শিরোনাম
মধুমতীর বেদেনী
প্রকাশ : ০১ মার্চ ২০১৯, ১৮:১৫
মধুমতীর বেদেনী
রেহানা বীথি
প্রিন্ট অ-অ+

আকাশে সুরমারঙের ঢেউ। কিন্তু আজ যে ললিতার হারিয়ে যাওয়ার দিন, গণেশের হাত ধরে! গনগনে সূর্যটা আচমকাই ঢাকা পড়ে গেলো। মুচড়ে মুচড়ে উঠছে সেই রঙ ললিতার চোখের সামনেই। সেই সুরমারঙের ঢেউ লাগলো নদীর জলেও। নৌকাটা দুলে উঠলো একটু। তারপর আরও একটু। ধীরে ধীরে বাড়ে সেই দুলুনি। ঠিক যেন ললিতার মন, গণেশের সুঠাম কালো দেহের ছায়ায় দুলতে থাকে যা। সেই মন নিয়ে কোথায় যেন হারিয়ে যায় ললিতা। মেঘের এই ঘনঘটা ঘোর লাগায় ওর চোখে। মধুমতীর ওপারে ঢালবেয়ে ওঠে যে ঘাসে ছাওয়া মেঠোপথ, তার ওপারে যে চালতা আর সুপুরির বন, ওখানে ঘুরে বেড়ায়। ওখানে গণেশের ছোট্ট কুঁড়ে। কুঁড়ের পাশে উঁচু কদবেল গাছ, সুগন্ধি লেবুর ঝাড়, বেতের ঝোপ, আসমানের দিকে ধেয়ে চলেছে সুপুরির গাছ থোকা থোকা সুপুরি নিয়ে। কয়েকটা চালতা ফুল পড়েছিলো পথে । তুলে ললিতার খোঁপায় গুজে দিতে দিতে গণেশ তার কালো ঠোঁটজোড়া ছুঁয়ে দিয়েছিলো ললিতার গোলাপি ডাগর ঠোঁটজোড়ায়। সেই ছোঁয়ায় শিউরে ওঠা ললিতাকে চওড়া বুকের ছাতিতে মিশিয়ে নিতে নিতে ওর ঠোঁটের সমস্ত মধু শুষে নিয়েছিলো। সেই প্রথম। তারপর নৌকায় চুপিচুপি গণেশ এসেছে কতবার! গাঙের তুফান তুলেছে ললিতার দেহে। সমর্পিতা ললিতা ভুলে গেছে
সোয়ামী, নৌকার ভেতর হাঁড়িপাতিল আর সাপের ঝাঁপির সংসার...সব।
ছলকে ওঠা নদীর জল আছড়ে পড়ে নৌকার গায়ে। ছইয়ের বাইরে থাকা ললিতার আধখানা দেহে জলের ছিটে লাগে। আসমানের সুরমারঙ থেকে চোখ ফেরায় সে। পাশাপাশি নৌকাগুলো টলমল। যখনই আন্ধার হয় আকাশ, দুরুদুরু কাঁপে বেদের বহরের মন। ঝড় এলেই উড়ে যাবে তারা, উড়ে যাবে নাওয়ের মাঝে বুনে রাখা স্বপ্নের সংসার। ঝড়ের ঝাপটায় উল্টে যাবে কপাল ওদের। তবু যখন থামবে ঝড়, লণ্ডভণ্ড নৌকাগুলো আবার বাঁধবে নতুন করে। আবার সংসার সাজাবে। দিনের কোনো এক সময় বেদেনী আঁচলের সাথে পিঠে বেঁধে নেবে দুধের শিশু, মাথায় কালকেউটের ঝাঁপি। কাঁধে শেকড় বাকড়ের ঝোলা আর হাতে বীণ নিয়ে বেদেনীর সঙ্গী হবে তার বেদে। একসাথে সুর ধরবে
তারা...
খেলা দ্যাখবেন গো... সাপের খেলা!
দাঁতের পোকা তুলেন! মাথার বিষ, কোমরের বিষ নামান, ছু মন্তরে!


