেও সামাজিক মর্যাদায় শুধু বিসিএস-বিসিএস করা হচ্ছে। ফলে অন্য পেশায় গেলেও শিক্ষার্থীরা শান্তিতে থাকতে পারে না। তাছাড়া আমি যেটা মনে করি, যার যে বিষয়ে পড়াশোনা সেটা যদি ক্যারিয়ারে কাজে না লাগে তাহলে সে উচ্চ শিক্ষার দাম কী? শুরু থেকে বিসিএস কোর্স চালু করলেই তো হয়!


বুয়েট থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পাস করেছেন আবুল হাসনাইন জিনাত। তিনি বিবার্তাকে বলেন, এটা দিবালোকের সত্য যে, এখন বিসিএস আর সাধারণ চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারসহ বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীরাও এতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করছে, আর সফলও হচ্ছে। আর তাদের এই অংশগ্রহণের পেছনে নানা কারণ থাকতে পারে। তবে সবচেয়ে বড় যে কারণটা সেটা হলো- সামাজিক মর্যাদা। যেমন- ধরেন, আমি বুয়েট থেকে পাস করে ইঞ্জিনিয়ারিং পেশায় জয়েন করলাম অন্যদিকে বিসিএস পাস করে প্রশাসন ক্যাডারে জয়েন করলাম। এখন আমার কোনটার সামাজিক মর্যাদা বেশি? নিঃসন্দেহে বিসিএস ক্যাডারের মূল্যায়ন বেশি। এজন্য বুয়েটসহ বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থীরা বিসিএসের প্রতি ঝোঁকছে।


চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে পাস করা ডা. আয়েশা তাবাসসুম বিবার্তাকে বলেন, আমি বুকভরা স্বপ্ন নিয়ে ডাক্তারি পড়াশোনা করেছি। তবে এখন ডাক্তারি পেশায় থাকি কি-না সেটা অনিশ্চিত হয়ে গেছে। ৪৫ তম বিসিএসে অংশগ্রহণ করেছি। সেক্ষেত্রে কিন্তু বোথ ক্যাডার চয়েজ দিয়েছি। অর্থাৎ ডাক্তারির টেকনিক্যাল ক্যাডারের পাশাপাশি সাধারণ ক্যাডারেও চয়েজ দিয়েছি। ফলে আমি যদি এই বিসিএস থেকে সাধারণ ক্যাডার থেকে ফরেন, এডমিনসহ যদি কোন ভালো ক্যাডার পেয়ে যায়, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারি পেশা বাদ দিয়ে সেখানে জয়েন করবো।


তিনি বলেন, আমরা এমন এক যুগে বাস করি যেখানে শুধু নিজের চয়েজকে প্রাধান্য দিলে হবে না। পরিবার, সমাজসহ নানা চিন্তা মাথায় নিয়ে আমাদের ক্যারিয়ার নির্ধারণ করতে হয়। তারপরেও আমি এটা অবলীলায় স্বীকার করি, যে যেই বিষয়ে পড়াশোনা করেছে সে সেই বিষয়ে ক্যারিয়ার গড়লে অবশ্যই ভালো। তবে শিক্ষার্থীরাও যাতে নিজ পঠিত বিষয়ের বাহিরে না যায়, সেজন্য সেখানে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা উচিত সরকারের। তাহলে শিক্ষার্থীরা পঠিত বিষয়ে ক্যারিয়ার গড়ার আগ্রহ পাবে।



বিসিএসের প্রতি তরুণদের এতো ঝোঁকের বিষয়ে জানতে চাইলে বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে কর্মরত গাজী মিজানুর রহমান বিবার্তাকে বলেন, বিসিএস এতো জনপ্রিয় হওয়ার পেছনে অনেকগুলো ফ্যাক্টর কাজ করে। প্রথমত, যদি বলি ২০১৫ সালে সরকার যে অষ্টম পে-স্কেল দিয়েছে, এই পে-স্কেলে সরকারি অফিসারদের স্যালারি প্রায় দ্বিগুণ করা হয়েছে। এটার পরে মানুষ কিন্তু প্রাইভেট সেক্টর থেকে সরকারি সেক্টরের দিকে ছুটেছে। এক্ষেত্রে বিসিএসকে তো সরকারি চাকরির মধ্যে উপরের স্তর ধরা হয়। যারা সরকারি চাকরি করতে চায়, তারা হয়তো বিসিএস ক্যাডার হতে চায় অথবা তা না পেলে নন ক্যাডারের মাধ্যমে ভালো কোনো চাকরি পেতে চায়। স্যালারি ডাবল করার কারণে মানুষ বিসিএসের দিকে ঝোঁকছে।



