
একুশে পদক প্রাপ্ত ‘বইওয়ালা’ পলান সরকারকে তার স্ত্রীর কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে। এর আগে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার হারুনুর রশিদ শাহ দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের পূর্বপাড়া গ্রামের নিজ বাড়িতে মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৮ বছর। পলান সরকার বার্ধক্যজনিত রোগে শয্যাশায়ী ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি ছয় ছেলে ও তিন মেয়ে রেখে গেছেন।
১৯২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর নাটোরের বাগাতিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন পলান সরকার। তার আসল নাম হারেজ উদ্দিন। এলাকাবাসীর কাছে পলান সরকার পরিচিত ‘বইওয়ালা দুলাভাই’ হিসেবেও। জন্মের মাত্র পাঁচ মাসের মাথায় তার বাবা মারা যান। আর্থিক সংকটে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ার সময়ই লেখাপড়ায় ইতি টানতে হয় তাকে। আর এ জন্য পলান সরকার গ্রামে গ্রামে ঘুরে ছোট-বড় সবার দোরগোড়ায় বই পৌঁছে দিতেন। সামাজিকভাবে অবদান রাখার জন্য ২০১১ সালে তিনি পেয়েছেন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সম্মান ‘একুশে পদক’।
পলান সরকার রাজশাহী জেলার ২০টি গ্রামে গড়ে তুলেছিলেন অভিনব শিক্ষা আন্দোলন। আগ্রহের কারণে ২০০৭ সালে সরকারিভাবে তার বাড়ির আঙিনায় একটি পাঠাগার করে দেয়া হয়।
২০১৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ‘ইমপ্যাক্ট জার্নালিজম ডে’ উপলক্ষে সারাবিশ্বের বিভিন্ন ভাষার দৈনিকে তার ওপর প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর আগে তাকে নিয়ে আসা হয় জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’তে। এছাড়া পলান সরকারকে নিয়ে ‘সায়াহ্নে সূর্যোদয়’ নামে একটি নাটকও তৈরি হয়েছে।
বিবার্তা/মনন/আকবর
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]