পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের নেতৃবৃন্দ এক বিবৃতিতে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর নেতৃত্বে সুখী-সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে অর্জিত মহান স্বাধীনতার মর্মবাণী ধারণ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যখন স্মার্ট বাংলাদেশের ধারনাকে ভিত্তি করে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার মহান ব্রত নিয়ে বাংলাদেশকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে একটি মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠায় আত্মনিয়োগ করেছেন, ঠিক সেই সময় সংবাদপত্রের স্বাধীনতার নামে একটি প্রতিষ্ঠিত জাতীয় দৈনিক সাংবাদিকতার সকল রীতি-নীতি ভঙ্গ করে ১০ বছরের অবুঝ শিশুর ছবির নীচে ক্যাপশনের পরিবর্তে ৩০ লক্ষ শহিদের আর দু’লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত মহান স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করে মাছ মাংস আর চালের স্বাধীনতা শীর্ষক সংবাদে একজন দিনমজুরের বক্তব্য প্রকাশ করেছে।

উদ্দেশ্যমূলকভাবে এই ধরনের বিভ্রান্তিকর ছবি ও সংবাদ প্রকাশ পাঠকের সাথে প্রতারণার শামিল। আলোচিত সংবাদটি প্রকাশের ক্ষেত্রে সাংবাদিকতা এবং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের সকল রীতি-নীতি উপেক্ষা করে পাঠকের সাথে অমার্জনীয় অপরাধ করা হয়েছে। উপরন্তু এ ধরনের অপরাধমূলক সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করায় প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করে নির্দিষ্ট কিছু আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমসহ কোনো কোনো মহল প্রচার করছে যে, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সংবাদ প্রকাশ করায় সরকার কর্তৃক গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে নিপীড়নমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সুতরাং এ ধরনের প্রতারণামূলক, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রনোদিত সংবাদ প্রকাশ সাংবাদিকতার মতো সুমহান পেশার নামে অপসাংবাদিকতা এবং গর্হিত অপরাধ।

পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ পত্রিকাটির সাংবাদিকতার সংবাদ রীতি-নীতি পরিপন্থি এ ধরণের মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক সংবাদ প্রকাশের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানিয়েছে। উপরন্তু পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের পেশাজীবীসহ সকলকে রাষ্ট্র ও সংবিধান বিরোধী সকল অপতৎপরতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি বিচারপতি এ এফ এম মেসবাহ উদ্দিন, মহাসচিব ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান খান, প্রেসিডিয়াম সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মমতাজ উদ্দিন আহমদ, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিন, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন, আইইবির সভাপতি প্রকৌশলী মো. নুরুল হুদা, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রহমান ভূঁইয়া, হাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম কামরুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. জামালউদ্দীন চৌধুরী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সাংবাদিক ওমর ফরুক, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক প্রকৌশলী ড. মো. হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নূর মোহাম্মদ তালুকদার, ঢাবি শিক্ষক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংবাদিক সোহলে চৌধুরী, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুন নূর দুলাল, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আসাদুল হক, শিক্ষক নেত্রী অধ্যাপক মাহফুজা বেগম, বিএমএ’র মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী, স্বাচিপ এর মহাসচিব ডা. কামরুল আহসান মিলন, কেআইবির মহাসচিব কৃষিবিদ খায়রুল আলম প্রিন্স, আইইবির সম্মানী সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী শাহাদৎ হোসেন শিবলু, বিএফইউজের সাংবাদিক মাহসচিব দীপ আজাদ, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের মহাসচিব প্রকৌশলী নুরুজ্জামান, ঢাকা সংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আকতার হোসেন, প্রকৌশলী মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক হান্নানা বেগম, বাকবিশিস এর সমহাসিচব অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর, অধ্যাপক মিজানুর রহমান মজুমদার, সাংবাদিক জয়ন্ত আচার্য।

বিবার্তা/এমএ