এমনই এক দিনে ললিতার সাথে দেখা হয়েছিলো গণেশের। মধুমতীর বেদের বহর থেকে ঝাঁপি মাথায় বেরিয়ে কোমরে ঢেউ তুলে চলেছিলো সে। ঠিক বেদের বহরের মাথার ওপর যে ব্রিজ, আধহাত ফাঁক ফাঁক কাঠের পাটা দেয়া সেই ব্রিজের শেষ মাথায় রেললাইনের দু'ধারে দোকানপাট নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে ছোট্ট স্টেশন। সেই স্টেশনেই হাওয়াই মিঠাই এর বাক্স নিয়ে বসেছিলো গণেশ। ললিতা আলতারাঙানো পায়ে মলের ঝুমঝুমি বাজিয়ে দাঁড়িয়েছিলো ওর একেবারে পাশটিতে। পায়ের আলতায় যেন চোখ আটকে গেছিলো গণেশের। নাকি আলতার রঙ সরিয়ে উঁকি দিচ্ছিলো যে মাংসল পায়ের পাতা, সেখানে? সে যাই হোক, ওর চোখে যেন লেগেছিলো দুনিয়ার ঘোর। সেই ঘোরেই কিনা কে জানে, হা হয়ে যাওয়া মুখ তুলে তাকিয়েছিলো ললিতার দিকে। তাকিয়েছে তো তাকিয়েছেই। এদিকে যে ললিতা বলে চলেছে, একটা হাওয়াই মিঠাই কত নিবা? যেন শুনতেই পাচ্ছে না সে! ললিতা তার হাত ধরে ঝাঁকিটা না দিলে আর কোনোদিন শুনতে পেতো কিনা কে জানে?
ঝাঁকি খেয়ে হুশ ফেরে গণেশের।
লম্বা কাঠির আগায় হাওয়াই মিঠাইয়ের প্যাঁচ দিতে দিতে ললিতাকে শুধায়....


-- নাম কী?
-- নাম দিয়া কি করবা?
-- দরকার আছে।
-- কও তো শুনি, কী দরকার?
-- পরে কমুনে। আরেকদিন। আসবা এইখানে?


খিলখিল হাসিতে ভেঙ্গে পড়েছিলো ললিতা। হাসির দমকে দুলছিলো তার সারাঅঙ্গ। দু'চোখের পিপাসায় গণেশ তাকিয়েছিলো অপলক। সেই পিপাসায় এতটুকুও পাত্তা না দিয়ে গ্রীবা উঁচিয়ে রেললাইন পেরিয়ে কোথায় যেন মিলিয়ে গেলো ললিতা।
গণেশ রোজ আসে স্টেশনে , ক্ষণে ক্ষণে চমকে তাকায়। আসে না, আসে না, সেই আলতারাঙা পা! ওই মুখ, ওই পা ঝড় তুলেছিলো বুকে তার। সেই ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়ে খুঁজে নিয়েছিলো তার ললিতাকে বেদের বহরে। এই মধুমতীতে মিলেছিলো যেন ভাবের সাগর। ললিতাও দিয়েছিলো ডুব সেই ভাব সাগরে।


এই যাযাবর জীবন, এই নদীর জলে ভেসে বেড়ানো, কোনো মোহ নেই এতে ললিতার। ওই চালতা আর সুপুরি ঘেরা কুঁড়েই বড় টানে ওকে। সুগন্ধি লেবুর ঘ্রাণ নাক উঁচিয়ে শুঁকে বুকের খাঁচায় আটকে নিতে ইচ্ছে করে।


