
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান অনুপ্রবেশকারী হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। ’খুনি মোশতাক জিয়ার অবৈধ সরকারের কুখ্যাত ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স : পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন এক কালো আইন’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। এতে প্রধান আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ।
মন্ত্রী মোজাম্মেল হক আরো বলেন, জিয়াউর রহমান আত্মস্বীকৃত খুনিদের নিরাপদে বিদেশে যেতে সহযোগিতা করেছেন। উচ্চপদে পদায়ন করেছেন দূতাবাসে। এমনকি যে যেই পদের যোগ্য না, তাকেও এক পদ উপরে বসিয়েছেন। তাহলে তাদের সম্পৃক্ততা আছে কি না বুঝা যায়। জিয়াউর রহমান মন্ত্রিসভায় কোনো মুক্তিযুদ্ধের লোককে স্থান দেননি। দেশের কুখ্যাত লোকদের নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন। তাহলে কি বুঝা যায়? তিনি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছেন সেক্টর কমান্ডার হয়েও। এখানে আসল রহস্য হলো- তিনি পাকিস্তানের একজন গোয়েন্দা ছিলেন। অনুপ্রবেশকারী হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন।
তিনি বলেন, বাহাত্তরের সংবিধানকে ডাস্টবিনে ফেলে দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। ধর্মনিরপেক্ষতা ও বাঙালি জাতীয়তাবাদকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। জয়বাংলা গ্লোগান বাদ দিয়ে পাকিস্তানি কায়দায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদ স্লোগান দেওয়া হলো। ধর্মভিত্তিক রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয়া হলো।
সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজুল হক সরকার, মঞ্চের উপদেষ্টা রুহুল আমিন মজুমদার ও জহির উদ্দীন জালাল।
বিবার্তা/এসএ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
পদ্মা লাইফ টাওয়ার (লেভেল -১১)
১১৫, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ,
বাংলামোটর, ঢাকা- ১০০০
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]