তিনি বলেন, আরেকটা কারণ হলো, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সরকারি চাকরির প্রতি সমাজে আলাদা একটা মূল্যায়ন আছে, এটার সামাজিক মর্যাদা অনেক বেশি। এর পাশাপাশি এটার সিকিউরিটি আছে। এখন মানুষ যখন দেখলো, সামাজিক মর্যাদার পাশাপাশি এখানে আর্থিক সিকিউরিটিও আছে। এছাড়া আগে পে-স্কেল কম থাকলেও ডাবল স্কেলের মাধ্যমে সেটাও বেড়েছে। আরেকটা ব্যাপার হলো- সরকারি নিয়োগ পরীক্ষাগুলোতে বিভিন্ন সময়ে প্রশ্নপত্রফাঁস হওয়া, এমনকি কোনো বেসরকারি সেক্টরে রেফারেন্সে জব হওয়া এই ধরনের অনেক অভিযোগ বিভিন্ন সময়ে পত্রপত্রিকা ও সংবাদে দেখা যায়। এ বিষয়গুলো দেখার পর উচ্চশিক্ষিত তরুণরা ডিমোটিভেটেড হচ্ছে।


তিনি আরো বলেন, দেখা যাচ্ছে, কোথাও প্রশ্নপত্র ফাঁস হচ্ছে, আবার কোথাও স্বজনপ্রীতি করে লোক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) এ জায়গাটাতে সবার আস্থা আছে। কারণ এখানে প্রশ্নফাঁস কিংবা স্বজনপ্রীতির তেমন কোনো অভিযোগ নেই।এসব দেখে তরুণরা ভাবে, আমি যদি ভালো করে প্রস্তুতি নিয়ে থাকি, তাহলে আমার মেধার ও যোগ্যতার মাধ্যমে ভালো একটি চাকরি পাওয়ার সুযোগ থাকবে। আরো একটা ফ্যাক্টর যদি আমি এখানে বলি- ২০১০ সালে বিসিএস নন ক্যাডার বিধিমালা সংশোধন করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে- পিএসসির কাছে যদি মন্ত্রণালয়গুলো লোকবল নিয়োগ চায় তাহলে পিএসসি ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বিসিএস নন ক্যাডার থেকে নিয়োগ দিতে পারবে।


গাজী মিজানুর রহমান বলেন, এরপর ২০১৪ সালে নন ক্যাডার নীতিমালা আবারো সংশোধন করা হলো। মন্ত্রণালয়ের চাহিদাপত্র সাপেক্ষে পিএসসি নন ক্যাডার থেকে ১০০ শতাংশও নিয়োগ দিতে পারবে বলে এতে বলা হয়। তার মানে যারা এখন বিসিএস দিচ্ছে তাদের মাথার ভেতর কয়েকটা ফ্যাক্টর কাজ করে। প্রথমত, স্যালারি ভালো হয়েছে। এর পরের ব্যাপারটা হলো, প্রার্থীদের বিসিএস ক্যাডার হতে পারলে ভালো। আর যদি ক্যাডার হতে নাও পারে, তাহলে সে নন ক্যাডার থেকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন জায়গায় ভালো জব করার সুযোগ পাচ্ছে। এক্ষেত্রে কোনো ঘুষ কিংবা স্বজনপ্রীতিও থাকছে না।