ইচ্ছে করে শুকনো ডালপালায় মাটির উনুন জ্বালায় কুঁড়ের দাওয়ায়। ভাপ ওঠা গরম ভাত খায় দাওয়ায় বসে। হাওয়াই মিঠাইয়ের বাক্স নিয়ে গণেশ যখন খুঁজে নিয়েছিলো ওকে, ললিতা তখন নদীর জলে পা ডুবিয়ে বসেছিলো উদাস হয়ে। আকাশের পশ্চিম দিকটায় সূর্য তখন টকটকে লাল একটা থালা যেন। নাওয়ের ভেতর তার সোয়ামিটা। গাঁজার কল্কেতে দম দিয়ে যে পড়ে থাকে রজনীর না'য়ে। মাঝে মাঝে ললিতার না'য়ে আসে বটে। সাপের খেলা দেখানোয় তার রুচি নেই মোটেও। যত রুচি ওই গাঁজায় আর ওই রজনীতে। কী যে যাদু করেছে ওই ব্যাটাছেলেদের মতো গড়নের মেয়েমানুষটা কে জানে! এই যে ললিতার সোয়ামি কিন্তু ললিতার না'য়ে না থেকে পুরুষ পুরুষ মাগিটার না'য়ে পড়ে থাকে রাতদিন, শরীরের খিদে মেটায়, বহরের অন্য বেদেরা কেউ তো কিছু বলবে? বলে না। ওটাই স্বাভাবিক। কার সোয়ামি কার না'য়ে গেলো এলো তা নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় নেই কারো। পেটের ভিতর দাউ দাউ উনুন জ্বলে সবসময়। সেই আগুন নেভানোর কাজে ব্যস্ত সবাই। পেটের আগুনে কোনোরকমে একটু ছাইচাপা পড়লেই জেগে ওঠে শরীরের খিদে। ঝাঁপির সাপগুলোর মতো কিলবিল করতে থাকে শরীরজুড়ে। ছইয়ের ভেতর কামঝড়, পাশে সন্তানের ফ্যালফ্যালে চাহনি। সেই চাহনির প্রশ্নকে অবজ্ঞায় উড়িয়ে দিয়ে শেষ হয় কামলীলা। দশমাস দশদিন পর বাড়ে আরও একটি আগুনজ্বলা পেট। এমনই এক নাওয়ে জন্ম নিয়েছিলো ললিতা। জন্মেই মাকে খেলো। বাপটাও আরেক বেদেনীকে এনে তুললো নৌকায়। তবে বাপটা তাকে অযত্ন করেনি। পিঠে বেঁধে নিয়ে চলে যেতো খেলা দেখাতে। আর সৎ মা তো সৎ মা-ই। আপন করেনি ললিতাকে কোনোদিনই। মেয়ের ওপর বাপের সোহাগ দেখে জ্বলে পুড়ে যেতো হিংসেয়। তার ওপর উপরওয়ালার অনেক যত্নে গড়া ললিতার রূপটাও ছিলো তার গায়ে জ্বালা ধরানোর আরেক কারণ। এই রূপ নিয়ে যেই না একটু গায়ে গতরে বেড়ে উঠলো মেয়েটা, ওমনি বাপটাকে পটিয়ে বিয়ে দিয়ে দিলো গাঁজাখোর এই লোকটার সাথে। গাঁজা তো গাঁজা, সে নাহয় সওয়া যায়, কিন্তু ওই পুরুষ পুরুষ মাগিটা? তাকে সওয়া যায়? তাও সইতে হয়। আশ্রয়... একজন পুরুষের আশ্রয়। বাপটাও মরলো সেই ললিতার বিয়ের পরপরই। সে থাকলেও সুখ দুঃখের ভাগ নিতো তাও কিছুটা, থাকতো তবু একটা আশ্রয়। আসলে মেয়েমানুষ হয়ে জন্মানোটাই পাপ। পাপ এই নদীর জলে, এই বেদের বহরে জন্ম নেয়াও।
জলে পা ডুবাইয়ো না সুন্দরী, আগুন লাগবো সেইখানে!
কে! কার কথা শোনা যায়?
ঘুরে তাকায় ললিতা। সেই হাওয়াই মিঠাইয়ের কারিগর! সে এইখানে কি করে? আবার কি হুশ হারাইতে চায়?
বলে গণেশ, নামটা তো কওনি সেদিন। তয় লুকাই থাকবার পারো নাই। ঠিকই খুইজ্যা নিলাম তোমারে।


তারপর...
গণেশের আসা যাওয়া প্রতিদিন। সন্ধ্যে হলেই যখন ঘুমিয়ে যায় মধুমতীর বেদের বহর, তখন।
দু'জনে কত কথা বলেছিলো তারা! গণেশের বাড়ি দেখার সাধটা চেপে রাখেনি ললিতা। ডাঙায় বাস যার, তার বাড়িখানা দেখবে না দু'চোখে? বলেছিলো গণেশ, ও. ই..ই মধুমতীর ওপারে । শুনিয়েছিলো গল্প চালতা আর সুপুরি বনের , সুগন্ধি লেবুর । আরও শুনিয়েছিলো প্রজাপতিদের ওড়াওড়ি। সবুজ টিয়াপাখি বাসা বাঁধে গণেশের কুঁড়ের পাশে উঁচু কদবেল গাছটায়।


আহা...। ললিতার মন যেন হারিয়ে গিয়েছিলো। একদিন সাপের ঝাঁপিটা মাথায় নিয়ে চলে গেলো ওপারে। কিসের নেশায় জানতো না ও। হয়তো মনের ভেতর পুষে রাখা ডাঙার প্রতি প্রেম, হয়তো হতে পারে গণেশের প্রতি প্রেম, কিংবা হয়তো শুধুই কৌতূহল। অথবা সবকিছু একসাথে মিলে হৃদয়ের গোপন কুঠুরিতে তৈরী হওয়া একটি স্বপ্ন...যে স্বপ্নে গণেশের ছোট্ট কুঁড়েতে ললিতার বাস! জানতো না ললিতা, সত্যিই জানতো না তখনও। শুধু বুঝতে পেরেছিলো মনের কোনো এক জায়গায় গণেশের তরে একটা চিনচিনে ব্যথা। এ ব্যথা একেবারে নতুন ছিলো ওর কাছে। আর এই ব্যথার সাথে সাথে জেগে উঠেছিলো এতদিন ধরে ঘুমিয়ে থাকা যৌবন। যে যৌবন গণেশকে চায়। চায় গণেশের কালো পেটানো শক্ত বাহুর আলিঙ্গন। চায় গণেশও, ললিতার কোমল বুকের সুধা, জানে তো ললিতা। ওই চোখের খিদে সে তো আর এমনি এমনি নয়। কুঁড়েতে থাকবে একসাথে, আজীবন...! এমন কথাই তো বলে গণেশ সবসময়।
সুরমারঙ পাক খায় আকাশে। পাকে পাকে যেন লুকিয়ে আছে কোনো রহস্য। সেই রহস্যের ভেদ করতেই যেন সূর্যটা ঝলকে উঠছে এক একবার। আবার ঢেকে যাচ্ছে তুমুল মেঘে। আকাশের দিকে তাকিয়ে মনটা বড় অস্থির ললিতার।


