পাঁচ সিটি নির্বাচনে থাকছে সিসি ক্যামেরা ও ইভিএম: ইসি
প্রকাশ : ২২ মার্চ ২০২৩, ২০:৫১
পাঁচ সিটি নির্বাচনে থাকছে সিসি ক্যামেরা ও ইভিএম: ইসি
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

চলতি বছর অনুষ্ঠেয় পাঁচ সিটি নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)ও সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করলেও, জাতীয় নির্বাচনে অনিশ্চিত।


বুধবার (২২ মার্চ) নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা এমন মন্তব্য করেন।


নির্বাচনে সিসি ক্যামেরার ব্যবহার বিষয়ে তিনি বলেন, চলতি বছর অনুষ্ঠেয় পাঁচ সিটি নির্বাচনে আমরা সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করবো।


"ভোটগ্রহণ করা হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। জাতীয় নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত এখনো রয়েছে। তবে সামনে কী হবে তা এখনই বলতে পারবো না। তবে আমাদের ইচ্ছা আছে," তিনি বলেন।


চলতি বছরের জুনের মধ্যে দুই সিটি ভোট শেষ করার পাশাপশি বাকি তিন সিটি করপোরেশনের ভোট ও সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশনের। তবে ময়মনসিংহের ভোটের ক্ষণ গণনা ডিসেম্বরে শুরু হওয়ায় এই সিটি ভোট নিয়ে বর্তমানে পরিকল্পনা নেই সাংবিধানিক এ সংস্থাটির।


চলতি বছরের শেষ সপ্তাহে বা জানুয়ারির শুরুতে দ্বাদশ নির্বাচনের ভোটের প্রস্তুতি নিতে হবে যার ফলে ক্ষণ গণনার শুরু হওয়ার প্রথম দিকে ভোট করতে চায় সাংবিধানিক এ সংস্থাটি, সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর এসব কথা বলেন।


জুনের আগে আগে দুই একটা সিটি ভোট হবে জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন,'বাকিগুলো জুনের পরে। সেপ্টেম্বরের মধ্যে সিটি ভোট শেষ করবো।'


সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আইন অনুযায়ী, যেকোনো সিটির মেয়াদ ধরা হয় প্রথম সভা থেকে পরবর্তী ৫ বছর। যেকোনো সিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে ভোটগ্রহণ করতে হয়।


সেক্ষেত্রে গাজীপুর সিটির পরবর্তী ভোটের ক্ষণ গণনা শুরু হবে চলতি মাসের ১১ মার্চ। ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভোট করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অন্যদিকে খুলনা ও রাজশাহী সিটির ক্ষণ গণনা শুরু হবে ১৩ এপ্রিল ১০ অক্টোবরের মধ্যে ভোট করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। বরিশাল সিটি ভোটের ক্ষণগননা শুরু হবে ১৪ মে থেকে ১৩ নভেম্বর।সিলেট সিটি ৬ মে থেকে পরবর্তী নির্বাচনের ক্ষণগননা শুরু হবে। ৬ নভেম্বরের মধ্যে ভোট করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ময়মনসিং সিটি ভোটের ক্ষণগননা শুরু হবে ২০ ডিসেম্বর। ১৯ জুন ২০২৪ সালের মধ্যে ভোট করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।


নির্বাচনগুলো মেয়াদ শেষ হওয়ার ৬ মাসের মধ্যে করতে হয়। ইচ্ছা করলে ৬ মাসের শেষ করা যায়। মাঝামাঝি করা যায় আগেও করা যায়।


দাতা সংস্থাগুলোর কোনো সহায়তা জাতীয় নির্বাচনে নেবেন কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার আরো বলেন, সে রকম যদি হয়, আমাদের তো নিতে অসুবিধা নেই। তবে কে কী দেবে বা কিভাবে হবে সেটা আগে দেখতে হবে।



বিবার্তা/সানজিদা/এনএস

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com