এই বিষয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ বিবার্তাকে বলেন, একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নিজ বিভাগ থেকে অর্জিত শিক্ষা কাজে লাগানোর কোনই চেষ্টাই করা হচ্ছে না। সবাই শুধু বিসিএসের পেছনে ছুটছে। আর যেখানে সুযোগ-সুবিধা ও ক্ষমতা বেশি, মানুষ সেখানেই যাওয়ার চেষ্টা করবে, এটাই স্বাভাবিক। তবে আমি যেটা মনে করি যে যেই বিষয়ে দক্ষ সে সেখানে না গিয়ে যদি ভিন্ন জায়গায় যায়, তাহলে সে সেখানে নিজের অর্জিত দক্ষতাকে কাজে লাগাতে পারবে না। এটা নিঃসন্দেহে খুবই দুঃখজনক বিষয়।


তিনি বলেন, দেশের স্বার্থে শিক্ষায় বিনিয়োগ করা হচ্ছে। কিন্তু আমরা কি দেখতে পাই, শিক্ষার্থীদের অর্জিত জ্ঞান যেন কোন কাজেই আসছে না। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা, ইংরেজি নিয়ে পড়লো। এক্ষেত্রে তাদের এসব বিষয়ে ৪ বছর পড়াশোনা করানো হয় উচ্চতর জ্ঞান অর্জনের জন্য। কিন্তু তার প্রয়োগ অধিকাংশ ক্ষেত্রে নেই। আজকে আমরা কেউ এই ক্যাডার, কেউ সেই ক্যাডার হচ্ছি অথচ যেই বিষয়ে ক্যাডার হয়েছি সেই বিষয়ে আমাদের আগে থেকে কোন জ্ঞানই নেই। পরে আমাদের এই বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে কাজ করানো হয়। কিন্তু আমাদের পঠিত বিষয়ের জ্ঞানের প্রয়োগ কোথায়?


ড. কায়কোবাদ বলেন, আরেকটা বিষয় দেখেন একজন প্রকৌশলীও অনেক কষ্ট করে মেধার পরিচয় দিয়ে বুয়েটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়। আর এই ভর্তি পরীক্ষায় লাখো মেধাবীরাও ঝড়ে পড়ে। অথচ এর পরেও ঐ শিক্ষার্থী একটা সময় সামাজিক নানা প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন যেন বেমালুম ভুলে যায়। তার চিন্তা থাকে ক্যাডার সার্ভিসে এসে এই ক্যাডার হলে কিংবা ঐ ক্যাডার হলে তার জীবনমান বাড়বে, মানুষ তাকে সমীহ করবে। আর এসব চিন্তাভাবনার কারণে একজন প্রকৌশলী কিংবা ডাক্তারও বিসিএস ক্যাডার হতে চায়।


বিসিএসেও শিক্ষা ক্যাডারের চেয়ে অন্যান্য ক্যাডারের জনপ্রিয়তা উল্লেখ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান বিবার্তাকে বলেন, দেখুন- যারা বিসিএস দেয় তাদের অনেকের কাছে শিক্ষা ক্যাডার কম আকর্ষণের বিষয় হতে পারে। একেবারে না পারলে শিক্ষা, এ রকম একটা জায়গায় যাচ্ছে শিক্ষা। এর পেছনে দুটো কারণ আছে। বিসিএসের অন্যান্য ক্যাডারের প্রতি আকর্ষণ, হয়তো এ জায়গাগুলো অনেক লোভনীয়। এক্ষেত্রে ক্ষমতার চর্চাও একটা কারণ হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে অনেকে সততার সাথেও কাজ করছে। তাছাড়া এর পেছনে আরো নানা কারণ থাকতে পারে। অনেক সময় অনেক ক্যাডারে কাজের পরিধি বেশি, নেতৃত্ব ও কর্তৃত্বের পরিধি বেশি। এছাড়া হয়তো সুযোগ সুবিধাও এখানে বেশি। শুধু তাই নয়, এসব ক্যাডারে চাকরি অবস্থায় দেশে-বিদেশে নানা ধরণের প্রশিক্ষণেরও সুযোগ আছে। এজন্য শিক্ষার্থীরা হয়তো শিক্ষা ক্যাডার বাদ দিয়ে অন্যগুলো পছন্দ করছে।


বিবার্তা/ রাসেল/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com