
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে শেষ পর্যন্ত সারের দাম বাড়াতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক। বিশ্ববাজারে দাম কমলে দেশের বাজারেও সারের দাম কমানো হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
১১ এপ্রিল, মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দফতরের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, আমি চাইনা কোনোভাবেই সারের দাম বাড়ুক। কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে এমন অবস্থানে ছিল যে, দাম বাড়াতেই হবে। প্রধানমন্ত্রীও বলেছিলেন সারের দাম না বাড়াতে, কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে শেষ পর্যন্ত বাড়াতেই হলো।
এসময় তিনি আরও বলেন, সারের দাম বাড়ানোর কারণে কৃষকের ওপর চাপ পড়বে, তবে উৎপাদন কমবে না। আমরা চাইব বীজ দিয়ে বা অন্যভাবে কৃষকের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে। সারের দাম বাড়ানো হলেও সরকারকে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দিতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা এবং দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সারের দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছে সরকার।
কৃষিমন্ত্রীর দাবি, দাম যা বেড়েছে এটা বৈশ্বিক সারের মূল্যবৃদ্ধির তুলনায় অনেক কম। এখনও সরকার সারে বিপুল অঙ্কের টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে। বৈশ্বিক দাম কমে এলে, সারের দাম সমন্বয় করা হবে বলে জানান তিনি।
ডিলার ও কৃষক পর্যায়ে ইউরিয়া, টিএসপিসহ বিভিন্ন ধরনের সারের দাম কেজিতে ৫ টাকা বাড়িয়েছে সরকার। আন্তর্জাতিক বাজারে সারের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় দেশের বাজারেও এ মূল্য বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সোমবার কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হোসেন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। আদেশ জারির তারিখ থেকে সারের মূল্যবৃদ্ধি কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে এ প্রজ্ঞাপনে।
এতে বলা হয়, চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক বাজারে সারের মূল্য বাড়ার কারণে আমদানি যৌক্তিক পর্যায়ে রাখা এবং এর সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সারের মূল্য পুনঃনির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
যদিও গত ৩ এপ্রিল সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে ‘সার বিষয়ক জাতীয় সমন্বয় ও পরামর্শক কমিটির সভা’ শেষে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছিলেন, অতীতের মতো আগামী বছরগুলোতে দেশে সারের দাম বাড়বে না।
বিবার্তা/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]