আইজকাই ক্যান এমন হইতে হইবো? ওই আসমানে থাকে যে বিধাতা, সে কী তয় চায় না? চায় না ললিতা গণেশের কাছে যাউক, চিরতরে? বড়ই অন্যায়, বহুতই না ইনসাফি! খুব রাগ হয় ললিতার। রেগে ভ্রু কুঁচকে তাকায় ওই আসমান পানে। ইচ্ছে করে, হঠাৎ হঠাৎ ঝলকে ওঠা ওই সূর্যটাকে একটানে বের করে আনে ঘন সুরমারঙ মেঘের ভেতর থেকে। মশকারি? ললিতার জীবন নিয়া মশকারি? গাঁজাখোরের হাত থাইকা রেহাই পাওয়ার একটা উপায় যখন তার সামনে, তখনই এমন সুরমারঙের ঢেউ? দেইখা আসছে তো ললিতা, তিনকুলে কেউ নাই ওই গণেশের। কী সুন্দর গাছ গাছালি ঘেরা একখান কুইড়্যা ঘর! এক টুকরা উঠান! যেমনডা চায় ললিতা। চায় যেমন ভালোবাসা আর সোহাগ, তেমনডাই তো গণেশ দেয় তারে। তার গালে একটু ছুঁইলেই তো শিরশিরানি কেমুন জানি! কিন্তু যদি আরও আন্ধার হয়, যদি হয় ঝড়ে তোলপাড়, ক্যামনে যাবে সে? ক্যামনে হবে পার ফুইল্যা ওঠা মধুমতী? খুব রাগ হয়, খুব খুব খুব রাগ ওঠে ললিতার। ইচ্ছা করে মাটির উনুনটা এক ধাক্কায় ফেলে দেয় নদীতে। ভেঙ্গে চুরমার করে হাড়ি পাতিল সব। সাপের ঝাঁপিগুলোও নদীর জলে ভাসিয়ে দিতে ইচ্ছে করে খুব। কিন্তু দেয় না। না দিয়ে আকাশের দিকে দুই হাত তুলে বলে, তুই জানোস না, তুই জানোস না.... আমার গণেশ পথের দিকে চাইয়া থাকবো? তার ললিতার জইন্যে আকুল হইয়া চাইয়া থাকবো? বেকুফ কোনহানকার! নাহ্, তাও কোনো ওলট পালোট নাই। মেঘ যেমুনকার তেমুনই রইয়া যায়। দিশেহারা হয়ে ছইয়ের ভেতর এসে দু'হাঁটুর ফাঁকে মুখ গুঁজে বসে থাকে ললিতা। মনে হয় , যদি না কাটে এই মেঘ! যদি না ওঠে সূর্য আজ, কেমনে দেখবে ললিতা সেই সুখের মুখ, যে সুখ সে পুষে রেখেছে মনে?


নদীর পাড়ে কোলাহল। যেন আচমকাই খুশির জোয়ারে ভেসে যাচ্ছে বেদের বহর। ঘটনা কী? কী এমন হইলো? আসমান হাতে পাইলো নাকি বাইদারা? ধীরে ধীরে মুখ তোলে ললিতা। ছইয়ের ভেতর থেকেই অনুভবে আসে, হাসছে সূর্যটা আকাশে। ঝলমল করছে সোনারোদ। মুখ বাড়িয়ে দেখলো ললিতা, ওই তো মধুমতীর আবছা ওপার। যেন এক সুবর্ণরেখার মতো উদ্ভাসিত হচ্ছে ওর দু'চোখ জুড়ে। ওই তো সুখ, ওই তো দেখা যায় হাতছানি! এক ঝটকায় উঠে পড়ে ললিতা। আনন্দ মাঝির নাও বাঁধা আছে ঘাটে। উঠে পড়ে সে। নাও ছেড়ে যায় বেদের বহর। বেদের বহর ছাড়ে ললিতা। নদী পেরিয়ে ওপারে উঠতেই দেখতে পায় গণেশের সুঠাম দেহখানা। এগিয়ে এসে হাত ধরে ললিতার।
বলে, জলদি চলো,
দিন ফুরাইবো একটু পরেই।
সাঁঝবাতি দিবা না?

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com