নদীর দুই পাশ দখলমুক্ত করতে কার্যক্রম চলছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
প্রকাশ : ১০ মার্চ ২০২৩, ১৭:২৬
নদীর দুই পাশ দখলমুক্ত করতে কার্যক্রম চলছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নদীর প্রবাহ নিশ্চিত করতে বলেছেন জানিয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমরা নদীর প্রবাহ নিশ্চিত করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। শুধু তাই নয়, নদী যাতে দূষণমুক্ত থাকে সেই বিষয়েও আমরা কাজ করছি। নদীর দুই পাশ দখলদারমুক্ত করতে আমাদের কার্যক্রম চলমান আছে।


১০ মার্চ, শুক্রবার দুপুরে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের রুজভেল্ট জেটি এবং বিআইডব্লিউটিএ’র জেটি পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান আরিফ আহমেদ মোস্তফাসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভৈরব অত্যন্ত ব্যস্ততম একটি নদী। ব্যবসার অন্যতম একটি পথ, যা খুলনা থেকে নওয়াপাড়া পর্যন্ত চলে গেছে। নদীর চ্যানেলগুলো ধরে রাখার জন্য ড্রেজার বেজ করছি, যা উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে। একইসঙ্গে নদীর দুই পাশের দখলদারদের বিষয়ে স্ট্যাডি চলছে। যেখানেই আমরা নদীর অবৈধ দখলদার পাব, সেখানেই তাদেরকে উচ্ছেদ করবো। নদীকে কেউ দখল করতে পারবে না। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মানুষের রক্ত প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেলে যেমন মানুষের প্রাণ থাকে না, তেমনি নদীর প্রবাহ বন্ধ হলে বাংলাদেশেরও প্রাণ থাকবে না। কাজেই যারা নদীর প্রাণ কেড়ে নিতে চাচ্ছে, তারা বাংলাদেশের শত্রু । আমরা এই শত্রুদের চিহ্নিত করে নদীকে প্রবহমান করবো।


তিনি আরও বলেন, এই খুলনা একটি মৃত শহরে পরিণত হয়েছিল। সব বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে শিপইয়ার্ড চালু করার পদক্ষেপ নেন। এখন শুধু বাংলাদেশ নয়, আন্তর্জাতিকভাবেও খুলনা শিপইয়ার্ডের নাম হয়ে গেছে। এছাড়া খুলনাকে আবার নতুন করে জাগরণ তৈরি করার জন্য আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ নিয়েছি।


খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, মোংলা বন্দর থেকে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে রিজিওনাল কানেকটিভিটি তৈরি হয়েছে। খুলনায় আবার নতুনভাবে জাগরণ তৈরি হবে। সেই জাগরণের নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজকে খুলনার যে পরিবর্তন দেখছেন, এই পরিবর্তনটা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে। আর ১০ বছর পরে যে খুলনা দেখবেন, সেটি হবে একটি অসাধারণ নগরী।


তিনি আরও বলেন, খুলনার পাশেই আমাদের সুন্দরবন। এই সুন্দরবনের দর্শনার্থীদের জন্য আমরা কোনো ধরনের অবকাঠামো তৈরি করতে পারিনি। আমরা এখানে অনেক ল্যান্ডিং স্টেশন তৈরি করছি, প্রকল্প হাতে নিয়েছি। বিদেশ থেকে গঙ্গা বিলাস এসেছে, বারবার আসবে। বিদেশিরা আসবেন, খানজাহান আলী এয়ারপোর্ট হবে।গঙ্গা


শ্রমিকদের বেতন পুনর্বিবেচনার দাবিতে আগামী ১৮ মার্চ মালিকদের নৌযান বন্ধের হুশিয়ারির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মালিকদেরকে তাদের শ্রমিকদের স্বার্থ আগে দেখতে হবে। শ্রমিকরা না খেয়ে মরে যাবে, তাদের ছেলেমেয়েরা স্কুলে যেতে পারবে না, চিকিৎসা পাবে না, এই অমানবিকতা আমরা দেখতে চাই না। এখানে শ্রেণিবিন্যাস থাকাটা উচিত না, সমতা দরকার। সকলে সমান সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বাংলাদেশে থাকবে, আমরা এটাই চাই।


বিবার্তা/রিয়াদ/জবা

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com